somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

আমাদের দেশের দাম্পত্য জীবন!

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার অনেক কাজের মধ্যে একটা কাজ হচ্ছে, চোখে পড়া দম্পতিদের উপর নজর রাখা! সেটা ঘরবড়ি হউক, যাত্রা পথে হউক কিংবা টিভি স্যাটেলাইট অনলাইন হউক! অনলাইনে আমার ফিডে অন্তত একশ স্বামী স্ত্রী আছেন, নানান ধর্ম বর্নের! আমি মোটামুটি চেষ্টা করি সবাইকে খেয়াল রাখার, কে কোথায় কি করছে আড় চোখে দেখতেই থাকি! এটা আমার খারাপ দিক না, আমি মানুষের চরিত্র বোঝার চেষ্টায় এই কাজ করি এবং এই পর্যবেক্ষনে আমি ফলাফল আবার কোথায় প্রকাশ করি। তবে এই দম্পতিদের ঝগড়া বাড়ুক কিংবা তাদের দুরত্ব বাড়ুক এমন কোন কাজ আমি করি না বা করি নাই! সকলের জন্য ভালবাসা সব সময়েই।

তবে গোপন কথা কয়েক বন্ধুর স্ত্রীদের আমি ইচ্ছা করেই ব্লক করে দিয়েছি, কারন তাদের জ্ঞান গরিমা আচার আচরণ আমার কাছে অনলাইনের 'আপ টু দ্যা মার্ক' মনে হয় নাই, এবং মনে হয়েছে এরা শুধু ঝগড়া করতেই পছন্দ করে, ফলে নিজকে ও বন্ধুকে নিরাপদ রাখতে তাদের সাথে আর অনলাইনে কোন কথা বলতে চাই না বা তারা আমার কোন লেখা পড়ে আমার বন্ধুর সাথে আলোচনা করুক তাও চাই না! মানে সবাই ভাল থাকুক এমতাবস্থা সব সময়েই!

তবে আমার এই দীর্ঘ দেখার চোখে আমার যা মনে হয়েছে, তার কিছুটা সংক্ষেপে উল্লেখ করছি!

- এই দেশে খৃষ্টান দম্পতিরা কিছুটা ভাল অবস্থায় থাকেন, তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা একটু বেশি মনে হয়। পাশাপাশি আমাদের দেশের খৃষ্টান মেয়েরা স্বামীর প্রতি একটু বেশি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল বলেই মনে হয়েছে!

- পরের অবস্থান মনে হয়েছে বৌদ্ধ বা পাহাড়ে বসবাস করা দম্পতিদের, এরা আর্থিক চিন্তা কম করে, ফলে একটা নির্বিগ্ন জীবন যাপন করে, নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করে, স্বামী আছে এটাই যথেষ্ট মনে করার কারনে হয়ত তেমন ঝগড়া ঝাটি করেন ন!

- হিন্দু ধর্মে মেয়েদের কষ্ট বেশি, নিয়ম কানুন কঠোর, দম্পত্য জীবনে এই নারীরা খুব কষ্টে থাকলেও কাউকে কিছু বলতে পারেন না বা বুঝতে দেন না, তবে উপরি ভাল আছি এমন একটা ভাব সব সময়েই দেখানো হয় এই দম্পতিদের। এই দম্পতিরা সন্তানের জন্য অন্তপ্রান!

- মুসলিম ধর্মের দম্পতিদের কথা আর নাই বলি! বললে অনেকে রাগ করে ফেলবেন! আমার মনে হয় মুসলিম ধর্মে বিবাহই দেয় হয়, যাতে ওরা ঝগড়া ঝাটি করে জীবন পার করে! মুসলিম নারীরা নিজদের আধিকার রক্ষার খুব কঠোর এবং আজকাল আর ছাড় দেয়ার মানসিকতাই রাখেন না! এই নারীরা ধর্মের অনেক কিছু না মানলে বা বুঝলেও তাদের পক্ষের কিছু কথা বেশ চমৎকার করে জ্ঞানে যোগ করে রাখেন, বিয়ের পরের সব দায়িত্ব স্বামীর, স্বামীকে এনে দিতেই হবে, এমন মনোভাব! স্বামীর সততা, স্বামীর ভালবাসার কোন মূল্যই এখন আর কোন মুসলিম স্ত্রী মানতে রাজী নয়, সামান্য আশা না থাকলে ফেলে দিতেও কারো কার্পন্য নেই। অন্যদিকে মুসলিম স্বামীরাও ধর্মে বর্নিত স্ত্রী চরিত্র খুঁজতে গিয়ে খৈ হারিয়ে ফেলেন, এবং অবশেষে কানা বোবা হয়ে কবরের পথে নামেন!

আপনারা আমার সাথে 'সহমদ' থাকতে পারবেন না হয়ত এবং সেটা আপনার চোখে দেখা, এতে আমার মতামতের কোন কিছু আসে যায় না! আমি আমার কথা বলছি, আপনি আপনার কথা বলুন, শুনি!

বিদ্রঃ এখানে শুধু স্বামী স্ত্রী চরিত্র নিয়েই কথা হয়েছে, একজন মানুষ নানান চরিত্রে বসবাস করেন, সব চরিত্রে ভাল করা মানুষের কাজ নয়, এটা মুলত বিধাতার খেলা, তিনি খেলেন! নাথিং সিরিয়াস!

(ছবিঃ আমার তোলা, এক দম্পতি কোন এক বিশ্রামাগারে, এদের খৃষ্টান দম্পতি বলেই মনে হল, চমকার, ভাল লেগেছে)

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এই প্রথম কোন ব্লগারের সাথে আড্ডা :-B

লিখেছেন সোহানী, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০১



জীবনের ১৬ বছর ব্লগে কাটিয়েও কারো সাথে কখনই আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়নি। বা বলা যায় দেখা করারই সুযোগ হয়নি। যাহোক, এবার সে সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের আবহাওয়াবিদ ব্লগার [link|https://www.somewhereinblog.net/blog/mostofa_kamal|মোস্তফা কামাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ - সারা'কে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০


আমার কর্মস্থল আমার বাড়ি থেকে প্রায় ১১৪০ কিলোমিটার দূরে, অন্তত গুগল ম্যাপ সেটাই বলছে। তবে অতটা পথ পাড়ি দিয়ে আমাকে প্রতিদিন যেতে আসতে হয় না। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনার কীর্তিকলাপ, কিংবা পাগলামি, কিংবা ভালোবাসা

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

অহনা খুব জ্বালাতন করতো, অর্থাৎ খুব জ্বালাত,
বা বিরক্ত করতো আমাকে, যেমন, হঠাৎ হঠাৎ মাঝরাতে
মোবাইলে কল করে বলতো, ‘তুই যে ঘুমিয়েছিস, ঘুমানোর
আগে কি আমার কথা ভেবেছিস? বল, কতবার ভেবেছিস?
তাহলে একবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ১৫ বছর

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

১৫ বছর পূর্তির এই পোস্টটা যখন লিখছি, তখন আমি একটা বড় পারিবারিক দূর্বিপাকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার ছোটভাইয়ের কনিষ্ঠ পুত্র, যার বয়স ১১ মাস, সে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিব্যক্তি

লিখেছেন আরোগ্য, ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০০





১. অদ্ভুত মোহ মায়ার জগৎ এটা। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে জেনেও বারবার আঁকড়ে ধরার ব্যর্থ চেষ্টায় রত থাকি। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কেউ আর বেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×