somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ও বাংলাদেশের ওপর হামলা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে কোনোভাবেই একটি বিচ্ছিন্ন, আকস্মিক বা সাধারণ ঘটনা হিসেবে দেখার ও সুযোগ নেই। এটি একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনা। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০২৪ এর পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের মাঝে এক ধরনের ভয়ের সৃষ্টি করে একদিকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে অপর দিকে নিজেদের শক্তির প্রমান দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায়, দিনের আলোয়, জুমার নামাজের পরপরই হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা হয় চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রসৈনিক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও মুখপাত্র সময়ের জনপ্রিয় তরুন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শরিফ ওসমান হাদীর ওপর। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে এমন এক সময়ে, যখন এলাকাটি জনসমাগমে মুখর ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা শরিফ ওসমান হাদীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিংগাপুরের । দিনের আলোয়, জনবহুল এলাকায়, জুম্মার নামাজের ঠিক পরপরই এমন একটি হামলাকে নিছক অপরাধমূলক ঘটনা হিসেবে ব্যাখ্যা করা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এই হামলার রাজনৈতিক তাৎপর্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে সময়ের প্রেক্ষাপটে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। দেশ যখন ফেব্রুয়ারি ২০২৬ এর নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ বাড়ার এই মুহূর্তে সংঘটিত এমন একটি হামলা স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও বার্তার দিকে ইঙ্গিত করে। যারা এটিকে ‘সাধারণ অপরাধ’ বলে উড়িয়ে দিতে চান, তারা হয় বাস্তবতা অস্বীকার করছেন, নয়তো সচেতন ভাবেই ঘটনাটির রাজনৈতিক মাত্রা আড়াল করতে চাইছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। এটি কোনো একক দল বা গোষ্ঠীর আন্দোলন ছিল না এটি ছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ, বঞ্চনা, অসম্মান ও পরাধীনতার অনুভূতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ই সম্মিলিত বিস্ফোরণ। এই অভ্যুত্থান দেখিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় দমন পীড়ন, ভয়ভীতি, প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কিংবা বিদেশি সমর্থন যত শক্তিশালীই হোক না কেন, জনগণের সম্মিলিত রাজনৈতিক চেতনার সামনে সেগুলো টিকতে পারে না । ২০২৪ এর জুলাই–আগস্টের গনঅভ্যুত্থান নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেছে যে ক্ষমতার প্রকৃত উৎস বন্দুক, প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বা ক্ষমতার চেয়ার নয় বরং জনগণের সম্মতি।

এই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসৈনিকদের একজন হিসেবে শরিফ ওসমান হাদীর নাম আজ তরুণ সমাজের রাজনৈতিক অভিধানে একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি কেবল একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দেন না তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন একটি নতুন রাজনৈতিক ভাষার, নতুন নৈতিক অবস্থান এবং একটি ভিন্ন ধরনের সাহসের। ফলে তাঁর ওপর সংঘটিত হামলাকে ব্যক্তিগত বা আকস্মিক ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এটি মূলত ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ওপর, নতুন বাংলাদেশের উপর আর সেই চেতনার ধারক ও বাহকদের ওপর একটি সুপরিকল্পিত হামলা । এই হামলার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের উপর একটি ভয়ংকর বার্তা ছোড়া হচ্ছে যারা জনগণের হয়ে কথা বলবে, যারা ক্ষমতাকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চাইবে, তাদের জন্য ভয় ও শাস্তির রাজনীতি অপেক্ষা করছে। এটি কেবল একজন ব্যক্তি ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে হামলা নয়নএটি একটি সম্পূর্ণ প্রজন্মের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে আক্রমণ। শরিফ ওসমান হাদি কেবল একজন সম্ভাব্য রাজনীতিবীদ ই নন তিনি এমন এক প্রজন্মের প্রতিনিধি, যে প্রজন্ম ভয়কে স্বাভাবিক বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে। এই প্রজন্ম দেশ ও জাতীর প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুত।

এই প্রজন্ম জানে উন্নয়নের নামে কীভাবে নাগরিক অধিকার খর্ব করা হয়, নিরাপত্তার অজুহাতে কীভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হয়, এবং জাতীয় স্বার্থের কথা বলে কীভাবে ভিনদেশি স্বার্থ রক্ষা করা হয়। শরিফ ওসমান হাদি সেই প্রশ্নগুলোই প্রকাশ্যে তুলেছেন, যেগুলো বহু মানুষ মনে মনে ধারণ করলেও প্রকাশ্যে উচ্চারণ করার সাহস পান না। তাঁর ওপর হামলা মানে সেই প্রশ্নগুলোকে স্তব্ধ করার চেষ্টা, সেই সাহসকে ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টা। ইতিহাস আমাদের শেখায়, প্রতিটি গণঅভ্যুত্থানের পর পরাজিত ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি নতুন রূপে ফিরে আসে। কখনো তারা প্রশাসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকে, কখনো তথাকথিত আইনশৃঙ্খলার নামে দমননীতি চালায়, আবার কখনো সন্ত্রাস, হামলা ও ভয়ভীতির পথ বেছে নেয়। শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলা সেই প্রতিক্রিয়াশীলতারই আধুনিক সংস্করণ, যার লক্ষ্য জুলাইয়ের গণজাগরণকে ধীরে ধীরে নিস্তেজ করে দেওয়া এবং জনগণের রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাস ভেঙে ফেলা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাকে দীর্ঘদিন ধরে একটি নিষিদ্ধ বিষয়ে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব কিংবা সমমর্যাদার সম্পর্কের কথা বললেই রাষ্ট্রদ্রোহের তকমা আরোপের প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। অথচ এটি কোনো বিদ্বেষমূলক অবস্থান নয় বরং এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। সীমান্তে নির্বিচার হত্যা, নদীর পানিবণ্টনে বৈষম্য, অসম বাণিজ্যিক চুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে একতরফা নির্ভরশীলতা এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এসব বিষয়ে প্রশ্ন তোলাই প্রকৃত দেশপ্রেমের অংশ। আর শরিফ ওসমান হাদি সেই জায়গা থেকেই কথা বলেছেন। তাঁর জনপ্রিয়তার মূল কারণ এখানেই তিনি ভয় পান নাই , আপস করেন নাই এবং অসুবিধাজনক সত্য উচ্চারণ করতে দ্বিধা করেন নাই। ফলে তাঁর ওপর আঘাত আসাটা অনেকের কাছেই ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক । যারা আধিপত্য নির্ভর রাজনীতির সুবিধাভোগী, যারা বিদেশি শক্তির ছত্রছায়ায় দেশ শাসনকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়, তাদের কাছে এমন কণ্ঠস্বর স্বাভাবিকভাবেই হুমকি হয়ে ওঠে।

শরিফ ওসমান হাদী আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছিল। তার নির্বাচনী এলাকা হলো ঢাকা–৮। ঐতিহাসিক ভাবেই এই আসনটি ক্ষমতার রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এই আসনে লড়াই মানে কেবল একটি সংসদীয় আসন দখলের প্রতিযোগিতা নয় এটি একটি রাজনৈতিক দর্শনের মুখোমুখি অবস্থান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শরিফ ওসমান হাদির সম্ভাব্য উত্থান ক্ষমতাকেন্দ্রিক, দলনির্ভর এবং সুবিধাবাদী রাজনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি কোনো প্রচলিত দলীয় কাঠামোর সুরক্ষা বলয়ের ভেতরে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেন নানতিনি দাঁড়ান জনগণের ক্ষোভ, প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার ওপর। এই অবস্থানই ফ্যাসিবাদী মানসিকতার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কারণ এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, কেনা যায় না এবং ভয় দেখিয়ে সহজে দমন করা যায় না।

২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান আমাদের একটি নতুন রাজনৈতিক ভাষা শিখিয়েছে। সেখানে নেতৃত্ব মানে কেবল ক্ষমতার চেয়ারে বসা নয়, বরং নৈতিক দৃঢ়তা ও দায়বদ্ধতা। সেখানে রাজনীতি মানে কেবল নির্বাচনী অঙ্ক নয়, বরং ত্যাগ, ঝুঁকি এবং জনগণের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা। শরিফ ওসমান হাদি সেই নতুন ভাষারই একজন স্পষ্ট বক্তা। তাঁর ওপর আঘাত মানে সেই ভাষাকে বিকৃত করার চেষ্টা এবং জনগণের রাজনৈতিক চেতনাকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস। এই হামলার মাধ্যমে একটি ভয়ংকর বার্তা দেওয়া হচ্ছে স্বাধীনভাবে কথা বললে, প্রচলিত ক্ষমতার বাইরে দাঁড়ালে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস বলে, ভয় দেখিয়ে কোনো জাতির রাজনৈতিক জাগরণকে দীর্ঘদিন দমিয়ে রাখা যায় না। বরং প্রতিটি দমন–পীড়ন শেষ পর্যন্ত আরও বড় প্রতিরোধ এবং আরও গভীর রাজনৈতিক সচেতনতার জন্ম দেয়।

এই প্রেক্ষাপটে শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা রাষ্ট্রের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। নীরবতা, গড়িমসি কিংবা বিষয়টিকে লঘু করে দেখার চেষ্টা মানেই অপরাধীদের উৎসাহ দেওয়া। রাষ্ট্র যদি সত্যিই ২০২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, তবে তাকে এই হামলার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান, ন্যায়সঙ্গত ও কঠোর অবস্থান নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটি কোনো একক ব্যক্তিকে ঘিরে নয়। প্রশ্নটি হলো আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই। একটি ভয়ের বাংলাদেশ, না কি একটি আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ? একটি পরাধীন মানসিকতার রাষ্ট্র, না কি একটি সার্বভৌম ও সাহসী জাতি? সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের তরুণেরা ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমো পুংখানো পুংখানো দিয়েছে। এখন দায়িত্ব সেই উত্তরকে সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তর করার। শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলা বাংলাদেশের ওপর হামলা, জুলাই চেতনার উপর হামলা। এটি কোনো আবেগী বা প্রতিক্রিয়া নয় এটি একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা। কারণ আজ যে কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে, কাল সেটিই হয়ে উঠতে পারে জাতির মুক্তির ভাষা। ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, দমন করে কোনো চেতনাকে হত্যা করা যায় না বরং সেই চেতনা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে।


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×