somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবিরনদের যেন বিদেশে মরতে না হয়

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরিবারের অভাব মিটিয়ে পরিবার পরিজনকে সুখে রাখতে কোন মানুষটি না চায়? আমি এখানে মানুষের কথা বলছি। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে এমনকি তামাম দুনিয়ায় মানুষ নামের কিছু পশু আছে ও থাকবে। থাকাটাই স্বাভাবিক। পরিবারের সুখ ও পেটের ক্ষুধা মেটাতে কাজের সন্ধানে জীবন ও যৌবন উৎসর্গ করে আমাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যার একটি অংশ প্রবাসে পাড়ি জমান। কাজের সন্ধানে। সুন্দর ভবিষ্যতের খোঁজে। অনেকের ভাগ্যে সেই সোনার হরিণ ধরা পড়লেও আবার কেউ ব্যর্থ হন। কাউকে আবার লাশ হয়ে মা ও মাতৃভূমির কাছে ফিরে আসতে হয়। প্রবাসে কর্মরত কর্মীদের একটি বিশাল অংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এই কর্মীদের একটি অংশ আমাদের মা-বোনরা অর্থাৎ নারীকর্মী। আবার নারীকর্মীদের বেশিরভাগেরই প্রবাসে কর্মের পদবি গৃহকর্মী। এদের একটি বড় অংশই সৌদি আরবের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কর্মরত। আমাদের মা-বোনেদের জন্য সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গৃহকর্মীর কাজে কতটা নিরাপদ সেটা নিয়ে শুধু আমার মনেই না সব বিবেকবান মানুষের মনে আছে একটি বড় প্রশ্ন।



২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সৌদি আরব আমাদের দেশ থেকে কর্মী বিশেষ করে পুরুষ কর্মী নেওয়া বন্ধ রাখে। আমাদের সরকারের শুধু পুরুষকর্মী নেওয়ার অনুরোধ বারবারই প্রত্যাখ্যান করে আসছিল সৌদি সরকার। তাদের দাবি, বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই নারী গৃহকর্মী প্রেরণ করার শর্তে তারা বাংলাদেশ থেকে পুরুষকর্মী নিবেন। কারণ সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে যাওয়া ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও শ্রীলংকার নারীকর্মীরা যৌন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সে সকল দেশ সৌদি আরবে তাদের নারীকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে সৌদি আরবে গৃহস্থালির কাজের জন্য নারী গৃহকর্মীর সংকট দেখা দেয়। আর সৌদি সরকারের নারী গৃহকর্মীর চাহিদা মেটানোর জন্যই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসেন। তখন সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে বিশেষভাবে তখন তাদের চাহিদা গৃহস্থালি কাজের জন্য নারী গৃহকর্মী। আর এই প্রস্তাবকে বিশেষ সুযোগ মনে করে সৌদি আরবের কর্মী নেওয়ার প্রস্তাবকে লুফে নেন আমাদের সরকার। সৌদি আরবে দীর্ঘ ছয় বছর কর্মী প্রেরণ বন্ধ থাকাকে অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করে সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেছেন। সরকার সেই গ্লানিকে মুছতেই কোনো ভালো মন্দ যাচাই-বাছাই না করে সৌদি আরবে শ্রমবাজার চালুর জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আট লাখেরও বেশি নারীকর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অর্থাৎ তিন লাখই গেছেন সৌদি আরবে। তবে সমস্যাটা তৈরি হয় সৌদি আরবে গৃহকর্মীদের নিয়ে। ২০১১ সালে সৌদি আরব যখন বাংলাদেশ থেকে নারী গৃহকর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন এর প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছেন আমাদের সাধারণ মানুষদের অনেকেই। তখন আবার একটি সমাজ সৌদি আরবে গৃহস্থালির কাজে আমাদের মা-বোনরা নিরাপদে থাকবেন বলেই মত প্রকাশ করছেন। কিন্তু কয়লা ধুলে কখনই ময়লা যায় না এটাকে সত্য বলে প্রমাণ করেছে সৌদির গৃহকর্তারা। সৌদি আরবে গৃহস্থালি কাজে যাওয়া মা-বোনদের কাছ থেকে আমরা যে নির্মমতার বাস্তব কথা শুনেছি ও শুনছি তা সত্যি মানুষ হিসেবে মেনে নেওয়াটা লজ্জা ও দুঃখজনক। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত চার বছরে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাওয়া ৪১০ নারী লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে শুধু সৌদি আরবেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৩ জন। এছাড়া, জর্ডানে ৬৪ জন, লেবাননে ৫২ জন, ওমানে ৩৮ জন, দুবাইয়ে ২৩ জন এবং কুয়েতে ২০ জন মারা গেছেন। অন্যান্য দেশ থেকে এসেছে ৬০ নারীর মরদেহ। এই ৪১০ জনের মধ্যে ৬৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। শুধু সৌদি আরবেই আত্মহত্যা করেছেন ৩৯ জন। আত্মহত্যা ছাড়াও গত চার বছরে ৬৯ নারী দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে নথিতে বলে হয়েছে। যার মধ্যে সৌদি আরবেই মারা গেছেন ২৯ জন।

২০১৫ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের চুক্তির পরই ওই বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ২১ হাজার নারীকর্মী সৌদি আরবে যান কাজের জন্য। এরপর ২০১৬ সালে পাঠানো হয় ৬৮ হাজার নারী কর্মী। ২০১৭ সালে ৮৩ হাজার, ২০১৮ সালে ৭৩ হাজার, ২০১৯ সালে ৬২ হাজার। তবে বাস্তব সত্য হলো, সরকার সৌদি আরবে নারীকর্মী পাঠানোর চুক্তি করেই দায়িত্বে সমাপ্তি টেনেছেন। এরপর রিক্রুটিং এজেন্টগুলো কীভাবে কর্মী প্রেরণ করেছে এবং ঐ কর্মীরা সৌদি যাওয়ার পর কি অবস্থায় আছে তার খোঁজ আদৌ কি কেউ রেখেছেন? বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের আমাদের দেশের দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কিত প্রশ্ন আছে। ওই সব দেশে আমাদের কর্মীরা বেশি থাকলেও সেখানে তাদেকে দেখভাল করতে দূতাবাসগুলো সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কখনই আমাদের কর্মীদের বিপদে বা প্রয়োজনে পাশে পাওয়া যায়নি কাউকে। তাদের সঙ্গে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক রাজা-প্রজার মতো। অথচ আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিই প্রবাসী কর্মীরা।

২০১৯ সালের অক্টোবরে সৌদি আরবের রিয়াদে খুন হন খুলনার আবিরন বেগম। ২০১৭ সালে সরকারিভাবে গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরবে রিয়াদে যান তিনি। কয়েক মাস ভালো গেলেও পরে সৌদি আরবের গৃহকর্তা ও তার পরিবারের নির্মম অত্যাচারে জীবন দিতে হয় আবিরনকে। এরপর গত বছরের ২৪ অক্টোবর কফিনে মুড়ে আবিরনের লাশ দেশে ফেরে। লাশের সঙ্গে আসা আবিরনের মৃত্যুসনদে মৃত্যুর কারণের জায়গায় লেখা ছিল ‘মার্ডার’ বা হত্যা। সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীদের নির্যাতন বা হত্যার শিকার হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারের ব্যবস্থার নজির কম হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চাপে সৌদি আরবসহ বাংলাদেশ দূতাবাস আবিরনের হত্যা মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদের (ক্রিমিনাল কোর্ট ৬) আদালতে আবিরন হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু হয়। সৌদি আরবসহ বাংলাদেশে দূতাবাসের তথ্য অনুসারে প্রথম দিনের শুনানি শেষে আবিরন হত্যা মামলায় আটক তিন সৌদি নাগরিক আবিরনের গৃহকর্তা বাসেম সালেম, তার স্ত্রী আয়েশা আল জিজানি এবং এই দম্পতির ছেলে ওয়ালিদ বাসেম সালেমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন সেই সঙ্গে আবিরনের মৃত্যুতে আদালত দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে সৌদি শরিয়া আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলেও আদালত উল্লেখ করেছেন। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছি। কিন্তু আমজনতার কাছে সরকারের এমন বক্তব্য কতটা কার্যকর তা নিয়েই আসল প্রশ্ন। গত তিন বছরে দেশে শ্রমশক্তি নিয়ে নতুন জরিপ করা হয়নি। তাই দেশে কর্মক্ষম মানুষের কত শতাংশ বেকার বলা মুশকিল। তবে আমাদের তরুণ ও যুবকদের একটি বিরাট অংশই ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত। তাই তারা বিভিন্ন সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর বন জঙ্গল মরুভূমি পাড়ি দিয়ে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় উন্নত দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলের গণকবরের কথা আমাদের সকলেরই খেয়াল আছে। যে কথা বলছিলাম আমাদের নারী কর্মীদের বিদেশে পাঠাতে হলে সরকারকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতেই হবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। তাদের পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের বিদেশে কাজের জন্য প্রেরণ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে থাকা আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হবে কর্মীদের তদারকির জন্য লেবার উইংকে দায়িত্বশীল করে তোলা এবং প্রতিনিয়ত কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া তাদের কর্মক্ষেত্রসহ যেখানেই কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা চাই না আর কোনো আবিরন বেগম নিজের পরিবারের তথা রাষ্ট্রের ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরুক। আবিরনসহ প্রবাসের মাটিতে খুনের শিকার হওয়া প্রতিটি ঘটনারই যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করবে আমাদের সরকার। না হয় সরকারের কাছে অনুরোধ করব প্লিজ, মধ্যপ্রাচ্যে নারীকর্মী প্রেরণ বন্ধ করে আমার মা-বোনদের জীবন, মান-ইজ্জত ও সম্মান রক্ষা করবেন।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×