সব শুনে ও বলল দুঃখ করিস না, তোর মত আমিও ভুক্তভোগী; আসলে প্রেম বিয়ে সব ভোগাস বুঝলি ? আবার একা থাকাও যন্ত্রণ! এর চাইতে আয় আমরা লিভ টুগেদার করি। আমি বললাম মাথা খারাপ ! বাবা-মা জানলে জ্যান্ত পুতে ফেলবে। ও বলল – না জানালেই হয়, গোপন রাখবি। আমি বল্লাম-মাফ চাই ইয়ার, আমাকে দিয়ে ওসব হবেনা,তুই বরং অন্য কাওকে খোঁজ। এই হল আমার সাবেক দোস্ত সঞ্চিতা ধর, আসল নামটা অন্য, আমার সঞ্চিতা ডাকতে ভালো লাগতো, তাই ডাকতাম।
মোবাইল ফোন এবং ফেসবুকে ও আমাকে মডার্ন সেক্স এবং মেক আউট এর মত ড্যাশ ড্যাশ ব্যাপারে পরম আগ্রহের সাথে জ্ঞান দান করত। আর আমি ‘শুনতে একটুও আগ্রহী নই’ এমন একটা ভাব নিয়ে প্রসঙ্গ এরবার বাহানা খুঁজতাম। কিন্তু তখনো বুঝিনি এ বাহানাই ছিল ওর আনন্দের হাতিয়ার!
একদিন ইয়াহু মেসেঞ্জারে বলেই বসলো- আমাকে এক বোতল স্পারম দে, ফেস ওয়াশ করব। আমি বললাম- আস্তাগ ফিরুল্লাহ, ও কথা মুখে আনাও পাপ। হাজব্যান্ডের জন্য অ্যাটলিস্ট কিছু রাখ। সত্যি সত্যি যে আমি চূড়ান্ত অকর্মা, তা বুঝতে পেরে ও আমার আশা ত্যাগ করল। খাঁটী বাংলায় কিছু গালাগাল দিয়ে বলল- আসলেই তুই একটা গ্রাম্য খ্যাঁত, এ কারনেই তোর এই অবস্থা!
এদিকে আমার ব্যাভিচারি কানের এই নির্লজ্জ অগ্রগতিকে আর কিছুতেই প্রশ্রয় দিতে রাজী হছছিলনা আমার বেরসিক মন। তাই সঙ্গত কারনেই এই সম্পর্কের ইতি টানতে বাধ্য হলাম। তবে শেষে আরও একটা সত্যি বলতে বাধ্য হচ্ছি-
সঞ্চি তোর অমন মার মার কাট কাট প্যাকেজ অফার আমার মনের ভেতরে একটুও যে নাড়া দেয়নি তা নয়, কিন্তু তোর কাছে ঘেঁষতে যতনা মা বাবার ভয়, তার চে বেশী ভয় ‘কেরামিন কাতেবিন’- যদি ফাইনালি ব্যাড রিপোর্ট করে দ্যায়!
গ্রন্থ- পূর্ণিমার পর।
মহান একুশে বইমেলা ২০১২ তে প্রকাশিত
জলশিরি প্রকাশনী
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪১