ঢাকা ব্যাংক এর মিরপুর শাখা । খুব বেশি হলে আমার সামনে ৩০০ এর মত মানুষ ছিল। জানামতে মিরপুর শাখায় টিকেট এসেছে ৯০০ টি । তো লাইন এর সবাই তো খুশি। কারন প্রতিজন কে দুইটা করে টিকেট দেয়া হলেও টিকেট বাকি থাকে। এভাবে খুশি মনে ভোর ৭ টা থেকে অপেক্ষা করছিলাম। টিকেট সেল শুরু হয় ১০:৩০ থেকে। কিন্তু এ কি! নিয়ম অনুযায়ী দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা ব্যান্ক এ ঢুকল টিকেট বুঝে পেতে। এরপর আধা ঘন্টা পার হয়ে গেল তাদের হদিশ মিলেনা। আধা ঘন্টা পর তারা সোনার টিকেট নিয়ে বের হল এবং আমরা জানতে পারলাম প্রতিজনকে একটা করে টিকেট দেয়া হবে। যা হোক এতে আমার কোন সমস্যা নয়। আমি একটা পেলেও খুশি। বরং পাওয়াটা আরো সহজ হবে। এর মধ্যে আরও ভিড় হয়েছে পিছে। অত:পর আরও একবার টিকেট কিনতে লাইন থেকে ২ জন পুরুষ ও একজন মহিলা গেল। আবারও আধা ঘন্টা। সবাই তও খেপা! কি ব্যাপার। যারা টিকেট কিনে বের হল তারাও মহাখ্যাপা। তাদের থেকে যা শুনা গেল তা হচ্ছে ব্যাংক এ আগে তাদের থেকে অগ্রীম ১০০০ টাকা নিয়ে বলা হয়েছে বসে থাকতে। এর মধ্যে তাদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে রাখতে বলা হয়েছে যা করতে বেশি হলে ৫ মিনিট লাগে। কিন্তু কোন কারনে ব্যাংক এর এই হেনস্তা করার দরকার পড়ল? যাই হোক যত টাইম লাগুক আমি টিকেট পেলেই খুশি। অবশ্য এর পর একটু দ্রুতই বিক্রি শুরু হয়।এর মধ্যে লাইন এর মাত্র ৫০-৬০ জন টিকেট পেয়েছেন একটা করে। কিন্তু হঠাৎ টিকেট বিক্রি বন্ধ।বুঝলামনা । অপেক্ষা করতে করতে ৩ টা বাজল। আর ব্যাংক মাইক এ ঘোষনা দিল যে তাদের টিকেট বিক্রি আবার শুরু হবে। কিন্তু কই? ব্যাংক এ তো মানুষ কে ঢোকানো হচ্ছেনা টিকেট এর জন্য। ৪ টা বাজল। কিছু পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষা কাজে ছিল, তাদের কে সবাই বললাম যে টিকেট আসলে কখন থেকে বিক্রি শুরু হবে। তারা বলল যে এখন আর টিকেট এর আশা করে লাভ নেই। সব টিকেট শেষ!!!! তাহলে বাকি এতগুলা টিকেট গেল কোথায়?
হতাশ মনে বাসায় ফিরে এলাম। বুঝলাম যে দুর্নীতির সাথে আমি পারবনা। আমার মনের ইচ্ছা মনেই থাক। অনুষ্ঠান স্টেডিয়াম এ গিয়ে দেখার সৌভাগ্য আমার হবেনা যতক্ষন পর্যন্ত এইসব ফালতু মানুষের হাত থেকে আমার দেশ মুক্তি পায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



