রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর সুনিদিষ্ট কাজ আছে, মানে উনাদের কাজের নিয়ম নীতিমালা লিখিত আছে, সেই পর্যন্ত করতেই হয়। এর বাইরেও আরো অনেক অলিখিত কাজ আছে বলে আমি মনে করি, তার একটা হচ্ছে জাতিকে মানসিকভাবে সুশিক্ষিত করা বা সময় পেলেই জাতির সামনে এসে দাঁড়িয়ে নিদিষ্ট কোন ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলা উচিত, কেন সেটা করা উচিত বা অনুচিত মানে তিনি সব সময়েই জাতির বিবেক হয়ে জাতির সাধারনের বিবেক খুলে দিবেন!
এই যে করোনায় মারা গেলে দাফন দিতে বাঁধা দিচ্ছে, খাটিয়া দিচ্ছে না, নিজের আত্মীয় স্বজনেরা দুরেও দাঁড়াচ্ছে না, আপনি আমি এই মানুষদের দায়ী করছি, তা বটেই! মুল হচ্ছে এই মানুষ গুলোর সেই জ্ঞান নেই যে, মৃত মানুষটাকে দাফন করলে বা তার থেকে কয়েক হাত দূরে থাকলে তার কিছু হবে না। এমন কি পাশাপাশি বাসায় করোনা আক্রান্ত থাকলেও যে অসুবিধা নেই বা তিনি আক্রান্ত হবেন না বা আপনার কিছু সুরক্ষা আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে, এমন সাধারন জ্ঞান গুলো তাদের নেই! এই জ্ঞান বাড়াতে মুলত উপর লেভেল থেকে বলতে হয়, বার বার বলতে হয়! কানের কাছে সত্য মিথ্যা ঝালাই করে দিতে হয়।
বিশেষ করে মানুষ রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই সব একবার শুনলেই, সঠিক কোনটা বুঝতে পারে! যে কোন এমনি বিষয় সামনে এলেই সাথে সাথেই রাষ্ট্রের কর্নধারদের সেই ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়া উচিত, তা হলে পরে সেই ঘটনা আর ঘটে না বা চান্স কমে যাবে! আফসোস, এই সব সাধারন বিষয়ে প্রায় দেখি উনার চুপ থাকেন বা ঘটনার পর ঘটনা ঘটলে তবেই বলেন! যা অনুচিত।
দোষটা কারো কাঁধে না চাপিয়ে যেন শান্তি পান না! অনুগ্রহ করে ভেবে দেখুন, রাষ্ট্রের সব চেয়ে বেশি বেনিফিশিয়ারী আপনি, ইতিহাসের পাতা থেকে সব কিছুতেই আপনাদের নাম লেখা থাকবে, আপনারা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। একজন সাধারন মানুষ সেই তুলনায় কিছুই তার ভাগ্যে নেই। অন্তত সাধারন মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধিতে আপনাদের যথাযত নিয়মের বাইরে গিয়েও কাজ করুন!
সবক্ষেত্রে কৌশল বা কটু চিন্তা নয় বিশেষ করে এখন তো নয়ই! আপনাদের অধিক ভালবাসায় জাতি কম ক্ষতিতে এগিয়ে যেতে পারে।
আমরা কোন নিষ্টুর ঘটনা জানতে বা শুনতে চাই না। মানুষের মুলত তেমন সময় নেই, কিছু দিন বাঁচুক আনন্দে ও ভালবাসায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:৪২