ব্লগার ইফতেখার ভূইয়া ভাইকে সামান্য উপহার
ব্লগার Masterda “হলুদে বাবলা” পোষ্টে ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:২০ ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: যদিও বিয়ে করে ফেলেছি তারপরেও বলছি ছবির ঐ গ্রামের মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলেছি মনের অজান্তেই। এই জীবনে আর হয়তো তাকে পাওয়া হবে না, তবুও বুকের কোন এক কোনে সে বেঁচে থাকবে। লিখার জন্য ধন্যবাদ। বিঃদ্রঃ পেইন্টিংটা অসাধারণ মনে হয়েছে। সোর্স উল্লেখ করলে খুশি হতাম। ধন্যবাদ।
এই মন্তব্য পড়ে কেনো জানি বিচিত্র এক কারণে আমার মন বিষাদে ভরে উঠে, ছবিটির অনুসন্ধান শুরু করি আমার কর্ম জীবনের সামান্য দক্ষতা কাজে লাগাতেই ছবিটির লিংক সহ বেড়িয়ে আসে অসংখ্য ছবি। “পাহাড়ি মেয়ে” একটি ছবিতে ব্লগে কেউ খুশি হবেন সেই চিত্রটি দেখতে এটি একটি পোষ্ট। সাথে আমার প্রিয় মাইলস ও আমার প্রিয় বন্ধু শাফিন আহমেদের “পাহাড়ি মেয়ে” গানটি উপহার ব্লগার ইফতেখার ভূইয়া ভাই সহ ব্লগের সবাইকে।
পাথুরে নদী জলে পাহাড়ি মেয়ে নামে
ভেজা তার তনু-মন ধরা দেয় না
কি স্বপন এঁকে দিলো, বলা যায় না
পাথুরে নদী জলে পাহাড়ি মেয়ে নামে
ভেজা তার তনু-মন ধরা দেয় না
কি স্বপন এঁকে দিলো, বলা যায় না
সাজানো চোখের মাঝে, সবুজ বনানী তাতে
ছায়া ফেলে এই জল ঝর্না
অধীর ঢেউয়ের দোলা দিয়ে যায় আনমনা
থেকে থেকে শুধু যন্ত্রণা
পাথুরে নদী জলে পাহাড়ি মেয়ে নামে
ভেজা তার তনু-মন ধরা দেয় না
কি স্বপন এঁকে দিলো, বলা যায় না
পাথুরে নদী জলে পাহাড়ি মেয়ে নামে
ভেজা তার তনু-মন ধরা দেয় না
কি স্বপন এঁকে দিলো, বলা যায় না
বাতাস আকুল হলে জলে ছন্দ নিয়ে
পাহাড়ি মেয়ে সে তো চেয়ে দেখে না
পাখি ডাকে অচেনা, বয়ে যায় ভাবনা
স্বজন বুঝি তার ফিরে এলো না
বাতাস আকুল হলে জলে ছন্দ নিয়ে
পাহাড়ি মেয়ে সে তো চেয়ে দেখে না
পাখি ডাকে অচেনা, বয়ে যায় ভাবনা
স্বজন বুঝি তার ফিরে এলো না
বিখ্যাত শাফিন আহমেদের পরিচয় দেওয়ার মতো নতুন কিছু নেই তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন আইকন। মাইলস ব্যান্ড দলের নায়ক। ৯০ এর দশকে যে কোনো ষ্টেডিয়ামে ব্যান্ড দলের কনসার্ট শুরু হলে মাইলস আসার সাথে সাথে হাজার হাজার দর্শকের চিৎকারে একটি বাক্য ভেসে আসতো “ফিরিয়ে দাও আমারি প্রেম তুমি এভাবে কেড়ে নিওনা” বাংলাদেশে ব্যান্ড দল গানের ভূবনে সে সময়ে শাফিন আহমেদ যে ধরণের দামী ব্রান্ডের পোশাক পড়তেন যদিও তা বাংলাদেশের বাজারের নয়, তার কাছাকাছি ব্রান্ডের পোশাক এলিফ্যান্ট রোডের শো রুমে হাত দিয়ে ধরতেও ভয় করতো - হাত পুড়ে যাওয়ার মতো দাম! আমেরিকান কাউবয় বুট, কাউবয় হ্যাট, ব্লাক জিন্স, ব্লাক শার্ট / টি শার্ট, ব্রান্ডেড গিটার আর গলায় মন মাতানো মাতাল করা সুরের গানে লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয় কাড়া যুবক শাফিন আহমেদ। আমাদের শাফিন আহমেদ।
শাফিন আহমেদ জন্ম ১৪, ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১। বাংলাদেশী সংগীত শিল্পী এবং সুরকার। তিনি মাইলস ব্যান্ড এর একজন অন্যতম সদস্য। বর্তমানে মাইলস এর বেজ গিটারিস্ট এবং প্রধান গায়ক। শাফিন আহমেদের মা বাংলাদেশের গর্ব কিংবদন্তি রজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্ত। বড় ভাই হামিন আহমেদ সহ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ড সঙ্গীত শুরু করেন এবং মাইলস ব্যান্ড গড়ে তোলেন যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অগ্রগামী ব্যান্ডদল সমুহের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি সেইসময় প্রচারিত বিটিভির নিয়মিত মাইলসকে নিয়ে করা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। শাফিন আহমেদের জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে “চাঁদ তারা, জ্বালা জ্বালা, ধ্বিকি ধ্বিকি, পাহাড়ি মেয়ে, ফিরিয়ে দাও, আর কতোকাল খুঁজবো তোমায়” অন্যতম।
মাইলস বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড। মাইলস এর জন্ম ১৯৮১ সালে। এ সময় তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সপ্তাহে ৫ দিন গান করতেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তারা সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে গান করেছেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন এ মাইলস হিসেবে তাদের প্রথম অংশগ্রহণ ১৯৮২ সালে। ঐ বছরই মাইলস শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ১,৫০০ সংগীত পিপাসু দর্শকের সামনে তাদের প্রথম সরাসরি কনসার্ট অনুষ্ঠিত করে। ১৯৮২ সালে তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম বের করেন ইংরেজি ভাষায়। তাছাড়া তাদের প্রথম অ্যালবামটিও ছিল ইংরেজিতে। ঐ সময় কিছু লোক বলেছিলেন যে, মাইলস বাংলা গান রচনা করতে পারে না, তার পরই মাইলস তাদের প্রথম বাংলা মিউজিক অ্যালবাম বের করেন, অ্যালবামটির নাম "প্রতিশ্রুতি"। এর ভেতর "চাঁদ তারা" গানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিলো তাছাড়া বাকি গানগুলোও জনপ্রিয় ছিলো। ১৯৯৩ সালে তারা তাদের চতুর্থ মিউজিক (দ্বিতীয় বাংলা মিউজিক) অ্যালবাম "প্রত্যাশা" বের করেন, যা বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে। "প্রত্যাশা" অ্যালবামটি বের হওয়ার কয়েক মাসের ভেতরেই ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) কপি বিক্রি হয়। "প্রত্যাশা" এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বাধিক বিক্রিত হওয়া মিউজিক অ্যালবামের মাঝে অন্যতম একটি।
মাইলস এর ইতিহাসে তাদের একটি অন্যতম কনসার্ট হয়েছিল ঢাকা জাতীয় ষ্টেডিয়ামে, যেখানে সাংবাদিক সহ প্রায় ৬০,০০০ (ষাট হাজার) দর্শক হয়েছিলো, এছাড়া জাতীয় ষ্টেডিয়ামের আশে পাশের কোনো ভবনের জানালা ছাদ দর্শকের চাপে খালি ছিলো না। বলা হয়ে থাকে দর্শক সংখ্যা আনুমানিক ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) হবার কথা। এই কনসার্টটি আয়োজিত হয়েছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এবং স্পন্সর ছিলো পেপসি এবং কনসার্টটি সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন যেখানে দর্শক ছিলো সমগ্র বাংলাদেশের সঙ্গীত ভক্ত লক্ষ কোটি জনতা।।
তথ্য ও ছবি: - গুগল সার্চ ইঞ্জিন
কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৯