somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

কিছু কথা মনে পড়ল, লিখে যাই!

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাৎসরিক ভাবনা ১ঃ
ব্লগে/অনলাইন/ফেসবুকে কিছু লিখলেই কিছু মানুষ এমন গাইঘুই শুরু করে দেয় বা গায়ের উপর টেনে নিয়ে এমন হিংস্র হয়ে উঠে যে, শেষে ব্লক মেরে রক্ষা পেতে হয়! অথচ নাটক, নভেল, সিনেমায় কত কি দেখায় (প্রায় নাটক সিনেমায় নারীকে অসন্মান বা পন্য হিসাবে দেখায়) কিংবা খবরের পাতায় কত কি লেখে (সব কিছুই তো সরকারের বিরুদ্ধে যায়)! সুবিধা মনে হয় এটাই অনলাইনে ব্যক্তিকে হাতের নাগালে পাওয়া যায় আর ওদের নাগাল পাওয়া যায় না!

যারা অনলাইনে কথা বলে আমি মনে করি তারা মুলত আপনার বা সরকারের প্রিয় ব্যক্তি হওয়া উচিত। আপনার দোষ ধরিয়ে আপনাকে সাহায্য করছে এবং আপনাকে সঠিক পথে চলার অহব্বান জানাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের জন্যও এটা মঙ্গল বিষয়, কারন সরকার টাকা খরচ না করে শুধু চোখ রেখেই জানতে পারছে কোথায় কি হচ্ছে, কোন সিধান্ত জনগণের বাইরে দিয়ে যাচ্ছে বা কোনটা সঠিক হয় নাই ইত্যাদি ইত্যাদি।

অনলাইনে সাহস করে ব্যক্তিটা আপনার ও সরকারের শত্রু নন, তিনি বিবেক হিসাবে কাজ করতে চান মাত্র। ফলে কিছু একটা দেখলেই বা আপনার মতের বিপক্ষের কোন কথা দেখলেই মাইন্ড খেয়ে হামলে পড়বেন না এবং সরকার বাহাদুরকে অনুরোধ করবো, যারা লিখে তাদের আপনারা ডেকে নিয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারেন, যদি তার ব্যাখ্যার জবাব আপনাদের কাছে থাকে বা বুঝাতে পারেন, তবে তিনি নিশ্চয় বিরুদ্ধে যাবেন না, আর যদি তার ব্যাখ্যার জবাব আপনাদের না থাকে তবে আপনারাও সংশোধন হয়ে বেশী মানুষের ভালবাসা পেতে পারেন।

মানুষের ভালবাসা ছাড়া মুলত এই দুনিয়াতে আর তেমন কিছুর মুল্য নেই (ঘৃণা মানুষ্য সমাজে কাম্য নয়), মানুষের ভালবাসা অর্জন করার সুযোগ নিন!

বাৎসরিক ভাবনা ২ঃ
দেশের প্রায় প্রতিটা মানুষ এখন এমন হয়েছে যে, সামান্য সুযোগ পেলেই অন্য যে কোন দেশে পাড়ি জমাতে চায়, সেই দেশের নাগরিকত্ব নিতে চায়! যাদের অর্থ, বিদ্যা বুদ্ধি আছে তারা চলেই যাচ্ছে, কোন ভাবেই কাউকে রুখানো যাচ্ছে না! এই সব নিয়ে চিন্তা করলে আমি যা ভেবে পাই, তার প্রধান কারন পাই দেশের দূর্বল ব্যবস্থাপনার শাসন, আজকাল মানুষের চোখকান খোলা, সবাই সব বুঝে, মুখে বলে না, মনে ঠিকই পুষে আছে! (সরকারের উচিত গবেষণা করে বের করা, কেন মানুষ এমন হচ্ছে!)

বাৎসরিক ভাবনা ৩ঃ
স্ত্রীর সাথে সমঝোতা করে, ঝাগড়া বিহীন দিন কাটানো মনে হয় শয়তানের পক্ষেও সম্ভব না!


[প্রবাসী জীবন শেষ আমি দেশে ফিরে ডেফোডিল গ্রুপ, ডলফিন গ্রুপ, একমি গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ল্যাবএইড গ্রুপ (এরা সবাই মুলত গ্রুপ অফ ইন্ডাষ্টিজ) সহ আরো কয়েকটা কোম্পানীতে (নাম হয়ত পরে মনে পড়বে বা এই লেখা শেষ হলে) কাজ করেছি (বড় পোষ্টেই এবং সরাসরি মালিকদের সাথেই কাজ করার সুযোগ হয়েছে এবং ভাল কর্মী হিসাবেই পরিচিত পেয়েছি, এই ফেবুতেই অনেকে আছেন যারা আমার সহকর্মী ছিলেন, তারা আমার কাজ কি ছিলো বা কেমন কাজ করতাম তা বঅলতে পারবেন), পাশাপাশি নিজেও কিছু না কিছু করেই গেছি, এমন কি শেয়ার মার্কেট সহ নিজেও শেয়ারে একটা ইলেক্ট্রনিক কোম্পানী সহ একটা সাপ্লাই কোম্পানী খুলে ছিলাম! আরো কত কি! এই কথা গুলো লিখলাম এই জন্য যে, এই যে নানান সময়ে নানান কথা লিখি, আপনারা হয়ত ভাবেন যে, অভিজ্ঞতা ছাড়াই লিখে ফেলছি, আসলে তা নয়, আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ লম্বা, সাইজেও বেশ বড়! নেশায় বুধ হয়ে কোথায় পড়ে থাকি নাই, অন্যায় আর সইতে না পারলে নিজেই তাদের ত্যাগ করে চলে এসেছি (আমি কোথায় হতে ছাটাই বা তারা আমাকে বাদ দেয় নাই, নিজেই পদত্যাগ পত্র লিখে জমা দিয়েছি), অবিচার হতে দেখলে প্রতিরোধ না করতে পারলে নিজেই বের হয়ে এসেছি! অভিজ্ঞতার আলোকেই বলি বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তিদের আমার চেয়ে কে বেশি চিনে? এদের নিয়ে গল্প লিখলে সেই জমজমাট কাহিনী হয়ে যাবে!]
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮
১১টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×