somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

বিলুনী
সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

নভোনীল পর্ব-১০ ( রিম সাবরিনা জাহান সরকারের অসম্পূর্ণ গল্পের ধারাবাহিকতায়)

২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পর্ব ৯এর শেষ কটি কথা খুব আলগুছে কাল রাতে লেখা দীর্ঘ চিঠিটা ব্যাগের পকেটে গুঁজে দিল মৃন্ময়ী....
সে রাত্রে ব্যগের পকেটে গুঁজা মৃন্ময়ির চিঠিখানি পাঠ শেষে নভো ঘরের বাতি নিবিয়ে বিছানায় শয়ন করে বর্ষানিশীথের সমস্ত শব্দ এবং সমস্ত নিস্তব্ধতার পরপ্রান্ত হতে বিজন বিনিদ্র শয্যায় মৃন্ময়ীর কথাই ভাবতেছিল । মৃন্মমীর টানা টানা দুটি কালো চক্ষুতে না ছিল লজ্জা, না ছিল ভয়, তবে ছিল হাবভাবলীলার কিছু লেশ। পুরাতন কিছু কথাও ভাবছিল । মনে পড়ছিল একই ক্লাশের নবাগত ছাত্র হিসাবে তার আচার ব্যবহার সম্বন্ধে বিস্তর বাহুল্য বর্ণনা সে বেহুদাই করেনি।

নভো নিজেকে কেবলই এই বলে পীড়া দিতে লাগল যে, এতদিনকার সেই ভাবনার ভুলটা কি উপায়ে সংশোধন করে নেয়া যায় । মৃন্ময়ী ছলাকলার আভাসে ঈঙ্গিতে যে কথা বলতে চেয়েছিল এতদিন ধরে, তা কেন তাকে বুঝতে হল তার পত্রটি পড়ে ।

পরদিন রৌদ্রোজ্জ্বল নির্মল চঞ্চল নির্ঝরিণীর দিকে অবনত হয়ে কৌতূহলী পথিক যেমন নিবিষ্ট দৃষ্টিতে তার নির্ঝর জলরাশি দেখতে থাকে, নভো তেমনি করে পরের দিন ক্যাম্পাসে যথাস্থানে গিয়ে ফাগুন ঝড়া আগুনের দিনে গভীর গম্ভীর নেত্রে মৃন্ময়ীর অধোবোদনকৃত মুখের উপর তড়িত্তরল দুটি চক্ষুর দিকে চেয়ে দেখল এবং অপলোকভাবে চোখে চোখ রেখে অসম্পন্ন চিন্তা ছেড়ে দিয়ে যথা কর্তব্যটি ভেবে নিল ।

নভোর চোখে চোখ পড়া মাত্রই নৃত্যময়ী প্রকৃতির নূপুরনিক্কণের ন্যায় চঞ্চল মৃন্ময়ীর হাস্যধ্বনিটি সমস্ত আকাশ ব্যাপিয়া চিন্তামুক্ত নভোর মনে বাজতে লাগল । নভো দেখতে পেল একটি গম্ভীর স্নিগ্ধ বিশাল রমণীপ্রকৃতি মৃন্ময়ীর সমস্ত শরীরে ও সমস্ত অন্তরে রেখায় রেখায় ভরে উঠছিল ।

সেইতো লাইনে এলি তবে এত দেরী করলে কেন, একথা ভেবে প্রথম আষাঢ়ের শ্যামসজল নবমেঘের মতো মৃন্ময়ীর হৃদয়ে একটি অপূর্ণ বিস্তীর্ণ অভিমানের সঞ্চারও হল। সেই অভিমান তার চোখের ছায়াময় সুদীর্ঘ পল্লবের উপর আর-একটি গভীরতর ছায়া প্রক্ষেপন করল।

নভো মনে-মনে বলতে লাগল, আমি আমাকে বুঝতে পারি নাই বলে তুমি আমাকে আরো আগেই বুঝালে না কেন।
এখন এর পরিনতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কে বলবে ।


ছবি সুত্র : কৃতজ্ঞতার সহিত গুগল ইমেজ

পুর্বেরপর্বের লিংক
নভোনীল পর্ব -১ ব্লগার রিম সাবরিনা জাহান সরকার Click This Link

নভোনীল পর্ব-২ পদ্ম পুকুর Click This Link

নভোনীল পর্ব-৩ ব্লগার মেঘশুভ্রনীল Click This Link

নভোনীল পর্ব -৪ ব্লগার খায়রুল আহসান Click This Link

নভোনীল পর্ব-৫ ব্লগার আখেনাটেন Click This Link

নভোনীল পর্ব-৬ ব্লগার পুলকঢালী Click This Link

নভোনীল পর্ব – ৭ ব্লগার নিযাজ সুমন Click This Link

নভোনীল পর্ব- ৮ ব্লগার কবিতা পড়ার প্রহর Click This Link

নভোনীল পর্ব-৯ ব্লগার মনিরা সুলতানা Click This Link


সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩০
২১টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×