১লা মে উপলক্ষে পল্টন ময়দানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন শুনে অনেক আশা করেছিলাম এবার অন্তত কিছু নিরেট পরিকল্পনা আর উন্নয়ন এর রোডম্যাপ পাওয়া যাবে। যথারীতি হতাশ। ৩০ মিনিট এর বক্তব্যে উনি ২৮ মিনিট গত সরকার এর বিষোদগার করলেন আর বাকি দুই মিনিট এই সরকার এর উন্নয়ন এর কথা বললেন। সলিড কিছু নেই, প্রচলিত সেই একই প্যাচাল। মনে হচ্ছে শুধু শ্রমিক ব্যাঙ্ক ছাড়া এই সরকার এর শ্রমিক দের নিয়ে আর কোন পরিকল্পনা নেই। কিন্ত তা কি করে হয়? আমার আশা ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এ অন্তত এই বিষয় গুলোর উল্লেখ থাকবেঃ
১। অর্থনৈতিক মন্দার যে প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে বা পড়বে আর তার দরুণ দেশীয় শ্রমিক সমাজ যে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বা হবে তার প্রতিকার এর জন্য সরকার এর এই বছর এর বাজেটে এবং আগামী ৫ বছর এ কি পরিকল্পনা আছে।
২। দেশের বাইরে থেকে যে শ্রমিকরা ফেরত আসছেন তাদের পুনর্বাসন এর জন্য সরকার এর কোন পরিকল্পনা আছে কিনা।
৩। দেশে প্রতিদিন যে কয়েক হাজার শ্রমিক বিদেশে যাবার ব্যাপারে প্রতারিত হচ্ছেন তাদের প্রতিকার করা এবং একটি আধুনিক জনশক্তি নিতিমালা প্রনয়ন করা্র ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ কি কি?
৪। বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রচন্ড ভাবে ব্যার্থ মিশন গুলোর আধুনিকায়ন (যাতে করে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন বা অন্তঃত দুতাবাসের কারো সাথে কথা বলতে পারেন) নিয়ে সরকার এর কোন পরিকল্পনা আছে কিনা।
৫। বিদ্যমান গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যুনতম বেতন স্কেল এর আওতায় আনার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



