
ফেসবুকে রাসুল (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রাসুলের অবমাননা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। পানি কামান, প্রিজনভ্যানসহ ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতিতে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, মুক্তাঙ্গন ও পল্টন এলাকায় সমাবেশ এবং মিছিল করে ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন ও ছাত্র জমিয়ত। কাঁটাবন ও শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ করে মসজিদ মিশন। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য মসজিদ থেকেও মুসল্লিরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। এসব সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে রাসুলের অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, একমাত্র নবীর উম্মত দাবি করেও বর্তমান সরকার নবীর অবমাননার কোনো প্রতিবাদ না জানিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। তারা দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস, আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড্যানিশ দূতাবাস এবং এদেশে ফেসবুক বন্ধের দাবি জানান। তারা ইসলামবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করারও ঘোষণা দেন।
মসজিদ মিশন : বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাঁটাবন কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন ও জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তার ব্যঙ্গচিত্র আঁকার প্রতিযোগিতা করায় পশ্চিমা বিশ্ব মুসলমানদের মনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ অমার্জনীয় অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট কার্টুনিষ্টকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। হজরত মোহাম্মাদকে (সা.) নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র ও মানহানীকর পদক্ষেপ তৌহিদী জনতা জীবন বাজি রেখে মোকাবিলা করবে। কাঁটাবন ছাড়াও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে বাদ জুমা বিশিষ্ট ইমাম ও খতিবরা বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন। এছাড়া রাজশাহী ও খুলনা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ মিশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ইসলামী ঐক্যজোট : বাদ জুমা মুক্তাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ইসলামী ঐক্যজোট। দলের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল করিম, মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফয়জুল্লাহ, অধ্যাপক এহতেশাম সরোয়ার, মাওলানা লোকমান হোসাইন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, সাখাওয়াত হোসাইন, আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।
আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, পাশ্চাত্য শক্তি ইসলামকে ধ্বংসের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। রাসুলের ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তার অবমাননা এবং মুসলমানদের হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তিনি এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। বক্তারা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, নইলে জনগণ লংমার্চ করতে বাধ্য হবে। আগামী শুক্রবার সারাদেশে আরও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জিরো পয়েন্ট, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও দলটির উদ্যোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি আমিনী বলেন, মলি নরীস রাসুলের ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিযোগিতার আহ্বান জানিয়ে রাসুলের চরিত্র হননের এমন দুঃসাহস দেখিয়েছেন, যা কোনো মুসলমান কখনও বরদাশত করতে পারে না এবং যারা তা বরদাশত করবে তাদের ইমান থাকবে না। যে পর্যন্ত এই কুলাঙ্গারদের বিচার এবং বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ না হবে সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে ২৮ জুন আমরা হরতাল ডাকতে বাধ্য হব।
ইসলামী আন্দোলন : বিকালে মুক্তাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন। দলের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু সাঈদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট লুত্ফুর রহমান শেখ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মহানগর নেতা মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, শহিদুল ইসলাম কবির, মোহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ প্রমুখ।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, রাসুলের অবমাননা করার মাধ্যমে ইসলামবিরোধীরা বিশ্বের ১৫০ মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও তার দল কিছুদিন আগেও নিজেদের নবীর খাঁটি উম্মত বলে দাবি করেছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা রাসুলের অবমাননার ব্যাপারে না দলীয়ভাবে না রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ দেশের ইসলামপ্রিয় জনতাকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে রাসুলের খাঁটি উম্মত বলে নিজেদের প্রকাশ করতে চায়। তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রাসুলের কার্টুন অঙ্কন প্রতিযোগিতার প্রতিবাদ ও বাংলাদেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
খেলাফত আন্দোলন : বাদ জুমা গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার মসজিদ চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। মিছিলটি জিরো পয়েন্ট, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলপূর্ব সমাবেশে দলের আমির মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, রাসুলকে ব্যঙ্গ করা গোটা মানবজাতিকে অপমান করার শামিল, অমার্জনীয় অপরাধ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, আজম খান, আবদুর রকিব, মাওলানা ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
ছাত্র জমিয়ত : বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র জমিয়ত। জমিয়ত ঢাকা মহানগর সভাপতি ইমরানুল বারী সিরাজীর সভাপতিত্বে মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়তে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত কেন্দ্রীয় সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ, তোফায়েল আহমদ, জাকারিয়া সিদ্দিকী প্রমুখ।
খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে গতকাল নগরীর বিভিন্ন মসজিদে ঘৃণা দিবস পালন করা হয়। এছাড়া আল-কোরআন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা রাসুলের ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রতিবাদ জানান।ফেসবুকে রাসুল (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রাসুলের অবমাননা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। পানি কামান, প্রিজনভ্যানসহ ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতিতে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, মুক্তাঙ্গন ও পল্টন এলাকায় সমাবেশ এবং মিছিল করে ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন ও ছাত্র জমিয়ত। কাঁটাবন ও শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ করে মসজিদ মিশন। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য মসজিদ থেকেও মুসল্লিরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। এসব সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে রাসুলের অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, একমাত্র নবীর উম্মত দাবি করেও বর্তমান সরকার নবীর অবমাননার কোনো প্রতিবাদ না জানিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। তারা দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস, আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড্যানিশ দূতাবাস এবং এদেশে ফেসবুক বন্ধের দাবি জানান। তারা ইসলামবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করারও ঘোষণা দেন।
মসজিদ মিশন : বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাঁটাবন কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন ও জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তার ব্যঙ্গচিত্র আঁকার প্রতিযোগিতা করায় পশ্চিমা বিশ্ব মুসলমানদের মনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ অমার্জনীয় অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট কার্টুনিষ্টকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। হজরত মোহাম্মাদকে (সা.) নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র ও মানহানীকর পদক্ষেপ তৌহিদী জনতা জীবন বাজি রেখে মোকাবিলা করবে। কাঁটাবন ছাড়াও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে বাদ জুমা বিশিষ্ট ইমাম ও খতিবরা বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন। এছাড়া রাজশাহী ও খুলনা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ মিশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ইসলামী ঐক্যজোট : বাদ জুমা মুক্তাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ইসলামী ঐক্যজোট। দলের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল করিম, মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফয়জুল্লাহ, অধ্যাপক এহতেশাম সরোয়ার, মাওলানা লোকমান হোসাইন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, সাখাওয়াত হোসাইন, আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।
আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, পাশ্চাত্য শক্তি ইসলামকে ধ্বংসের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। রাসুলের ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তার অবমাননা এবং মুসলমানদের হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তিনি এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। বক্তারা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, নইলে জনগণ লংমার্চ করতে বাধ্য হবে। আগামী শুক্রবার সারাদেশে আরও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জিরো পয়েন্ট, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও দলটির উদ্যোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি আমিনী বলেন, মলি নরীস রাসুলের ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিযোগিতার আহ্বান জানিয়ে রাসুলের চরিত্র হননের এমন দুঃসাহস দেখিয়েছেন, যা কোনো মুসলমান কখনও বরদাশত করতে পারে না এবং যারা তা বরদাশত করবে তাদের ইমান থাকবে না। যে পর্যন্ত এই কুলাঙ্গারদের বিচার এবং বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ না হবে সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে ২৮ জুন আমরা হরতাল ডাকতে বাধ্য হব।
ইসলামী আন্দোলন : বিকালে মুক্তাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন। দলের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু সাঈদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট লুত্ফুর রহমান শেখ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মহানগর নেতা মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, শহিদুল ইসলাম কবির, মোহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ প্রমুখ।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, রাসুলের অবমাননা করার মাধ্যমে ইসলামবিরোধীরা বিশ্বের ১৫০ মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও তার দল কিছুদিন আগেও নিজেদের নবীর খাঁটি উম্মত বলে দাবি করেছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা রাসুলের অবমাননার ব্যাপারে না দলীয়ভাবে না রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ দেশের ইসলামপ্রিয় জনতাকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে রাসুলের খাঁটি উম্মত বলে নিজেদের প্রকাশ করতে চায়। তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রাসুলের কার্টুন অঙ্কন প্রতিযোগিতার প্রতিবাদ ও বাংলাদেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
খেলাফত আন্দোলন : বাদ জুমা গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার মসজিদ চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। মিছিলটি জিরো পয়েন্ট, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলপূর্ব সমাবেশে দলের আমির মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, রাসুলকে ব্যঙ্গ করা গোটা মানবজাতিকে অপমান করার শামিল, অমার্জনীয় অপরাধ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, আজম খান, আবদুর রকিব, মাওলানা ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
ছাত্র জমিয়ত : বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র জমিয়ত। জমিয়ত ঢাকা মহানগর সভাপতি ইমরানুল বারী সিরাজীর সভাপতিত্বে মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়তে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত কেন্দ্রীয় সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ, তোফায়েল আহমদ, জাকারিয়া সিদ্দিকী প্রমুখ।
খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে গতকাল নগরীর বিভিন্ন মসজিদে ঘৃণা দিবস পালন করা হয়। এছাড়া আল-কোরআন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা রাসুলের ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রতিবাদ জানান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



