দুই দিন আগে সন্ধ্যায় বেড়াতে গিয়েছিলাম তামীমের বন্ধুর বাসায়, দাওয়াত ছিলো। ছেলের বন্ধুর বাসা ছেলে যায় নাই, আমি আর তাসীনের বাপে গেলাম বেড়াতে। গিয়েই দেখি কালো কাঁচের ডাইনিং টেবিলে চাঁদগাজীর ট্রাক। ভয় পাইয়া গেলাম , ও মাগো অই লোক এখানে ক্যামনে আইলো। যাই হোক আগেই শুনছিলাম আপার একটা বারান্দা আছে অনেক বড়। প্রথমে ঢুকেই বারান্দা দেখতে গেছি। দেখি কী সুন্দর ডালিয়া ফুটে আছে। মোবাইলের ফ্লাস অন করে ক্লিক করলাম। কী সুন্দর ডালিয়া মাশাআল্লাহ।
খানিক বাদে তামীমের বন্ধুর মা, মানে রিনি আপাকে কল্পনার জগতে গিয়ে জিগাইলাম ও আফা
-কী আফা
চাঁদগাজী কখন আইলো ট্রাকটর চালাইয়া,
-ওহ্ উনাকে দাওয়াত দিছিলাম। আফনে আইবেন শুইনা উনি না করলো না। ভাবছিলাম বিমানে আইবো, ওমা দেখি সেই ঐতিহাসিক ট্রাকটর চালাইয়া আসছে। কী আর করা! ট্রাকটর তো আর নিচে রাখা যায় না, মাইনষে কী কইবো। তাই ছুঁ মন্তর ছুঁ যাদু মন্তর করে মগে বন্দি কইরা টেবিলে রাখছি।
আচ্ছা আফা, উনি কই লুকাইছে দেখতাছি না।
-আর কইয়েন না, উনার মুখের তিতা কথা শুইনা উনারেও রাইস কুকারে ঢুকাইয়া রাখছি। আফনাদের সাথে গল্প শেষ হোক তারপর বাইর করমু!
আরে আফা বয়স্ক মানুষ শ্বাস কষ্ট হইবো তো!
-সাথে ইনহেলারের ডিব্বা দিয়া দিছি, কিস্যু হইবো না, ভাইবেন না। উনারে আমজনতার সামনে খোলা রাখলে বাধ্য হইয়া ব্যান করতে হইবো, নাইলে জেনারেল বানাইতো হইবো। মুখের ভাষার ঠিক নাই। উনার রসবোধ হক্কলতে বুঝতো না। তাসীনের বাপে না আবার গলা টিইপা ধরে। মেহমান মানুষ থাকুক রাইস কুকারে কিছুক্ষণ। খাওয়েনের সময় বাইর করমু।
না আফা, উনি হইলেন নারিকেলের মতন। উপরটা শক্ত, কিন্তু ভিতরটা টলটলে স্বচ্ছ জল হাহাহাহা!
-হুনেন আফা, সব সময় নারিকেল হওয়া ঠিক না। মাইনসে ভিতর দেখে না এখন, উপরের কুষ্ঠ কাঠিন্যটাই দেখে বেশী। এমন নিরামিষ মানুষ, কথা কইলেই যেন মাইনসের মনে বোম ফুটে।
তো উনারে নরম করতে একটু রাইস কুকারের সুইসটা ছাইড়া দেন আপা, এক্কেরে ভাতের মত নরম, টিপ দিলেই গইলা যাইবো, মুখ দিয়া মধু বাইরইবো কইলাম!
-হাছা কথা কইছেন, এবার একটা শিক্ষা দিয়াই দেই। চলেন পাঁচ সেকেন্ড সুইস ছাইড়া রাখি, দেখি কী অবস্থা হয় হাহাহা।
২। এই সেই ঐতিহাসিক ট্রাকটর কী সুন্দর না
কল্পনার জগত থাইকা বাইর হইয়া দেখি আফায় নাস্তা টাস্তা রেডি করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হইলো। তাসীনের বাপের লাইগা সবতার ফটো তুলতে পারি নাই। আপা যেই নাস্তা আনলো আমি ভাবলাম মোবাইল অন কইরা টিপ মারমু, ওমা বদ মোবাইলের ফ্লাস অন ছিলো। তো আর কী, তাসীনের বাপের বড় বড় চোখ। তারপরও একটু আধটু ক্লিকাইছি। বিশেষ কইরা চাঁদ মামুর ট্রাকটরটা ভালা কইরা তুলছি হাহাহা।
০৩। আপা নাস্তা দেয়ার সময় ক্লিক মারছি আর ফ্লাসের আলোয় তাসীনের বাপের চোখ ছানাবড়া হাহাহা
০৪। আপার বাসার চাদরখানা মাশাআল্লাহ। অনেক সুন্দর। এপ্লিকের কাজ করা ।
০৫। এককোনা চায়ের ছবি কিন্তু চা উঠে নাই কাপ উঠছে। ইতা কিছু হইলো, শান্তিমত ফটো তুলন যায় না হুহ
০৬। সামনেই খানাদানা। কিন্তু তাসীনের বাপ বসা। অবশেষে তার হাতটাই তুইলা আনছি হাহাহা
ইহা একটি টেস্ট পোস্ট। জানি না প্রথম পেইজে আসবে কিনা।
মনে বড় দুঃখ আমার, মনে বড় দুঃখ
জেনারেল বানাইয়া মডুব দুঃখ দিলো সুক্ষ
সবার দোয়া কামনা করি। আর ক্যাচাল পোস্টে মন্তব্য করতাম না প্রমিজ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮