আজকে জাতীয় শোক বাংলাদেশ সরকারের।আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ সরকারকে কারন তারা তাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেছেন।আর কিবা করার আছে? এটা একটি দুর্ঘটনা মাত্র। যদিও ভবনটির সবকিসছু ঠিকঠাক মতই ছিল! ঠিক কি ছিলনা? পুকুর ভরাট করে ভবন বানিয়েছেন আনুমতিও পেয়েছেন, ৫ তলার ফাউন্ডেশনে ৮তলা ভবন নির্মাণ করেছেন তাতে কি! কেউ কি দেখার আছে? এই দেশে টাকা থাকলে সবকিছু সম্ভব!৮তলা ফাউন্ডেশনে ১৮ তলাও বানান যায়। ওই ভবন ও গার্মেন্টস মালিকদের এখন বিচারের নামে কত কিছু হবে দুই চার দিন টিভি চ্যালেনগুলো গুরুত্বের সাথে নিউজ দিবে হাজার হলেও TRP বলে কথা! রাজনীতিবিদগন কিছুদিন সরকারকে দোষারোপ করবেন, পুলিশ,র‍্যাব,ডিবি কয়েক দিন খুব লাফালাফি করবেন, দেশের মানুষ চা এর কাপে চুমুক দিতে দিতে বলবেন দেশটা রসাতলে যাচ্ছে। তারপর কি হবে? সরকার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ লাশপ্রতি দাম দিবেন। সেই দামের টাকা যাতে কম দিতে হয়, তার জন্য সরকারি হিসাবে মারা যাবে ১০০ জন কিন্তু বেসরকারি হিসাবে তা হবে ১৫০ থেকে ২০০ জন। যা হোক ওই ১০০ পরিবারের মধ্যে ৫০ পরিবার টাকা পাবে কিনা তা আর জানা যাবেনা! কারন ওই খানে আর TRP থাকবেনা মানুষ সব কিছু ভুলেযাবে। কিন্তু ভুলতে পারবেনা কিছু পরিবার সারাজীবনেও কারন তারা তাদের এমন একজনকে হারিয়েছেন যে ভোলার মতো না! আর যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছে তারা সারাজীবন বুকের মধ্যে দুঃস্বপ্ন নিয়ে ধুকেধুকে মরবে। মাঝে মাঝে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে আমরা কি আসলে স্বাধীন? মানুষের কোন দাম নেয় এই দেশে, তবে এই দেশে লাশের দাম আছে! এই রকম একটা ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি যাই হোক এক শ্রেণির মানুষের পকেট কিন্তু ভালই ভারি হয়। টক-শো গুলতে নতুন একটা আলোচনার বিষয় পাওয়া যায়, দুই চার দিন ভালই চলে। এইরকম ঘটনা প্রতি সপ্তহে একটা করে ঘটলে মন্দ হয়না। আর এ কাজে সাহায্য করতে পারে রাজউক! তাদের কে কিন্তু বিনা পারিশ্রমিকে সাহায্য করতে হবে না। মাসে মাসে বেতনের পাশাপাশি অফিসে বসে থাকার জন্য এক্সট্রা প্যাকেট তো থাকছে। ভুল করে আবার প্যাকেট না নিয়ে যদি কাউকে কিছু বলতে যায় তাহলে ব্যাপারটা দেখার মত, এবার একজন মন্ত্রীর APS ফোন করবে “কিরে তুই কার অনুমতি নিয়া গেছিস? যা অফিস যাইয়া চুপ চাপ বসে থাক! বেশি মাতব্বরি করলে চাকরি কিন্তু থাকবে না!” বেচারা লেজ গুটিয়ে চলে যাবে।দেশের উন্নতি করবে কারা মন্ত্রী এমপিরা তাই না? তাদের যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, দেশের উন্নতি কি করে চিন্তা করেন? তাদের উন্নতির জন্য এরকম কিছু ঘটনা মাঝে মাঝে না ঘটলে কেমন করে হয়।এতো টাকা আমরা কি করব? টাকাতো আরও অনেক দরকার মরার পর টাকা না হইলে কবর কি করে দিবে? নাকি টাকা নিয়া গিয়ে ওপারে কাউকে ঘুষ দিয়ে যদি কোন কাজ করানো যায় কিনা, ঘুষ দিয়া যদি দোযখ থেকে বাঁচা যায়! আজকাল টাকা আবার দুই ধরণের কাল আর সাদা, কাল টাকা আপনি যেকোনো সময় সাদা বানাতে পারবেন তাই ভয় নাই। যা হোক এমন ঘটনা আরও অনেক ঘটবে আমরা সাধারন জনগন কিছুদিন একটা আলোচনার বিষয় খুজে পাবো, রহীম মিয়ার চা এর দোকানে ভালই আলোচনা হবে। এছাড়া আর কি করার আছে আমাদের কি বা করবেন? আন্দোলন? হ্যা তা একবার করে দেখতে পারেন!তাতেও কিন্তু লাভ একটা থাকে সবার জন্য। আপনে কিছু বাক্তির সমর্থন পাবেন, ফ্রী খাবার পাবেন, টিভি চ্যালেন গুলো দেখাবে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁশির দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে পাশাপাশি তাদের আরও একটা দাবি আছে যেখানে তারা ভবন মালিকদের ফাঁশি দাবি করছে। কি বিশ্বাস হচ্ছেনা এমনটা নিউজে আসবে? বিশ্বাস না হবার কিছু নাই! যখন ছাত্র ছাত্রিরা HSC পরীক্ষার তারিখ পিছানোর জন্য আন্দোলন করল, তখন নিউজে দেখলাম হরতালের কারনে পরীক্ষা না দিতে পারায় আন্দলনে নামেছে ছাত্র ছাত্রিরা। যা হোক পাগলের প্রলাপ অনেক বকলাম! কিন্তু আমি একমাত্র পাগল না, আরও অনেক পাগল আছেন তার আমি প্রমান দিয়ে যাই।
(১) বিরোধীদল(সরাসরি বিরোধীদল না বললেও আমরদেশ ও বাশেরকেল্লা পেজ গুল লিখেছে) “বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বুধবারের হরতাল জনগণ মানেনি—এটা বোঝাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য নেতা গার্মেন্ট মালিকদের চাপ দেন কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করতে। ক্ষমতাসীনদের চাপের প্রেক্ষিতে মালিকরা শ্রমিকদের বুধবার কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন বলে জানা গেছে। আহত অনেকে অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের হরতাল ঠেকাতে ওই ভবনে নারী শ্রমিকদের জড়ো করেছিলেন ভবনটির মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা।
শ্রমিকদের জোর করে রানা প্লাজার বিভিন্ন কারখানায় বুধবার ঢোকানো হয় বলে আহত শ্রমিক ও তাদের অভিভাবকরা জানান।” পত্রিকা থেকে সংগৃহীত।
Click This Link
যাই হোক তাদের কথাটাতে কতটা পাগলামি থাকতে পারে তা আমি জানিনা। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যা বললেন একে আমি কি বলব?
(২)মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “সাভারে ধসে পড়া নয় তলা ভবন থেকে আগেই সব লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, হতাহতরা পরে জিনিসপত্র আনতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে।” পত্রিকা থেকে সংগৃহীত। Click This Link
(৩)মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী “কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে...ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে” পত্রিকা থেকে সংগৃহীত। Click This Link) এরা আমদের দেশের বর্তমান বা ভবিষ্যত মন্ত্রী তাহলে দেশ যারা চালাই বা চালাবে দেখে শুনে সেই পাগলদের ভোট দেয় যে জনগন তাদের চে বড় পাগল র কে আছে? সবশেষে একটা কথা বলতে চাই ভবন ধসে পড়ুক, পদ্মাসেতু তৈরি না হোক বা আর য সমস্যা হক আমাদের দেশে। এর পিছনে একটাই কারণ, তা হল দুর্নীতি, ভবনটি নির্মাণের সময় দুর্নীতি হয়েছিলো বলে আজ আমদের এতোগুলো লাশ দেখতে হলো আর এ ঘটনা গুল নতুন না আমরা অনেকবার দেখেছি গার্মেন্টস শ্রমিকদের এভাবে অকালে মরতে। কারণ একটাই এদেশে কোন আইনের শাসন নাই ঘুষ দিলে সব হয়। আমরা মনে হয় যদি বাংলাদেশে কোন আন্দোলন করতে হয় আর যদি তার কোন দফা থাকে তাহলে সবার উপরে এবং সর্বপ্রথম যে দফাটা হওয়া উচিত তা দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই..................।