somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

একজন পুরনো ব্লগারের কিছু অব্যক্ত কথা... [[ব্লগার তাজুল ইসলাম মুন্নাকে যারা চেনেন তারা অবশ্যই শেষ অংশটি পড়বেন]]

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগ পরিসংখ্যান বলে সাত বছর সাত মাস। কিন্তু আমার কাছে কি মনে হয় জানেন? এইতো সেদিন, তখন ক্লাস সেভেন/এইটে পড়ি; হঠাৎ বড়ভাই কম্পিউটারটা খোলা রেখে একটু বাসার বাইরে গেলো। আমি তখন্ও ইন্টারনেটের সাথে সেভাবে পরিচিত না। তবে বাবার গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরীর সুবাদে কম্পিউটার শিখতে কোন সমস্যা হয় নি। কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম বলা হয়েছে মন্তব্য লিখতে। আশেপাশে ভাইয়া আছে নাকি সেটা একবার দেখে প্রথম মন্তব্যটা লিখলাম। কি লিখেছিলাম আজ স্পষ্টভাবে মনে নেই, তবে "পোষ্টটি ভালো হয়েছে" এরকম কিছু একটাই লিখেছিলাম। মুগ্ধ হয়ে দেখেছি একজন নাম না জানা মানুষ এতো সুন্দর করে লিখতে পারে! হ্যা, পোষ্টটা ছিলো রাশেদ ভাইয়ের। সামহোয়ার ইন ব্লগ বলতে আমার কাছে তখন ছিলো বাধন ভাই, আইরিন আপু, কৌশিকদা আর এই রাশেদ ভাই। কোথায় হঠাৎ করে উধা্ও হয়ে গেলো লোকটা। জানি না আমি। আরও অনেক অনেক প্রিয় মানুষ ছিলো, কিন্তু সাত বছর আগের কথা কিভাবে মনে থাকে বলেন?

একসময় পরিচিত হলাম জানা আপু আর তার হাজব্যান্ডের সাথে। বেশ কয়েকবার কথা্ও হলো। অসাধারণ মানুষ তারা। তাদের নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।

যাই হোক, তখন সামহোয়ার ইন ব্লগ, প্যাচালি, সচলায়তনই বোধহয় ছিলো। প্যাচালি ব্লগেও যেতাম মাঝেমাঝে। কিন্তু সেই ব্লগের রিফাত ভাই হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দিলো ব্লগটা। গুগল চ্যাটে অনুরোধেও কাজ হলো না। চালু করবেই না। এমন সময় তৈরি হলো আমারব্লগ। সামহোয়ারে মডারেশন ছিলো। তার আমারব্লগের মূল উদ্দেশ্য ছিলো মডারেশন না থাকা। আমি অন্তত ততোটুকুনই বুঝেছিলাম তখন। ঢুকিনি খুব বেশি একটা।

তো... ব্লগটা কেন ছাড়লাম? প্রথমত, ফেসবুক নামক বস্তুটা এতো বেশি সময় নিতে শুরু করলো যে না ছেড়ে কোন উপায় পেলাম না। ব্লগ আর ফেসবুক কখনোই এক না, দ্বিতীয় কারণটা এখানেই আসে। পরিচিত সব ব্লগাররা নানান দ্বন্দে, তর্কে পুরোপুরি অস্থির একটা অবস্থা করে একের পর এক ব্লগ ছেড়ে চলে গেলো। তাদের ছোটভাই হিসেবে আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। কি বলবো তাদের? যেই আমি "হাসির জোক্‌স" পোষ্ট করতাম সেই আমি তাদের কাছ থেকে সামহোয়ার ইন ব্লগের প্রধান পাতায় স্টিকি করে রাখার মতো পোষ্ট লিখতে শিখেছি। তাদের সিদ্ধান্তের উপরে আমার কিই বা বলার থাকতে পারে? আমি ধীরে ধীরে চলে গেলাম ফেসবুকে। ভালোই লাগলো, বন্ধুরাতো সবাই লেখালেখিতে বেশি উৎসাহী না; ওদের সবাইকে পেয়ে গেলাম ফেসবুকে। ব্লগারদের একটা বিরাট অংশকেও পেলাম। সামহোয়্যারের কথা প্রায় ভুলতে বসলাম।

এর মাঝে আরও অনেক ঘটনা ঘটলো, উত্তাল শাহবাগ, গণজাগরণ মঞ্চ, ব্লগারদের কাছ থেকে সেলিব্রিটিদের পরিচয়ে টাকা নেওয়ার নাম করে না দেওয়া থেকে শুরু করে মোস্তফা জব্বারের ভাষা নিয়ে ব্যবসা নিয়ে যা যা ঘটেছে তাতো দেখেছেনই আপনারা সবাই। চাইলেই ফিরতে পারতাম ব্লগে, কিন্তু ফেসবুকে নিজের কর্তৃত্ব বলে যে একটা ব্যাপার আছে সেটাকে ছাড়ার লোভটাকে সামলাতে পারলাম না। পাশাপাশি যেটা হলো সেটা হলো একটা নির্দিষ্ট গ্রুপ আমাকে শত্রু বানিয়ে ফেললো।

জানি না এইসবের সম্পৃক্ততার কারণেই কিনা, আজকে মধ্যরাত থেকে আমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছি না। ফেসবুক শুরুতে চাইলো আসল নাম। ওদের "আসল" নামের বৈশিষ্ট্যে দেখলাম ধর্মের নাম এবং পেশার নাম দেওয়া যাবে না। তাজুল "ইসলাম" মুন্না, ইসলাম আমার ধর্মের নাম। উপায়? ্ওহ্, তার আগে বলে নেই। আপনি জীবন্ওে "Kryptoxide" বলতে কোনকিছুর নাম কখনো শুনেছেন? সম্পূর্ণ আমার সৃষ্টি করা একটা নাম। এই নাম তাদের পছন্দ না। আচ্ছা ঠিক আছে, এক ওয়ার্ডের নাম নিয়ে সমস্যাতো? বানিয়ে দিলাম দুইটা ওয়ার্ড। চাইলো ফটো আইডেন্টিফিকেশন, তা্ও দিলাম। তারপর যা বললো তার অর্থ দাড়ায় "কেচকি মাইরা বয়া থাকো, আমরা আলু নিয়া ছানাছানি কইরা কইবানি"। অর্থাৎ তারা আমার প্রোফাইল বিশ্লেষণ করবে, আমি যা দিয়েছি তা চেক করবে এবং তারপর নির্ধারণ করবে যে একাউন্টটিকে আমাকে ফেরত দে্ওয়া যায় কি না।

এই পর্যন্ত কোন সমস্যাই ছিলো না। সমস্যাটা শুরু হলো যখন আমি আমার একজন বন্ধুকে বললাম ইনবক্সে ঢুকে আমার ফেসবুক মেসেজগুলোতে কি লেখা আছে দেখতে। ও আকাশ থেকে পড়লো যখন আমার প্রত্যেকটা মেসেজের স্থানে লেখা "this message is no longer available because it was identified as abusive or marked as spam"। আমি স্প্যামার? তোমার স্বপ্নে!

ম্যাস রিপোর্ট....ম্যাস রিপোর্ট ছাড়া এই কাজ কেউ করতে পারে না, এতোবড় ফ্রেন্ডলিস্ট থাকা এতো পুরনো একটা আইডিকে ফেসবুক নাই করে দেবে; এটা ভাবাও যায় না। এখন উপায়? ফেসবুকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। আর এই সুযোগে ভাবলাম একটু পুরাতন ঘরটাকে দেখে যাই। কেমন অবস্থা আমার বাড়িটার, যেখানে আমি দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা পড়ে থাকতাম।

ওহ্ হ্যা! পোস্টের শিরোনামটা যাদের জন্যে বড় করেছি তাদের কথাটাইতো বলা হলো না। ফেসবুক আপাতত বন্ধ থাকায় আমি কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। আপনারা কেউ অনুগ্রহ করে এই তথ্যগুলো ছড়িয়ে দেবেন। তাজুল ইসলাম মুন্নার সাথে যোগাযোগের জন্যে তার ফেসবুক আইডি চালুর আগ পর্যন্ত ইমেইলে [email protected] এবং মোবাইলে 01832081953 && 01672470364 নম্বরগুলোয় পা্ওয়া যাবে। তবে নম্বরের সাথে এটা মেনশন করতে ভুলবেন না যে কল দেবার চেয়ে এসএমএস দেওয়াটাই বেশি কার্যকর হবে। কারণ আমি কল রিসিভ করবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আর এভাবে পাবলিকলি নাম্বার দেবার ব্যাপারটা এখনও চলে নাকি জানি না, কিন্তু আমাদের ব্লগারদের মাঝে একসময় একটা আলাদা সম্পর্ক ছিলো। শত্রু হোক বা মিত্র, আমরা কারও ক্ষতি হয় এমন কিছু করতাম না।

যাদের রিপোর্টের ফলশ্রুতিতে আমার আইডিটা গিয়েছে তাদের সবার প্রতি অসংখ্য শুভকামনা রইলো। স্বাধীনতার স্বপক্ষকে দেওয়া সমর্থনটা সেই ফেসবুক থেকে আসে না। সেটা আসে এই আঙ্গুলগুলো দিয়ে। আমি জানি, আপনাদের দৌড় সেই ফেসবুক রিপোর্ট পর্যন্তই। এর বেশি কিছু করার মতোন বুকের পাঠা আপনাদের হয় নি। শুভকামনা কেন জানালাম জানেন? কারণ আপনাদের সময় প্রায় শেষের দিকে। মোমবাতি যেভাবে নেভার আগে একবার দপ করে জ্বলে ওঠে, আপনারাও ঠিক সেভাবেই জ্বলে উঠছেন। এবং এজন্যে অন্য কেউ দায়ী না, দায়ী আপনারা নিজে।

সবাই ভালো থাকবেন। অনেকদিন পরে ব্লগের এই ইন্টারফেসে লিখলাম। বিজয়ে আমি অভ্যস্ত না, ইউনিজয় লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে গেছে। আর কেউ যদি পারেন তাহলে ফেসবুকের রিভিউয়ে আনুমানিক কি পরিমাণ সময় লাগতে পারে অনুগ্রহ করে জানাবেন।

কষ্ট করে এই ফালতু আলাপটি পড়ার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ।

-হ্যাপী ব্লগিং :)
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×