বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বাকী খেয়ে পরিশোধ না করার পরও যে মানুষটিকে মামুর দোকানের মামুরাও ভালবাসতেন, বাকী খাওয়াতে পেরে উল্টো গর্ববোধ করতেন তিনি হুমায়ুন ফরিদী ৷
.
সারাজীবন একজন ভিলেন থেকেও নায়ক বনে যাওয়ার গল্পের রেকর্ডটিও তার,
.
হুমায়ূন ফরীদিকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ একটা লেখা আছে আরো বড় বেপার হলো দেশে পঞ্চ হুমায়ুন থাকলেও ফরিদী কেবল একজন ই /
.
হুমায়ুন আহমেদ ফরিদীকে কতটা ভালবাসতেন তা তার লেখার নামকরণ 'মিতা' দেখলেই বুঝা যায় ৷ লেখাটি পড়ে বুঝেছি, যে বেইলি রোডে আজকে তোমরা তাহসানকে নিয়ে মাতামাতি করো সেটা একদিন ফরিদীর দখলে ছিলো ৷
.
একদিকে হুমায়ুন ফরিদী আমারও মিতা কারণ তিনিও অর্থনীতির ছাত্র, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোডাক্ট, আমাকেও অনেকে গুন্ডা ডাকে, আমার মতো তারও রসবোধ ছিল প্রখর ৷ ২০০৮ সালে বিচ্ছেদের পর সে ও একা কাটিয়ে দিয়েছে জীবন, আমরাও কাটাচ্ছি...! জীবনে সবি সাময়িক ৷
.
সত্যি বলতে নায়কের চেয়ে খলনায়কের জনপ্রিয়তা বেশী, পৃথিবীর বুকে এমন দৃশ্যের খোঁজ পাওয়াও হয়তো কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে ৷
.
কিছু মানুষের জন্ম হয় ট্রেন্ড চেঞ্জ করার জন্য, ভেঙ্গে চুরমার করে দেন্ বহুকাল ধরে চলে আসা ধ্যান ধারণাগুলোর, আবার চলেও যায় কিন্তু সৃষ্টি করে দিয়ে যায় শূন্যতার ৷
.
সত্যি বলতে ২০১২ সালে ফরিদীর মৃত্যুর পর বাংলাদেশে আর কোন ভিলেন আসেনি, আসবে কি না জানি না ৷
.
ফেসবুক লিস্টে Quazi Sabir ভাই তার কাছের মানুষ, তিনি একদিন ভিলেনকে বললেন, 'আংকেল, আমার সাথে একটু শচিনের দেখা করায়ে দেন। অনেকদিনের স্বপ্ন!' তা শুনে হুমায়ুন ফরিদী বলেছিলেন, শচিনের সাথে দেখা করা লাগবে না। আমার সাথে দেখা হয়েছে এটাই অনেক।
.
আজ সে মানুষটাও বড় হয়েছে ৷ তাকে নিয়ে গর্ব করতে শিখেছে ৷ একদিন মরে গেলে আমরাও লিজেন্ড বুঝতে শিখি ৷
.
এই মানুষটা ১৯৬৫ সালে একদিন বাবার টাকা চুরি করে সাধু সেজে বসে ছিলো, তার দাবী সেটাই তার জীবনের প্রথম অভিনয় ৷
.
এরপরে অভিনয় করে গেছেন ক্রমাগত, ৬০ বছর বেচারা বেঁচে ছিলেন অথচ মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন ২০১৮ সালে হয়তো কবর থেকে সেই খবর পেয়ে চিরাচরিত হাহাহাহা করে উঠেছেন ৷ এ যেনো আরেক পদকাভিনয় ৷
.
একটা কথা বলি, যা কেউ বলেনা, আমি ভাই, সোজা সরল মানুষ ৷ দরকার হলে মরণোত্তর পদক না দিয়ে বেঁচে থাকতে একটা চকলেট দাও ৷
.
মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা গেছে সুকান্ত, সময়ের অভাবে তাকে এমন পদক দিলে সেটা ভিন্ন কথা কিন্তু মরে প্রমাণ করতে হবে কেনো আমি মেধাবী ছিলাম!
.
মেজাজটা খারাপ হয়ে গেছে! ধুত্তরি আর লিখুম না ৷ যেখানে থাকো না কেনো ভালো থেকো লিজেন্ড ৷ তোমার ধর্ষণের অভিনয়ের সীনগুলো হেব্বী ছিলো ৷ ছোট বেলায় মনে হতো তুমি সত্যি সত্যি অনেক খারাপ ৷
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১২