একজন লোক নিয়ে আমার খুব ইচ্ছা হয় যে, উনাকে নিয়ে কিছু লিখি, এক সময়ে উনাকে আমার কাছে সেরা তথ্য প্রযুক্তি মেধাবী বলে মনে হত কিন্তু এখন উনাকে একজন সেরা তোষামেদকারী এবং অর্থউপার্জন চেষ্টাকারী বলেই মনে হয়, যদিও প্রকাশ্য এই সাফল্য নেই (এখনো ভিখারির অবস্থাই মনে হয়) তবুও উনার এই চেষ্টা আমাকে ব্যথিত করে, মনে হয় টাকার জন্য এমন করে মাথা বিক্রি করার চেষ্টা না করলেই কি চলে না, সারা জীবন তো অর্থ উপার্জনের পিছনেই ঘুরলেন, এখন না হয় একটু অবসর নিন এবং সত্য কথা গুলো প্রকাশ করুন, কারন বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিতে কার কার ভুলে আমরা ভুগেছি, কি কি ভুল আমাদের হয়েছে, তা নিশ্চয় আপনার চেয়ে আর কে বেশী জানে! তথ্য প্রযুক্তিতে কাদের বা কার ভুলে আমরা পিছিয়ে পড়েছি বা এখনো আমাদের ভুল গুলো কোথায় সেটা আপনি নিশ্চয় বেশ ভাল জানেন।
যাই হোক, আবার এই ভয় পাই যে, এই লেখা নিয়ে তিনি আমাকে বিরাট গ্যাড়াকলেও ফেলে দিতে পারেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলাও করে ফেলতে পারেন! সরকার বা ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে লিখতেও এত ভয় হয় না কারন সরকার বা ইন্ডিয়া থেকে কিছু ছাড় পেলেও পেতে পারি কিন্তু কেন যেন মনে হয় এই লোক থেকে সেই ছাড় পাবো না, কারন তাকে খুব ঠান্ডা মাথার চিকন ব্যক্তি বলেই মনে হয়!
তিনি সরকারের কোন উপদেশটা, মন্ত্রী, এম্পি বা সরকারের চাকুরে নন তবে আমি উনার গতিবিধির উপর সেই ১৯৯০ সাল থেকে নজর রাখছি, তিনি সেই সময় থেকে প্রায় প্রতিটা সরকারের সাথে খুব সুক্ষ সম্পর্ক রেখে চলেছেন। তবে এখন কিছুটা প্রকাশ্য, হয়ত তিনি ভাবছেন, এই শেষ বেলায় যদি কিছু আরো অর্থ কামিয়ে নেয়া যায়! তার এই এখনকার প্রকাশ্য রূপটা বেশ ব্যথিত করে আমাকে, তবে এই সরকার তাকে কম সুযোগ (আর্থিক বা যে কোন লাইসেন্স) দেয় নাই কিন্তু তিনি সেই সব সুযোগ তেমন কাজে লাগাতে পারছেন বলে এখনো দৃশ্যমান হয় নাই। তবে এখন তিনি একটা প্রকাশ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সফল হবেন বলে মনে হয় না। তার এই চেষ্টা গুলোতে কোথায় গলদ তা আমি সাধারন ব্যক্তি হিসাবেও বুঝতে পারি, তিনি কেন এই সুযোগ গুলো কাজে লাগিয়ে বিরাট আর্থিক লাভবান হতে পারছেন না, তাও আমি বুঝি।
বিধাতা মুলত মানুষ নানান কিসিমের তৈরী করেন, সব গুণ সবার থাকে না। এই ধরেন কেহ পড়াশুনা না করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগটা নিয়ে ফেলেন এবং সফল হয়ে পড়েন, আবার কেহ শিক্ষার সব স্তর পার করেও সাধারন স্কুলের শিক্ষকও হতে পারেন না! অর্থ উপার্জন তেমন একটা ব্যাপার, পাশাপাশি ভাগ্যে বিধাতার লেখা থাকতে হয়। শত কিছু বেঁটে খাইয়ে দিলেও অর্থ আসে না আবার সামান্য বুদ্ধিতেই বিরাট সাফল্য এসে পড়ে! অর্থ উপার্জনের শুরুটা নিজকে দিয়ে হলেও পরে বড় বড় চাকর (চাকুরীজীবিরা মাইন্ড খাইয়েন না, সব কপালের লিখন, আপনাদের অনেকেও কম পথ পাড়ি দেন নাই, অনেকে সফল হয়েছেন) বেশী বেশী বেতনে রাখতে হয়, যারা পরের সাফল্য গুলো নিয়ে আসে, এই পথে ইনভেস্টমেন্ট বা কার্পন্য করলে চলে না, নিজের বুদ্ধির পাশাপাশি টাকা দিয়ে চাকর কিনে তার বুদ্ধিকেও জোড়া লাগাতে হয়! এই বিষয়ে আপনারা বাংলাদেশের বড় বড় গ্রুপ অফ কোম্পানীর চেহারা গুলো দেখে নিতে পারেন এবং নিশ্চয় কে কিভাবে এত অর্থ উপার্জন করলো তাও জেনে নিতে পারেন, কারন এই সব আমাদের চোখের সামনেই হয়েছে, এবং এই সব গত ৩০/৩৫ বছরের হিসাব মাত্র! যারা অন্তত নিয়মিত পত্র পত্রিকা পড়েছেন পাশাপাশি অনলাইনে থেকেছেন, তাদের কাছে অজানা থাকার কথা নয়!
যাই হোক, একজন ক্ষুদ্র বা সাধারন এই দেশের মানুষ হিসাবে এই লোককে দেখে বার বার হাসি এসে যায়! আমি জানি আপনারা যারা আমার সমবয়সি বা ৫০ উর্ধ এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তির সাথে শুরু থেকে সম্পর্ক রেখেছেন, তারা নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন এবং করাও উচিত বটে, কারন তার এই চেষ্টার দৃশ্যপট কখনো কখনো প্রকাশ্য হয়েছে এবং নিশ্চয় আপনাদের মনেও এই প্রশ্ন এসেছে!
আরো বলে ফেলি, আমি উনার নাম নিচ্ছি না এবং মজার বিষয় তিনি আমার অনলাইন ফেন্ড বটেও, এই লিখা উনার চোখে পড়লেও পড়তে পারে! যাই হোক, তিনি উনার মতেই বা পথেই চলবেন, আমার এতে কিছু আসে যায় না! তবে এই লেখাটা লিখছি শুধু আমার নিজের মনের কথা আপনাদের জানাতে। আমার খুব দুঃখ হয়, যারা বিদ্যা বুদ্ধিতে এই দেশের মানুষের মাথার মনি বা তাজ হতে পারতেন বা যাদের সত্য উচ্চারনে এই জাতি কিছুটা হলেও সত্য পথে চলতে পারত, তাদের এই অধপতন আমাকে ব্যথিত করে এবং সেই জন্যই এই লেখা!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫