somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বাসায় অনেক কুনোব্যাঙ ছিল।

২২ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বাসায় অনেক কুনোব্যাঙ ছিল। তারা ঘরের কোনায় কোনায় থাকতো। ব্যাঙগুলো ছিল খুব শান্তশিষ্ট। আঁচিল ভরা শরীর। কাউকে বিরক্ত করত না। দিনের বেলায় ঘরের কোণ থেকে বের হতো না। মন চাইলে মাঝে মধ্যে "কটর-কট, কটর-কট্ִ" গান করত। ব্যাঙের এমন গান শুনে আম্মু একদিন আমাকে বললেন, মামণি সোমা, একটি ঝাড়ু আনো তো। ঝাড়ুপেটা করে ব্যাঙগুলোকে ঘর থেকে বের করে দাও। আমি বললাম, কেন আম্মু? ওরা তো আমাদের কোনো ক্ষতি করছে না।
আমার কথা শুনে আম্মু অবাক হয়ে বললেন, শোনো মেয়ের কথা। ক্ষতি না করুক, ওই যে "কটর-কট, কটর-কট্ִ" ডাকছে, ওটা তো বিরক্তিকর। এমন ডাক আমার পছন্দ না।
আমি বললাম, ও-তাই বলো।

তারপর আমি ঝাড়ু নিয়ে ব্যাঙগুলোকে ঘর থেকে বের করে দিতে গেলাম। দেখলাম, ব্যাঙগুলো কেমন যেন অসহায়ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের এমন তাকানো দেখে হঠাৎ আমার মনটা কেমন যেন হয়ে গেল। কিন্তু আমার মন গললে কি হবে। আম্মু যখন বলছেন বের করে দিতে, তারপর আর কোনো কথা আছে?

কিন্তু ব্যাঙগুলোকে আমি ঘর থেকে বের করে দিলেও একদম দূরে তাড়িয়ে দিলাম না। সিড়ির নিচে যে ফাঁকা জায়গা থাকে, ওখানে রেখে এলাম। আমার এরুপ দয়া দেখানোতে বোঝা গেল ওরা খুশি-ই হয়েছে। সবাই মিলে খুশিতে আমাকে একবার "কটর-কট" গান শুনিয়ে দিল।
সেই থেকে ব্যাঙগুলো আমাদের সিড়ির নিচেই থাকত। দিনের বেলা লুকিয়ে থাকত। আর সন্ধ্যায় যখন লাইটগুলো জ্বলে উঠত, তখন এক এক করে বের হয়ে আসত।
একদিন সন্ধ্যায় আমার ভাইয়ার স্যার এলেন তাকে পড়াতে। ভাইয়া তখন ক্লাস টেনে পড়ে। বিঙান বিভাগ। স্যার ভাইয়াকে জীববিঙান পড়াচ্ছিলেন। কুনোব্যাঙ বিষয়ক পাঠ। কুনোব্যাঙের নাম শোনামাত্র আমার দু'চোখ তো ছানাবড়া! কান খাড়া। পর্দার আড়াল থেকে আমি আড়ি পাতলাম। স্যার বললেন, "কুনোব্যাঙ খুবই উপকারী প্রাণী। এরা ঘরের কোনায় লুকিয়ে থেকে ক্ষতিকর পোকামাকড় ধরে খায়। মশা-মাছি, বিষাক্ত কীটপতঙ খেয়ে ওরা আমাদের উপকার করে থাকে।"
এটুকু শোনার পর আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। ঢুকে গেলাম ভাইয়ার পড়ার ঘরে। সালাম দিয়ে জিঙেস করলাম, স্যার এতক্ষণ যা বললেন তা কি সত্যি কথা?

আমার এমন প্রশ্ন শুনে স্যার হেসে উঠলেন। বললেন, অবশ্যই সত্যি কথা। তুমি এই প্রথম শুনছো বলে অবাক হচ্ছো। বড় হয়ে আরো অনেক কিছু জানবে।
আমি তাৎক্ষণাৎ ঘরে গিয়ে আম্মুকে ঘটনাটা খুলে বললাম। শুনে আম্মুও অবাক হলেন। বললেন, এত কিছু তো আগে জানতাম না!
আমি তখন আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বললাম, আম্মু একটা কথা বলি? বলো রাগ করবে না।
আম্মু হেসে বললেন, ঠিক আছে বলো।
বললাম, জানো আম্মু। সেদিন আমি কিন্তু ব্যাঙ গুলোকে বাসা থেকে অনেক দূরে তাড়িয়ে দি-ইনি। ওরা এখনো বাসাতেই আছে। আমাদের সিড়ির নিচে আছে। আমার কথা শুনে আম্মু একটুও রাগ করলেন না। আমার মাথার চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে আমার কপালে চুমু খেয়ে বললেন, দেখছো, আমার মেয়েটা তত্তো ভালো! কত্ত বুদ্ধিমান!
সন্ধ্যায় যথারীতি ভাইয়ার স্যার এলেন। গেটের কাছে এসে কলবেল টিপ দিতে যাবেন। এমন সময় কেচি গেটের ভেতর সিড়ির কাছে দেখলেন অনেক গুলো ব্যাঙ লাফালাফি করছে। ব্যাঙদের এমন কান্ড দেখে কলবেল টিপতে গিয়েও তিনি টিপলেন না। থমকে দাঁড়ালেন। শুধু শুধু ব্যাঙদের লাফালাফি করার তো কথা না। ব্যাপার কি তাহলে? ভাবতে লাগলেন স্যার। হঠাৎ গেটের সামনে কালো দড়ির মতো কিছু একটা দেখে তিনি চমকে উঠলেন। দু'পা পিছিয়ে গেলেন। ভালো করে তাকিয়ে দেখলেন, ওটা আসলে দড়ি নয়। ছোটখাটো একটি সাপ। কি সাপ ওটা?
ভাবতে লাগলেন স্যার। আবছা আলোতে স্পষ্ট দেখাও যাচ্ছেনা।

ছোট্ট সাপটি আমাদের কেচি গেটের ভেতর ঢুকতে চাচ্ছে। বারবার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। সিড়ির নিচে ব্যাঙগুলো তাকে বাধা দিচ্ছে। ঢুকতে দিচ্ছে না। সাপটি ফণা তুলে ব্যাঙদের ছোবল মারতে যাচ্ছে। ব্যাঙগুলো তখন লাফ দিয়ে দূরে সরে যাচ্ছে। তারপর আবার কাছাকাছি হচ্ছে। চোখ বড় বড় করে ভয় দেখাচ্ছে। তবু ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। ছোট সাপ তো! বোঝা গেল, ব্যাঙগুলোর এমন আচরণ তার মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। ব্যাঙদের জন্য বেচারা খুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা। দৃশটা দেখে স্যার মনে মনে ভাবলেন, কি করা যায় এখন। পরে তিনি মুঠোফোন থেকে আমাদের বাসার নম্বরে কল করলেন। একবার। দু'বার। তিনবার। তিনবারের মাথায় আমি কল ধরলাম। স্যারকে সালাম দিলাম। আমার কণ্ঠ শুনে তিনি বললেন, সুমাইয়া। তোমার ভাইয়া কে বলো পেছনের গেট দিয়ে একটি লাঠি নিয়ে আসতে।
কৌতূহলী হয়ে আমি জিঙেস করলাম, লাঠি কেন স্যার? লাঠি দিয়ে কি করবেন?
স্যার বললেন, একটা সাপ মারতে হবে।
সাপের কথা শোনামাত্র ভয়ে আমার পিলে চমকে গেল। গা শিউরে উঠল। লাঠি নিয়ে পেছনের গেট দিয়ে ভাইয়া বের হলেন। সাপের কথা শুনে আমার আম্মু এবং ছোট মামাও বেরিয়ে এলেন।আম্মু চাবি নিয়ে গেট খুলে দিলেন। সাপটি ততক্ষণে গেট থেকে একটু দূরে চলে গেছে। আম্মুর হাতে টর্চ। ভাইয়ার হাতে লাঠি। আম্মু টর্চ টিপলেন। টর্চের আলোয় দেখা গেল সাপটি বারবার ফণা তুলছে। এঁকেবেঁকে গড়িয়ে চলেছে। বাচ্চা সাপ তো চলার গতি একেবারে মন্হর। আম্মু বললেন, মেরে ফেলো।
স্যার বললেন, থাক না আন্টি! এইটুকুন সাপ। মারলে আর কি হবে। সুযোগ দিন। চলে যাক।
তারপর আরো কিছু সময় সাপটি চুপচাপ ওখানেই বসে রইল।
যেন চলে যাওয়ার জন্য তার কোনো ইচ্ছে নেই। মন চাইছে না। ওর এ অবস্থা দেখে স্যার চেচিয়ে বললেন, ব্যাটা বাঁচতে চাস তো জলদি পালা। জলদি পালা।
কিন্তু সাপটি নড়লও না। বোঝা গেল স্যারের কথা তার কানে যায় নি। আর কানে গেলো শোনার ইচ্ছে নেই। এখন কি করা!
আমার মনে হলো, ও আসলে একটা বেয়াদব। স্যারের কথা শুনছে না, তার মানে ওর কপালে খারাবি আছে।
ছোট মামা বললেন, সবাই এত করে বলছে। যাচ্ছিস না যখন, তোর আর বাঁচার দরকার নেই। দে-তো আমার হাতে লাঠিটা। সেই সাথে আওয়াজ হলো ধুপ-ধাপ। আওয়াজ শুনে কুনোব্যাঙ গুলো লাফিয়ে সিড়ির নিচে লুকিয়ে গেল। তারা ঘরের কোনায় কোনায় থাকতো। ব্যাঙগুলো ছিল খুব শান্তশিষ্ট। আঁচিল ভরা শরীর। কাউকে বিরক্ত করত না। দিনের বেলায় ঘরের কোণ থেকে বের হতো না। মন চাইলে মাঝে মধ্যে "কটর-কট, কটর-কট্ִ" গান করত। ব্যাঙের এমন গান শুনে আম্মু একদিন আমাকে বললেন, মামণি সোমা, একটি ঝাড়ু আনো তো। ঝাড়ুপেটা করে ব্যাঙগুলোকে ঘর থেকে বের করে দাও। আমি বললাম, কেন আম্মু? ওরা তো আমাদের কোনো ক্ষতি করছে না।
আমার কথা শুনে আম্মু অবাক হয়ে বললেন, শোনো মেয়ের কথা। ক্ষতি না করুক, ওই যে "কটর-কট, কটর-কট্ִ" ডাকছে, ওটা তো বিরক্তিকর। এমন ডাক আমার পছন্দ না।
আমি বললাম, ও-তাই বলো।

তারপর আমি ঝাড়ু নিয়ে ব্যাঙগুলোকে ঘর থেকে বের করে দিতে গেলাম। দেখলাম, ব্যাঙগুলো কেমন যেন অসহায়ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের এমন তাকানো দেখে হঠাৎ আমার মনটা কেমন যেন হয়ে গেল। কিন্তু আমার মন গললে কি হবে। আম্মু যখন বলছেন বের করে দিতে, তারপর আর কোনো কথা আছে?

কিন্তু ব্যাঙগুলোকে আমি ঘর থেকে বের করে দিলেও একদম দূরে তাড়িয়ে দিলাম না। সিড়ির নিচে যে ফাঁকা জায়গা থাকে, ওখানে রেখে এলাম। আমার এরুপ দয়া দেখানোতে বোঝা গেল ওরা খুশি-ই হয়েছে। সবাই মিলে খুশিতে আমাকে একবার "কটর-কট" গান শুনিয়ে দিল।
সেই থেকে ব্যাঙগুলো আমাদের সিড়ির নিচেই থাকত। দিনের বেলা লুকিয়ে থাকত। আর সন্ধ্যায় যখন লাইটগুলো জ্বলে উঠত, তখন এক এক করে বের হয়ে আসত।
একদিন সন্ধ্যায় আমার ভাইয়ার স্যার এলেন তাকে পড়াতে। ভাইয়া তখন ক্লাস টেনে পড়ে। বিঙান বিভাগ। স্যার ভাইয়াকে জীববিঙান পড়াচ্ছিলেন। কুনোব্যাঙ বিষয়ক পাঠ। কুনোব্যাঙের নাম শোনামাত্র আমার দু'চোখ তো ছানাবড়া! কান খাড়া। পর্দার আড়াল থেকে আমি আড়ি পাতলাম। স্যার বললেন, "কুনোব্যাঙ খুবই উপকারী প্রাণী। এরা ঘরের কোনায় লুকিয়ে থেকে ক্ষতিকর পোকামাকড় ধরে খায়। মশা-মাছি, বিষাক্ত কীটপতঙ খেয়ে ওরা আমাদের উপকার করে থাকে।"
এটুকু শোনার পর আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। ঢুকে গেলাম ভাইয়ার পড়ার ঘরে। সালাম দিয়ে জিঙেস করলাম, স্যার এতক্ষণ যা বললেন তা কি সত্যি কথা?

আমার এমন প্রশ্ন শুনে স্যার হেসে উঠলেন। বললেন, অবশ্যই সত্যি কথা। তুমি এই প্রথম শুনছো বলে অবাক হচ্ছো। বড় হয়ে আরো অনেক কিছু জানবে।
আমি তাৎক্ষণাৎ ঘরে গিয়ে আম্মুকে ঘটনাটা খুলে বললাম। শুনে আম্মুও অবাক হলেন। বললেন, এত কিছু তো আগে জানতাম না!
আমি তখন আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বললাম, আম্মু একটা কথা বলি? বলো রাগ করবে না।
আম্মু হেসে বললেন, ঠিক আছে বলো।
বললাম, জানো আম্মু। সেদিন আমি কিন্তু ব্যাঙ গুলোকে বাসা থেকে অনেক দূরে তাড়িয়ে দি-ইনি। ওরা এখনো বাসাতেই আছে। আমাদের সিড়ির নিচে আছে। আমার কথা শুনে আম্মু একটুও রাগ করলেন না। আমার মাথার চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে আমার কপালে চুমু খেয়ে বললেন, দেখছো, আমার মেয়েটা তত্তো ভালো! কত্ত বুদ্ধিমান!
সন্ধ্যায় যথারীতি ভাইয়ার স্যার এলেন। গেটের কাছে এসে কলবেল টিপ দিতে যাবেন। এমন সময় কেচি গেটের ভেতর সিড়ির কাছে দেখলেন অনেক গুলো ব্যাঙ লাফালাফি করছে। ব্যাঙদের এমন কান্ড দেখে কলবেল টিপতে গিয়েও তিনি টিপলেন না। থমকে দাঁড়ালেন। শুধু শুধু ব্যাঙদের লাফালাফি করার তো কথা না। ব্যাপার কি তাহলে? ভাবতে লাগলেন স্যার। হঠাৎ গেটের সামনে কালো দড়ির মতো কিছু একটা দেখে তিনি চমকে উঠলেন। দু'পা পিছিয়ে গেলেন। ভালো করে তাকিয়ে দেখলেন, ওটা আসলে দড়ি নয়। ছোটখাটো একটি সাপ। কি সাপ ওটা?
ভাবতে লাগলেন স্যার। আবছা আলোতে স্পষ্ট দেখাও যাচ্ছেনা।

ছোট্ট সাপটি আমাদের কেচি গেটের ভেতর ঢুকতে চাচ্ছে। বারবার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। সিড়ির নিচে ব্যাঙগুলো তাকে বাধা দিচ্ছে। ঢুকতে দিচ্ছে না। সাপটি ফণা তুলে ব্যাঙদের ছোবল মারতে যাচ্ছে। ব্যাঙগুলো তখন লাফ দিয়ে দূরে সরে যাচ্ছে। তারপর আবার কাছাকাছি হচ্ছে। চোখ বড় বড় করে ভয় দেখাচ্ছে। তবু ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। ছোট সাপ তো! বোঝা গেল, ব্যাঙগুলোর এমন আচরণ তার মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। ব্যাঙদের জন্য বেচারা খুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা। দৃশটা দেখে স্যার মনে মনে ভাবলেন, কি করা যায় এখন। পরে তিনি মুঠোফোন থেকে আমাদের বাসার নম্বরে কল করলেন। একবার। দু'বার। তিনবার। তিনবারের মাথায় আমি কল ধরলাম। স্যারকে সালাম দিলাম। আমার কণ্ঠ শুনে তিনি বললেন, সুমাইয়া। তোমার ভাইয়া কে বলো পেছনের গেট দিয়ে একটি লাঠি নিয়ে আসতে।
কৌতূহলী হয়ে আমি জিঙেস করলাম, লাঠি কেন স্যার? লাঠি দিয়ে কি করবেন?
স্যার বললেন, একটা সাপ মারতে হবে।
সাপের কথা শোনামাত্র ভয়ে আমার পিলে চমকে গেল। গা শিউরে উঠল। লাঠি নিয়ে পেছনের গেট দিয়ে ভাইয়া বের হলেন। সাপের কথা শুনে আমার আম্মু এবং ছোট মামাও বেরিয়ে এলেন।আম্মু চাবি নিয়ে গেট খুলে দিলেন। সাপটি ততক্ষণে গেট থেকে একটু দূরে চলে গেছে। আম্মুর হাতে টর্চ। ভাইয়ার হাতে লাঠি। আম্মু টর্চ টিপলেন। টর্চের আলোয় দেখা গেল সাপটি বারবার ফণা তুলছে। এঁকেবেঁকে গড়িয়ে চলেছে। বাচ্চা সাপ তো চলার গতি একেবারে মন্হর। আম্মু বললেন, মেরে ফেলো।
স্যার বললেন, থাক না আন্টি! এইটুকুন সাপ। মারলে আর কি হবে। সুযোগ দিন। চলে যাক।
তারপর আরো কিছু সময় সাপটি চুপচাপ ওখানেই বসে রইল।
যেন চলে যাওয়ার জন্য তার কোনো ইচ্ছে নেই। মন চাইছে না। ওর এ অবস্থা দেখে স্যার চেচিয়ে বললেন, ব্যাটা বাঁচতে চাস তো জলদি পালা। জলদি পালা।
কিন্তু সাপটি নড়লও না। বোঝা গেল স্যারের কথা তার কানে যায় নি। আর কানে গেলো শোনার ইচ্ছে নেই। এখন কি করা!
আমার মনে হলো, ও আসলে একটা বেয়াদব। স্যারের কথা শুনছে না, তার মানে ওর কপালে খারাবি আছে।
ছোট মামা বললেন, সবাই এত করে বলছে। যাচ্ছিস না যখন, তোর আর বাঁচার দরকার নেই। দে-তো আমার হাতে লাঠিটা। সেই সাথে আওয়াজ হলো ধুপ-ধাপ। আওয়াজ শুনে কুনোব্যাঙ গুলো লাফিয়ে সিড়ির নিচে লুকিয়ে গেল।

(সংগ্রহীত )
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×