লেখালিখির অনেক বিষয় মাথায় কিলবিল করে, আবার চিন্তা করি এই সব লিখেও কি লাভ! আমাদের দেশের জনসংখ্যা আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ, এটা নিয়ে প্রায় তর্ক বিতর্ক হয়। তবে আমি মনে করি দেশের সরকার ভাল হলে, জনসংখ্যা আর্শীবাদ হত, যেহেতু সরকার ভাল নয় ফলে এটা এখন অভিশাপ! জনসংখ্যার চাপে ছোট এই দেশ কাত হয়ে পড়ছে, আবার কোয়ালিটি বা গুণগত জনসংখ্যা নয় বলে, সামাজিক সমস্যাও বাড়ছে! সর্বোপরি সরকার এখন আর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন নিয়ে কোন কথাই বলে না, চোখে পড়ে না, তাদের ইচ্ছা আসুক, মরে ধরে যা থাকে, থাকুক! শিক্ষার হার বাড়ালে বা সবার জন্য শিক্ষা হলে এমনিতেই জনসংখ্যা কমতো, পাশাপাশি কোয়ালিটি মানুষ বাড়ত!
যাই হোক, উপরের আলোচনা বিশাল আলোচনা, সহজে কয়েক কথায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! বিতর্কে দুই পক্ষের কারোই জেতার সম্ভবনা নেই! আমি আজকের আলোচনা চালাতে চাই, যারা জন্মনিয়ন্ত্রন করছেন, তাদের খরচাপাতি কেমন, ১/২ সন্তানে সীমা রাখতে গিয়ে কেমন খরচ হয় একটা পরিবারে। চলুন, দেখি। জন্ম নিয়ন্ত্রন মুলত দুইভাবে করা করা যায়, পুরুষের নিয়ন্ত্রন এবং নারীর নিয়ন্ত্রন! তবে আরেকটা ধুর্ত শ্রেণী আছে, যারা প্রাকৃতিক উপায় বা সেন্স হিসাবেও বিনা খরচে নিয়ন্ত্রণ করেন, যদিও বিষয়টা রিক্সেই থাকে!
পুরুষের নিয়ন্ত্রনে উপায় মৌলিক উপায় একটাই, কনডম ব্যবহার। বাজারে ৩ পিসের প্যাকেট পাওয়া যায়, সর্ব নিন্ম ২৫টাকা থেকে ১৩০টাকা। প্যান্থার ৩ পিসের প্যাকেটের দাম ২৫টাকা, সেন্সেশন ৩ পিসের প্যাকেট ৪০টাকা, ধনীদের জন্য ডিউরেক্স ৩ পিসের প্যাকেট ১৩০টাকা, আছে বিদেশীও। এবার নিজেই সারা মাসের খরচ বের করুন, কেমন টাকা লাগবে এই খাতে!
এবার আসুন নারীদের ক্ষেত্রে কেমন খরচ হয় দেখি! নারীদের জন্য নানান ধরনের পিল পাওয়া যায়, তা নিদিষ্ট দিনে শুরু করে প্রতিদিন ১টা করে নিদিষ্ট সময়ে খেতে হয়, মাসের বিশেষ দিন গুলো ছাড়া, এই দিনগুলোতেও নারীদের পরিচ্ছন্ন থাকতে খরচাপাতি লাগে বটে। আমার ধারনা মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তে নারীরা (গরীবদের ক্ষেত্রে আমার ধারনা নেই) নিজেরা সতর্ক থাকতে পছন্দ করেন, স্বামীর মুখের দিকে তাকাতে পছন্দ করেন না বলেই বুঝি! নিজের দেহের সাথে ফিট হয় বা পাশপতিক্রিয়া হয় না এমন পিল সিলেকশন করেন বা ডাক্তাদের সাথে কথা বলেই এই সিলেকশনে যান।
বর্তমানে নারীদের জন্য অনেক ধরণের পিল পাওয়া যায়, যার মুল্য ১৮টাকা থেকে শুরু করে ২১০০টাকাও হয়। সর্বনিন্ম প্রোমি পাওয়া যায় ১৮টাকায়, মধ্যবিত্তের জন্য ৪২৫টাকায় পাওয়া যায় নাভালন লাইট, বাদ বাকী ধনীদের জন্য বিদেশী আছেই এবং তা ডাক্তারের পরামর্শে সিলেকশন হয়, ধনী নারীরা স্বাস্থ্য সচেতন, যেহেতু অর্থের অভাব নাই, ফলে উনারা দাম নিয়ে চিন্তা করেন না! নারীদের বিশেষ সময়ে হাইজেনিক স্যানেটারী ন্যাপকিন বা প্যাডের দরকার পড়ে, যার দাম ৬০টাকা থেকে ৩৪০টাকা হয়। স্যানেটারী এই প্যাড গুলো পিস হিসাবে প্যাকেটে থাকে ৮ পিসের জয়া ৬০টাকা, ১৫ পিসের ফ্রিডম ২০০টাকা, ১৬ পিসের ভাল আরেকটা পাওয়া যায় (নাম এই সময়ে মনে করতে পারছি না) যার দাম ৩৪০টাকা। তবে বাজারে আরো অন্তত ৫/৬ ব্যান্ডের এই স্যানিটারি ন্যাপকিন আছে। এছাড়া প্রতি মাসে অন্তত এক বক্স টিস্যু লাগে যার দাম ৫০/৬০টাকা।
পরিবার গুলো কে কিভাবে জন্মনিয়ন্ত্রন করছেন তা বুঝা মুস্কিল, কারন এই ব্যাপারে সাধারনত আমরা মুখ খুলি না, লজ্জা পাই! তবে বাস্তবতায় আরো বুঝা যায় সন্তান ১/২তে রাখতে গিয়ে এই দেশে নারীদের ১/২টা এভরেশন করাতে হয় বা করেই, এবং এটাই চরম সত্য! অন্যদিকে যারা পিল খান না বা অবিবাহিত কিন্তু কর্ম সম্পন্ন হয়, সেই ক্ষেত্রে বিশেষ পিল আছে ২৪/৭২ ঘন্টার মধ্যে বা কর্ম শুরুর আগে খেতে হয়, এটা বিজ্ঞানের সাফল্য!
তথ্য সুত্রঃ তাজ ফার্মেসী
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩