অদ্ভুত একটা বিষয়, কিন্তু সবার জানাটা উচিত। শুনলে অবাক লাগে। মনে হয়,না,এসব সত্য না,হতে পারে না। এজন্যেই মূলত লেখা। ইন্টারেস্ট থাকলে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যায় সহজেই-
'ইলুমিনাতি' বিষয়টা নিয়ে আমাদের জ্ঞান খুবই অল্প। বাঙালীরা তো জানি'ই না। যারা মুভিখোরের পর্যায়ে পড়ে তারা বিভিন্ন মুভি দেখে এই শব্দটা মোটামুটি শুনেছেন।
অল্প কথায় একটু আইডিয়া দিই। আমেরিকা নামক রাষ্ট্রটি নিয়ন্ত্রণ করে ইলুমিনাতি নামক একটি গ্রুপ। যারা শয়তানের পূজা করে। অর্থাৎ 'ডেভিল ওরশিপার'।
আমেরিকার প্রত্যেকটি প্রেসিডেন্ট এই ইলুমিনাতি দলের সদস্য। আমেরিকান সরকার আমেরিকান সিটিজেনদের প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেয় একটা কারণে,যাতে তারা হাতের কাছে সবকিছু পেতে পেতে আস্তে আস্তে অলস হয়ে পড়ে। এই অলস আমেরিকানরা যাতে প্রয়োজন হলে কোন ধরণের বিদ্রোহ বা রায়ট করতে না পারে,যা'ই হোক। আগের প্রেসিডেন্টদের কথা থাক। সাম্প্রতিক কালে আসি। জর্জ ডাব্লিও বুশের বাবা জর্জ বুশ 'নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার' একটি প্রস্তাবনা আনেন। যার মূল বক্তব্য ছিলো এমন- বিশ্বের জনসংখ্যা কমিয়ে ২ বিলিয়নে নিয়ে আসতে হবে।এরপর সেই ২০০ কোটি মানুষকে নিয়ে নতুন করে নতুন আইনে বিশ্ব পরিচালনা শুরু হবে।"
বিশ্বের জনসংখ্যা কমিয়ে ২ বিলিয়নে আনার একটাই উপায়।একটা বিরাট মাস জেনোসাইড বা বড় গণহত্যা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একটি উদাহরণ মাত্র। এবার সবচেয়ে ভয়াবহ কথাটি বলি।এইডস রোগের ভাইরাস সৃষ্টি করা হয়েছে আমেরিকার গোপন ল্যাবরেটরী তে। এই ভাইরাস টেস্ট করা হয় আফ্রিকার বানরের উপর। সেখান থেকে নানান পর্যায় ঘুরে একজন আমেরিকান সমকামী এই ভাইরাস আমেরিকায় নিয়ে আসেন।
নতুন ইবোলা ভাইরাসের সৃষ্টি করা হয়েছে আমেরিকান এয়ার ফোর্সের ল্যাবরেটরীতে।এরপর ছড়ানো হয়েছে আফ্রিকায়,কারণটা কি???
আমেরিকার প্রত্যেকটা প্রেসিডেন্ট দুইবার করে নির্বাচিত। পরবর্তীতে আইন করে নির্ধারণ করা হয়, পরপর দুই টার্মের চেয়ে বেশি কোন প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না।
যে আমেরিকার এফবিআই লাদেন বা সাদ্দাম হোসেনকে গর্তের ভেতর থেকে বের করে এনেছে, বিশ্বের সব শক্তিশালী স্যাটেলাইট যাঁদের,তারা নিজের দেশের প্রেসিডেন্টের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারলো না??? একটু অবাক করার মতো বিষয় নয় কি???
জর্জ বুশের সন্তান পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হওইয়া জর্জ ডব্লিও বুশ কোন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। কিছু নির্দিষ্ট সিনেটরের সম্মতিতে তাঁকে প্রেসিডেন্ট বানানো হয়,যিনি ছিলেন ইলুমিনাতি দলের অন্যতম একজন নেতা। বুশ এসেই পৃথিবী কাঁপালেন কিছু ইস্যু দিয়ে। জর্জ বুশ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলেন শুধুমাত্র নাইন ইলেভেন বা টুইন টাওয়ার ট্র্যাজেডীর জন্য নেয়া একশনের কারণে,যার নাম দেয়া হলো 'টেরোরিজম দমন'। একটা মজার বিষয় হলো বুশকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আনার জন্যে টুইন টাওয়ার ট্রাজেডী ছিলো সম্পূর্ণ সাজানো একটা নাটক।
ইলুমিনাতির বিভিন্ন সাইন আছে।গুগলে একটু সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে। আমরা দুই আঙ্গুল উঁচিয়ে 'রক এন্ড রোল' এর যে সাইন দেখাই, সেটা শয়তানের সাইন। তাছাড়া স্ট্যাচু অফ লিবার্টির হাতে যে জ্বলন্ত মশাল আছে সেতাকে বলা হয় আলোকবর্তিকা। কিন্তু এই মশাল শয়তানের একটি রূপ 'লুসিফার' এর সাইন। ইলুমিনাতির সবচেয়ে পপুলার সাইন হলো একটি চোখ,যেটি আমেরিকার এক ডলার নোটে আছে। 'দাজ্জাল' সম্পর্কে যারা জানেন, তাদের কি মনে পড়ে যে কুরআন বলে দাজ্জালেরও একটি চোখ থাকবে??? যাকে ধ্বংস করার জন্যে আখেরী জমানায় আবার আসবেন ইমাম মাহাদী???
তবে কি এই ইলুমিনাতি'ই দাজ্জাল???
ইলুমিনাতির টিম মেম্বাররা ভয়ংকর স্মার্ট।হলিউডে নায়ক-নায়িকা, পপ তারকা হতে হলে ইলুমিনাতি মেম্বার হতে হয়। ইলুমিনাতি যখনই টুইন টাওয়ার টাইপ কোন কান্ড ঘটাতে যায়, তখনই আমেরিকায় নতুন নোট চালু করে সেই নোটে ক্লু দিয়ে দিয়ে দেয়। একেবারে প্রকাশ্যে সবকিছু জানিয়ে তারপর কাজ সারে।এমনি টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কাহিনীও ২০০১ এর আগেই আমেরিকান ৫ ডলার নোটে দেয়া হয়েছিলো। কেউ সেটা বুঝতে পারে নি। ইলুমিনাতির সাইন আছে জাতিসংঘের লোগো তে, আছে এমিনেম বা লেডি গাগার ভিডিও তে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার প্রচন্ড জনপ্রিয় সিম্পসন্স কার্টুনের নানান সময়ের এপিসোডে পরবর্তী ভয়াবহ ঘটনাগুলোর অনেক আগে থেকে ইঙ্গিত দিয়ে দেয়া।যেমন:১৯৯৭ সালে ৯/১১ এর ঘটনার ইঙ্গিত, ২০১৪ বিশ্বকাপের ৩ মাস আগেই জার্মানীর চ্যাম্পিয়ন হবার ইঙ্গিত, ১৯৯৭ তেই ইবোলা ভাইরাস আসার ইঙ্গিত,যেটার ব্রেকডাউন হয় ১৭ বছর পর ২০১৪ তে।আজ থেকে ১৫ বছর আগে ২০০০ সালের একটি এপিসোডে তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করা এবং জয়ী হবার ঘটনা প্রচার করে। এর মাঝখানে অলরেডি দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে গেছে।এই কার্টুন ১৫ বছর আগেই এই ভবিষ্যদ্বাণী কিভাবে করলো???
এখন ট্রাম্প নির্বাচিত হোক, তবেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
হিলারী পোলে এগিয়ে থাকুক বা জিতুক,নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ী হবার সিদ্বান্ত পুরোনো।
ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসের সামনে থেকে সে স্ট্রীট গুলো বিভিন্ন দিকে চলে গেছে, সেগুলো কে রেখা ধরে পরস্পর যোগ করা হলে পাওয়া যায় একটি পেন্টাগ্রাম বা পঞ্চভূজ। যা শয়তানের সাইন হিসেবে বেশ পাকাপোক্ত। ইউরোপ আমেরিকার প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপণা বানানো হয়েছে পিরামিডের আদলে,যে পিরামিড ফারাওদের নিশান এবং একটি প্রধান ইলুমিনাতি সাইন।(সংগ্রহিত)