আমার হাতের মধ্যে টেলিফোন;
আমার পায়ের কাছে খেলা করছে
সূর্যমণি মাছেরা।
পিচ বাঁধানো সড়কের উপর দিয়ে
নৌকা চালিয়ে আমি
পৃথিবীর তিনভাগ জল থেকে একভাগ ডাঙায় যাব।
সেই নৌকার জন্য আমি বসে আছি;
আর,পাঁচ মিনিট পরপর
ডায়াল ঘুরিয়ে চিতকার করছিঃ
হ্যালো দমদম......হ্যালো দমদম......হ্যালো......
আমার মাথার উপরে জ্বলছে নিয়ন বাতি;
আর আমার গোড়ালির উপর চারপাশে চক্কর মেরে
হাঁটুর কাছে উঠে আসছে
মহেনজোদাড়োর নর্দমা থেকে উপচে পড়া
নোংরা কালো জলস্রোত
আমার দেয়ালে ফুটছে সাইকাডেলিক ছবি।
......আমার জুঁইলতা এখন
পাঁচ ফুট জলের তলায় ফুল ফোটাচ্ছে।......
জ়োল ঠেলে আমি শোবার ঘরে আসি।
জ্বরে পুড়ে যচ্ছে আমার মেয়ের গা।
তার টেম্পারেচার নিয়ে,জল ঠেলে, আমি আবার
টেলিফোনের কাছে ফিরে যাই।
সেই অবসরে, দরজা খোলা পেয়ে,
রাজ্যের কচুরিপানা ও একটা নেড়ী কুত্তা
সাঁতার কেটে
আমার ড্রইংরুমে এসে ঢোকে।
আমি বিস্মিত হই না।
কচুরিপানা ফুলগুলোকে আমি ফ্লাওয়ার ভাসে সাজিয়ে রাখি,
এবং নেড়িকুত্তাটিকে খুব যত্ন করে আমার
সোফার উপরে বসাই।
তারপর টেলিফোনের মাউথপীসটাকে
তার মুখের কাছে এগিয়ে দিয়ে বলি,
“যদি বাঁচতে চাস হারামজাদা,
তা হলে আয়, আমার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলঃ
হ্যালো দমদম......হ্যালো দমদম......হ্যালো......”