বিপন্ন সুন্দরবন র্নিবিকার সরকার!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫৫ হাজার বর্গ কিঃমিঃরের এই দেশে দেখার মত যে কয়েকটি সুন্দরতম স্থান আছে তার মধ্যে অন্যতম পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বন।আজ এই বন হুমকির সম্মুখীন,কিছু বোকা ধরনের মানূষের কারনে আজ এই অবস্থা।এই বন আছে বলে দক্ষিনের জনপদের মানূষ ঝড় বন্যা থেকে বেচে আছে।
বড় ধরনের ঝড় এই বন নিজের বুক পেতে আমাদের রক্ষা করে চলছে।পূর্বে জাহাজ গুলো এই বনের বাইরের নদী দিয়ে চলাচল করতো।কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য এখন জাহাজ গুলো বনের ভিতর দিয়ে চলাচল করে।এর ফলে তেল ছড়িয়ে পড়ার চেয়েও আরো অনেক সম্যসা এখানে জড়িত।
জড়িত।অনবরত জাহাজ চলাচলের শব্দে বনের প্রানিকুলের উপর দারুন প্রভাব পড়ছে।সরকারে যারা আছে তারা কি আসলে এ সর্ম্পকে কিছু যানে না কি না যানার ভান করে?যদি না যানা থাকে তবে বলি সংবিধানের ১৮ এর (১) অনুচ্চেদে উল্লেখ করা আছে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষন করা সরকারের কাজ।আর তাছাড়া এই বন ইউনেসকো ঘোষিত ঐতিহ্য।কিন্তু আমরা কি দেখলাম সরকার র্নিবিকার কেন?
এই সংকট মোকাবেলায় আমাদের সেনা,নৌবাহিনীকে ব্যাবহার করার দরকার ছিল।আজ প্রতিদিন খবরের পাতায় দেখছি তেলের মধ্যে ডুবে প্রানীকুলের কি অবস্থা,যা দেখলে গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়,যা কোন সুস্থ মানূষের এই অবস্থা হবে।সরকার চুপ দেখে মনে হয় তারা আসলে সবাই মানসিক সম্যসার রোগী।এদেরকে ডাক্তার দেখানো খূব জরুরী।আর আমাদের বিখ্যাত নৌ মন্ত্রি যখন বলে এই নিঃসরনের ফলে কোন সম্যসা হয় নাই।
তখন হাঃহাঃহাঃহাঃ বলা ছাড়া কিছুই কি আমাদের করার নেই?উনার লেখাপড়ার দৌড় কোন পর্যন্ত আমার জানা নেই।যদি শিক্ষিত লোক হতো তবে তিনি এই কথা বলতে পারতেন না।এই তেল তার পাছায় দেও তাহলে সে বুঝতে পারবে এর কি বিষ।
এই তেল নিঃসরনের ফলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে,এই এলাকায় বিচরনকারী পৃথিবীর বিলুপ্ত দুই প্রজাতির ডলফিনের সবচেয়ে বড় বিচরন ক্ষেত্র সেই ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে উঠছে। আজব হয়ে দেখি এই দেশের প্রধান মন্ত্রী এই বিষয়ের উপর এখন পর্যন্ত কোন কথা বলেননি,আমরা বিভিন্ন সময়ে তার মুখ থেকে পরিবেশে রক্ষায় আমার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
কিন্তু কোথায়?যদি সুন্দরবন রক্ষায় আপনার সরকারে কোন ভূমিকা না দেখি,তা হলে আমরা বুঝে নেব এটা হলো কাঁনাকে হাইকোর্ট দেখানোর মত একটা ব্যাপার। সময় আছে জলদি এই বনকে বাঁচান তা না হলে,এর জবাব একদিন জনগনকে দিতে হবে।আজ এই জনগন জীবনের ঝুকি নিয়ে এই তেল অপসারনের চেস্টা করছে।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহমিকা পাগলা
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন