somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৪৮তম সমবায় দিবস : আমাদের ভাবনা

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আজ মহা-উৎসবে সমবায় দিবস উদযাপিত হলো বাংলাদেশে । ( ০২-১১-২০১৯ইং)




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শ্রেণীভিত্তিক ১০ জন সমবায়ীকে জাতীয় সমবায় পুরষ্কার প্রদান করেন।




সারাদেশব্যাপী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হলো "বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক কনভেনসন সেন্টারে ।
অন্যান্য বারের মতো এবারও আমন্ত্রন পেয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম ।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো " বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন "
সমবায়ীরা সারা বৎসর হাটে, মাঠে, ঘাটে প্ররিশ্রম করে উন্নয়ন ও আর্থ-সামাজিক কাজে ব্যস্ত থেকে
বৎসরে ২টি দিন সমবেত হয়।
একটি : আর্ন্তজাতিক সমবায় দিবস ( জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহ)
দ্বিতীয় টি : জাতীয় সমবায় দিবস ( নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহ )

এই সময়ে সমবায়ীরা ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত হন, উন্নয়ন মূলক কাজের আলোচনা হয়
এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্হার দিকনির্দেশনা থাকে ।
অন্যান্য জেলায় সকালে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় এবং সারাদিন
কার্যক্রম চলে । ঢাকায় বেলা ১টায় সমবায় রেলী এবং দুপুর ৩টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় ।



গ্রামীণ মানুষ যাতে সুবিধা পেতে পারে তার জন্য ইতোমধ্যে সরকার সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নতির উপর জোর দিয়ে সরকার বাংলাদেশের পল্লী অর্থনীতিকে আরও সুদমুক্ত করতে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় সমবায় পুরষ্কার প্রদান ও জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে্ এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ বক্তব্য দেন । তিনি আরও বলেছেন: "আমরা পল্লী অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে চাই যাতে সমবায়ীরা গ্রামে পর্যাপ্ত পরিমাণে উপার্জন করতে পারে এবং পল্লী অর্থনীতি আরও প্রাণবন্ত করতে পারে। আমরা এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি।"

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "গ্রামাঞ্চলের লোকেরা যেমন নগর অঞ্চলের মতো সুবিধা পাবে। আমরা গ্রামাঞ্চলে স্যানিটেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চাই," তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জুড়ে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করেছেন যাতে গ্রামীণ লোকেরা এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

সবার স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের বাড়ি আছে, তাদের কোনও জমি হয়তো চাষ হয় না, পুকুর পড়ে থাকে। এর সবটুকুকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে প্রত্যেক বাড়ির মালিকরা যেন নিজেরা উপার্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে আগে ছিল ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প, এখন নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি−‘আমার বাড়ি, আমার খামার’। এই খামারের পণ্যও সমবায়ের ভিত্তিতে বাজারজাত করা হয়। পণ্য বাজারজাত করতে না পারলে খামারিরা পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ হারাবে। সমবায়ের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থা করে দিতে পারলে প্রতিটি পরিবার লাভবান হবে।




সমবায় আন্দোলনকে আরও জোরালো করতে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার চাইছে বিদ্যমান আবাদি জমিতে আরও বেশি ফসল উৎপাদিত হয়, এবং এই আন্দোলন আমাদের জন্য উন্নয়নের সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম ।
উন্নয়ন ও বিপনন ব্যবস্হা গড়ে তোলার জন্য , আলোচনা পর্বের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সমবায়ীদের জন্য অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা ও বাজারজাতকরণের উদ্বোধন করেন এবং অনুষ্ঠানস্থলে সমবায়ীদের স্থাপিত বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।



অনুষ্ঠানে, স্হানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি, স্হানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও সমবায় মন্ত্রকের চেয়ারম্যান খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, স্হানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টার্চায্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো: কামাল উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপু, । অনুষ্ঠানে সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×