শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য সংগ্রহ এবং তাদের বিভিন্ন তথ্য অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার ব্যবস্থা চালু করেছে রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ
উদ্যোগটা ভালো লাগলো। ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এত টাকা নেয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে , তাদের জন্য এই সব অটোমেশন , ছাত্রছাত্রীদের জন্য হাই স্পিড ইন্টারনেট বাধ্যতামূলক করা যায় না? ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন এবং সরকারের কাছে জোর দাবী থাকলো।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ গুলো যখন মেগাবাইট/ সেকেন্ডে বহির্বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে যোগাযোগ , পড়ালেখা ও জ্ঞান আদান প্রদান করতে পারছে না , সেইখানে কেন শুনি যে বাংলাদেশ ১০০ গিগা রপ্তানি করবে?
১৬ কোটি মানুষের দেশে ২৫ কোটি টাকা আয় করা কোন আহা মরি লাভ না। মাথা পিছু আমাদের আয় হবে ২ টাকারও কম। কি এমন কচু হাতি ঘন্টা উপকার হবে তাতে? ২ টাকা দিয়ে কি উন্নতি করবো আমরা?
প্লিজ , পাঠক, মানুষদেরকে বুঝান , সরকারকে চিঠি দিন, মানব বন্ধন করুন, প্রেস কনফারেন্স করুন, মেইল করুন, ব্লগে লিখুন --- বি এন পি রে বলেন ট্রানজিটের মতন ব্রড ব্যান্ড নিয়ে আন্দোলনে নামতে । অন্তত আগামী দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল- কলেজ, লাইব্রেরী এবং হাসপাতাল গুলাকে ফ্রি হাই স্পিড ইন্টারনেট দিতে বলেন।
কম্পিউটার আমদানীর উপরে জিরো ট্যাক্সের সুফল আমরা দেখেছি।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য - এই দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানে দুইটা বছর ব্রড ব্যান্ড ফ্রি দিতে বলেন।
ছাত্রছাত্রীরা ইন্টার্নশীপ ব্যবস্থার মাধ্যমে লোকাল প্রতিষ্ঠান গুলোর কোন একটা সমস্যা - ভাগে ভাগে- সমাধান করুক থিসিস হিসাবে (যেমনটা বিদেশে হয়) । এই কাজ গুলো করে দেওয়া ও সমস্যা সমাধানের জন্য স্টুডেন্ট ও বিদ্যালয় বেতন ভাগাভাগি করে নিতে পারে।
যেমন ধরুন - ঢাকা মেডিকেল এর হাসপাতালের জন্য ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেকর্ড আর মেডিকেল কলেজের জন্য সি এম এস তৈরী/ ভার্চুয়াল ভার্সিটি করলো ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টরা । কাজটা ছোট ছোট এসাইন্টমেন্ট এ ভাগ করে ৩-৪ মাসের ইন্টার্নশীপ বানানো যায়।
বাইরের কাউকে দিয়ে করালে সরকার যেই পয়সাটা দিত, সেইটাই স্টুডেন্টদেরকে বেতন হিসাবে দিবে। একটা পার্সেন্টেজ স্টুডেন্ট এর সুপারভাইজারের ডিপার্ট্মেন্ট পাবে। এতে করে লাভ ৩ টা।
১। স্টুডেন্টরা সরাসরি কাজ করার মাধ্যমে কাজ শিখবে। রিয়েল প্রবলেম সল্ভিং অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে, সিভির ওজন বাড়বে, কিছু বেতন পাবে। থিসিস পাবলিকেশন পাবে।
২। স্টুডেন্ট এর সুপারভাইজরের ডিপার্ট্মেন্ট এর ফান্ড বাড়বে। ভার্সিটির আয় আসবে। পাবলিকেশন বাড়বে। এইটারে প্রমোশনের সাথে যুক্ত করলে টিচারদের উৎসাহ বাড়বে। এই ফান্ড দিয়া মাস্টার্স, পি এইচ ডি অফার করতে পারবে।
৩। যেই পাবলিক বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধান করা হইলো, তারা আসল বেতনের চেয়ে কম বেতনে ( ইন্টার্নদের বেতন কমই হয়) খুব ভালো কোয়ালিটির সমাধান পাবে। উৎসাহী করার জন্য যারা যত বেশি ইন্টার্ণ নিবে, বেতন ভালো দিবে - তাদের ট্যাক্স বেনিফিট তত বেশি দেওয়া যাইতে পারে। ইন্টার্নশীপে ভালো করলে গ্রাজুয়েশনের পরে সরাসরি চাকুরী দেওয়া যাবে- নিয়োগ টিয়োগ পরীক্ষার ঝামেলা ছাড়াই। এবং, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সেরা কর্মী পাওয়া যাবে।
এই ভাবে কোন আদার ব্যাপারি, ফলের ব্যবসায়ী, সুপার মার্কেট, ঢাকার ট্রাফিক, বিদ্যুৎ এর স্মার্ট গ্রিড, সারা দেশের খাদ্য পরিবহন ব্যবস্থা, পচনশীল কৃষিপণ্যের জন্য নতুন নতুন শিল্প / পণ্য উদ্ভাবন, সুপেয় ও নিরাপদ পানি উৎপাদন ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি সব কিছুই এমন ইন্টার্নশীপ রিসার্চ/ থিসিসের মাধ্যমে করা যায়। বিদেশী ইউনিভার্সিটি গুলোর সাথে যুগ্ম প্রোগ্রাম করা যায়।
এতে বিদেশী কনসাল্টেন্টদের পিছনে বিশাল বেতন জলে ফেলাটা বাঁচে।
এই ভাবে , আমাদের প্রতিষ্ঠান , ব্যবসা গুলো দাঁড়িয়ে যাক। তারপর না হয় , ফি, ট্যাক্স যা ইচ্ছা বসাক।
প্রতিটা পরিবারের জন্য হাসিনাকে চাকুরী বানাইতে হবে না । ব্রড ব্যান্ড ফ্রি / সুলভে দিলে ১ কোটি শিক্ষিত বেকার নিজেরাই কাজ খুঁজে নিবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , আই সি টির নীতিমালায় লিখেছেন বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ইন্টারনেট প্রাপ্তি ও ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা । ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১০০ গিগা কি করে উদ্বৃত্ত হয়?
আমরা কি অংক ভুলেছি?