somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদিন বেড়াইতে গেছিলাম, গিয়ে দেখি একি কান্ড! (ফান পোস্ট)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।



দুই দিন আগে সন্ধ্যায় বেড়াতে গিয়েছিলাম তামীমের বন্ধুর বাসায়, দাওয়াত ছিলো। ছেলের বন্ধুর বাসা ছেলে যায় নাই, আমি আর তাসীনের বাপে গেলাম বেড়াতে। গিয়েই দেখি কালো কাঁচের ডাইনিং টেবিলে চাঁদগাজীর ট্রাক। ভয় পাইয়া গেলাম , ও মাগো অই লোক এখানে ক্যামনে আইলো। যাই হোক আগেই শুনছিলাম আপার একটা বারান্দা আছে অনেক বড়। প্রথমে ঢুকেই বারান্দা দেখতে গেছি। দেখি কী সুন্দর ডালিয়া ফুটে আছে। মোবাইলের ফ্লাস অন করে ক্লিক করলাম। কী সুন্দর ডালিয়া মাশাআল্লাহ।

খানিক বাদে তামীমের বন্ধুর মা, মানে রিনি আপাকে কল্পনার জগতে গিয়ে জিগাইলাম ও আফা
-কী আফা
চাঁদগাজী কখন আইলো ট্রাকটর চালাইয়া,
-ওহ্ উনাকে দাওয়াত দিছিলাম। আফনে আইবেন শুইনা উনি না করলো না। ভাবছিলাম বিমানে আইবো, ওমা দেখি সেই ঐতিহাসিক ট্রাকটর চালাইয়া আসছে। কী আর করা! ট্রাকটর তো আর নিচে রাখা যায় না, মাইনষে কী কইবো। তাই ছুঁ মন্তর ছুঁ যাদু মন্তর করে মগে বন্দি কইরা টেবিলে রাখছি।

আচ্ছা আফা, উনি কই লুকাইছে দেখতাছি না।
-আর কইয়েন না, উনার মুখের তিতা কথা শুইনা উনারেও রাইস কুকারে ঢুকাইয়া রাখছি। আফনাদের সাথে গল্প শেষ হোক তারপর বাইর করমু!
আরে আফা বয়স্ক মানুষ শ্বাস কষ্ট হইবো তো!
-সাথে ইনহেলারের ডিব্বা দিয়া দিছি, কিস্যু হইবো না, ভাইবেন না। উনারে আমজনতার সামনে খোলা রাখলে বাধ্য হইয়া ব্যান করতে হইবো, নাইলে জেনারেল বানাইতো হইবো। মুখের ভাষার ঠিক নাই। উনার রসবোধ হক্কলতে বুঝতো না। তাসীনের বাপে না আবার গলা টিইপা ধরে। মেহমান মানুষ থাকুক রাইস কুকারে কিছুক্ষণ। খাওয়েনের সময় বাইর করমু।

না আফা, উনি হইলেন নারিকেলের মতন। উপরটা শক্ত, কিন্তু ভিতরটা টলটলে স্বচ্ছ জল হাহাহাহা!
-হুনেন আফা, সব সময় নারিকেল হওয়া ঠিক না। মাইনসে ভিতর দেখে না এখন, উপরের কুষ্ঠ কাঠিন্যটাই দেখে বেশী। এমন নিরামিষ মানুষ, কথা কইলেই যেন মাইনসের মনে বোম ফুটে।

তো উনারে নরম করতে একটু রাইস কুকারের সুইসটা ছাইড়া দেন আপা, এক্কেরে ভাতের মত নরম, টিপ দিলেই গইলা যাইবো, মুখ দিয়া মধু বাইরইবো কইলাম!
-হাছা কথা কইছেন, এবার একটা শিক্ষা দিয়াই দেই। চলেন পাঁচ সেকেন্ড সুইস ছাইড়া রাখি, দেখি কী অবস্থা হয় হাহাহা।

২। এই সেই ঐতিহাসিক ট্রাকটর :) কী সুন্দর না



কল্পনার জগত থাইকা বাইর হইয়া দেখি আফায় নাস্তা টাস্তা রেডি করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হইলো। তাসীনের বাপের লাইগা সবতার ফটো তুলতে পারি নাই। আপা যেই নাস্তা আনলো আমি ভাবলাম মোবাইল অন কইরা টিপ মারমু, ওমা বদ মোবাইলের ফ্লাস অন ছিলো। তো আর কী, তাসীনের বাপের বড় বড় চোখ। তারপরও একটু আধটু ক্লিকাইছি। বিশেষ কইরা চাঁদ মামুর ট্রাকটরটা ভালা কইরা তুলছি হাহাহা।

০৩। আপা নাস্তা দেয়ার সময় ক্লিক মারছি আর ফ্লাসের আলোয় তাসীনের বাপের চোখ ছানাবড়া হাহাহা



০৪। আপার বাসার চাদরখানা মাশাআল্লাহ। অনেক সুন্দর। এপ্লিকের কাজ করা ।



০৫। এককোনা চায়ের ছবি কিন্তু চা উঠে নাই কাপ উঠছে। ইতা কিছু হইলো, শান্তিমত ফটো তুলন যায় না হুহ



০৬। সামনেই খানাদানা। কিন্তু তাসীনের বাপ বসা। অবশেষে তার হাতটাই তুইলা আনছি হাহাহা



ইহা একটি টেস্ট পোস্ট। জানি না প্রথম পেইজে আসবে কিনা।

মনে বড় দুঃখ আমার, মনে বড় দুঃখ
জেনারেল বানাইয়া মডুব দুঃখ দিলো সুক্ষ :(

সবার দোয়া কামনা করি। আর ক্যাচাল পোস্টে মন্তব্য করতাম না প্রমিজ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×