
(“তারে জামিন পার” মুভিটার ছবিটা আমার ভীষণ প্রিয়।)
-
চুলের সিঁথি সেই ছোট্ট থেকেই বাম দিক দিয়ে করে আসছি। স্কুলে যাওয়ার আগে আম্মা একটা লম্বা চিরুনী নিয়ে বাম দিক থেকে আলতো করে চুল আঁচড়িয়ে দিতেন। তখন থেকেই জেনে আসছি চুল বাম দিক দিয়ে আঁচড়াতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেওয়ার পর দেখলাম ক্লাসে রুম্মান আর তুহিনের চুল ডান দিয়ে সিঁথি কাটা। ডান দিয়ে সিঁথি কাটা দেখতে আমার ভালো লাগছিল।
দেখতে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ স্তবকে পৌঁছে গেলাম। ততদিনে আম্মা, বাড়ি আর পুরাণ পৃথিবীর গন্ধ থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলছি। গত দু’মাস থেকেই চুলের সিঁথি ডান দিক দিয়ে কাটা শুরু করছি। সহপাঠী, বন্ধু কিংবা হলের রুমমেটরাও কেউ এই নিয়ে কোন কথা বলেনি। তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে বোধহয়।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেলাম। ঘরের দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকতেই আম্মা একপলক আমাকে দেখেই বলল, “তুই চুলের সিঁথি কবে থেকে ডান দিক দিয়ে করছিস?” আমার শুধু মনে হলো, ”ও মা! বড়ো হয়ে গেছি, শুধু তুমি জানলে না।”
-
আমার মা
১২০৪১৫
অফটপিকঃ
খুদে গল্পে প্রতি সিরিজে দুটো করে গল্প পোষ্ট করি। এই সিরিজের জন্য এখন পর্যন্ত একটাই গল্প লেখা হলো। মা’দিবস উপলক্ষ্যে গল্পটা পোষ্ট করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


