somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাকিবের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি...

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯৭ সাল।
আমাদের বেড়ে ওঠা অঁজপাড়া গায়ে। সেই গায়ে ইলেকট্রিসিটি নেই। পত্রিকা নেই, রেডিও নেই, টেলিভিশন নেই। ভরা বর্ষায় আমরা প্যাচপ্যাচে কাদা মাখা কাঁচা রাস্তায় জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলি। সেই জাম্বুরা ফুটবলে আমরা একেকজন ম্যারাডোনা। কিভাবে কিভাবে যেন ম্যারাডোনার নাম শুনেছিলাম। কেউ ভালো খেললেই আমরা হুটহাট তার নাম দিয়ে দেই ম্যারাডোনা। এমনকি আমাদের বাড়ির পাশের ছালেক, যে কিনা সেই জাম্বুরা ফুটবলেও ছিলো অসাধারণ গোল্লি। (আমরা তখনও জানতাম না গোলপোষ্টের নিচে যে থাকে তাকে গোলকিপার বলা হয়, আমরা গোলকিপারকে বলতাম গোল্লি)।
সেই ছালেককেও আমরা একটা ‘ম্যারাডোনা’ নাম দিয়ে দিলাম, তার নাম হলো- ‘গোল্লি ম্যারাডোনা’!!

সেবার হঠাৎ বাড়ির পাশের কাওসার ভাই ঢাকা থেকে বন্ধু বান্ধব নিয়ে এসেছেন। পিচ্চি এক রেডিও নিয়ে এসেছেন সাথে। সেই রেডিও তিনি কানের কাছ থেকে সরান না। সবসময় কানে চেপে ধরেন। তার বন্ধুরাও। তারা রেডিওতে কিসব শোনেন খোদা মালুম! কিন্তু কাওসার ভাইকে প্রায়ই দেখি রেডিও কানে চেপে ধরে হাটতে হাটতে রাস্তা ছেড়ে খালে নেমে যেতে থাকেন তারপর হঠাৎ থমকে দাঁড়ান। কিছুদিনের মধ্যে দেখি কাওসার ভাই একা হাঁটেন না, তার পিছে পিছে দল বেঁধে ছেলে ছোকড়ারাও হাটে। সেই দল ক্রমশই লম্বা হতে থাকে। গ্রামের মাঠে ফুটবল বাদ দিয়ে প্যাচপ্যাচে কাদার মধ্যেই সেই বড় ভাইয়েরা কিসব খেলা শুরু করেন। সেই খেলায় লাল কসটেপ পেচানো ছোট্ট টেনিস বল, কাঠের তক্তা আর তিনটুকরা গাছের ডাল দরকার। এই খেলার নাম ‘কিরিকেট’। কাওসার ভাই তার দলবল নিয়ে মাঝে মাঝে রেডিও কানে চেপে ধরেই বিকট চিৎকারে বান্দর নাচ নাচতে থাকেন। আমরা কিছু জিজ্ঞেস করলেই লাল চোখে তাকিয়ে গর্জে ওঠেন, তুম বাচ্চালোগ, দূর হো!!

আমরা বাচ্চা কাচ্চারা বড় বড় চোখে এই বদ্ধ পাগলগুলাকে দেখি। আর মনে মনে ভাবি, 'এইজন্যইতো কয়, পাগলের সুখ মনে মনে'।

কিন্তু আমরা জাম্বুরা ফুটবল রেখে মাঠের পাশে বসে যাই। মাঠে কি এক অদ্ভুত এক খেলা হচ্ছে। সেই খেলার নামও অদ্ভুত- ‘কিরিকেট’।
এই খেলায় নাকি ‘গোল’ নাই, ‘ম্যারাডোনাও’ নাই। বলে কি পাগলগুলা! বললেই হলো নাকি। গোল ছাড়া আবার খেলা হয়!!

সেই অদ্ভুত ‘কিরিকেট’ আমরা বুঝি না। তারপরও মাঠের পাশে ঝিম মেরে বসে থাকি। যখন কাউকে আউট করে তারা লাফালাফি করে, আমরাও তখন তাদের সাথে তাল মিলিয়ে লাফাই, আকাশ ফাটিয়ে চিৎকার করি, ‘গোল হইছে গোল, গোওওওল! গোওওওল!!’ কেউ চার ছক্কা মারলেও আমরা গোওওল, গোওওওল বলে চেচাই। আর বলি, ‘দেখছত, পোলাডা এক্কেলে ম্যরাডোনার লাহান খেলায়!”

সেবার আব্বা ঢাকা থেকে আসার সময় ইয়া বড় এক সনি টেপ রেকর্ডার নিয়ে আসলেন। সেই টেপ রেকর্ডার চালাতে হলে ছয়-ছয়টা ব্যাটারি দরকার। গাবদা গাবদা এককেটা অলেম্পিক ব্যাটারির দাম তখন ১০ টাকা। ষাট টাকার ব্যাটারি কিনে সেই টেপ রেকর্ডার আর চালানো হয় না। আম্মা নিজের হাতে সেলাই করে টেপরেকর্ডারের জন্য ফুলতোলা কভার বানান। আমরা টেপরেকর্ডারে গান শোনার বদলে নিয়ম করে দুবেলা সেই ফুলতোলা কভার সরিয়ে টেপরেকর্ডার দেখি। কখনো কখনো আম্মার চোখ এড়িয়ে টেপ রেকর্ডারে কান চেপে ধরে বসে থাকি, যদি গান-বাদ্য কিছু শোনা যায় মন্দ কি!

ততদিনে আমরা একটু আধটু ‘কিরিকেট’ খেলা শিখে গেছি। আইসিসি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ খেলা শুরু হয়েছে। চায়ের দোকানে, স্কুলের বারান্দায়, খেলার মাঠে টুকটাক আলোচনা কানে আসে। এই খেলায় জিতলে নাকি বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে। আমাদের তখন ‘বাপরে বাপ বিশ্বকাপ’ অবস্থা!!

বাজারে নিখিল হালদার নামে এক হিন্দু দর্জি ছিলেন। তার দোকানে বড় একটা রেডিও ছিলো, সেই রেডিওতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লোকজন খেলার ধারাবিবরণী শুনতো। লোকের যখন ভীড় জমে যেত তখন টুক করে রেডিওটা বন্ধ করে দিত নিখিল। গ্রামের থুত্থুরে বুড়ো, স্কুলের মাস্টার, করাতকলের শ্রমিক, আমাদের খেয়া নৌকার মাঝি মন্টু ভাইও খেয়া পারাপার বাদ দিয়ে কান খাড়া করে বসে থাকে নিখিলের দোকানে। এরা যে খুব কিরিকেট বোঝে, মোটেই তা না। এরা যেটা বোঝে সেটা হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে! বাপরে বাপ! কি সব্বনেশে কথা!!

সমস্যাটা হলো আসল দিন। আইসিসি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু হয়েছে। হল্যান্ডের সাথে সেই স্নায়ুক্ষয়ি মহাকাব্যিক ম্যাচ। কিন্তু নিখিলের দোকান বন্ধ। কোন খোঁজ খবর নাই তার। নিখিলের দোকানের সামনে ভীর ক্রমশ বেড়েই চলছে। আমাদের গোল্লি ম্যারাডোনা ছালেকের পা ভেঙেছে গত পরশু। খেলতে গিয়ে পা ভাঙার শাস্তি ভয়াবহ। কাজ কাম যাদের নাই, তারাই বসে বসে আকাম করে। খেলাধূলা আকাম ছাড়া কিছুই না। সুতরাং আকাম করে যে পা ভেঙেছে, তার আর সেই পায়ের দরকার কি? ছালেকের বাবা কাদের মিস্ত্রী কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি পা ভাঙা গোল্লি ম্যারাডোনাকে আচ্ছা মতো পিটিয়েছেন। আমি নিখিলের দোকানে আসার সময় দেখে এসেছি, ছালেকের ব্যান্ডেজ করা পা উঁচু করে বাঁধা। সে সেই পায়ের ব্যাথায় কো কো করে আমার দিকে করুণ চোখে তাকাচ্ছে। আমি তার দু:খ আরো খানিকটা বাড়িয়ে দিলাম, ‘ওই গোল্লি, খেলা দেখতে যাবি না? বাজারেতো টেলিভিশন আনছে। আইজ বড় খেলা হের লাইগ্যা টেলিভিশনে দেখাইবো।’ গোল্লি ম্যারাডোনা কাতর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, আমি তিড়িং বিড়িং বাজারের দিকে ছুটি।

কিন্তু ঘটনাতো খারাপ। টেলিভিশন দূরে থাক, নিখিল না থাকলেতো রেডিও-ই চলবে না। উপায়? লোকজন বাড়তে বাড়তে বাজারে উত্তরপাশটা টই টম্বুর। ছোটনের চায়ের দোকানের সামনে দেখি বাপের কাঁধে চড়ে ভাঙা পায়ের গোল্লি ম্যারাডোনা চলে এসেছে। আমি হতভম্ব চোখে তাকিয়ে আছি! ঘটনা কি!।

আমাকে দেখে সুযোগ বুঝে চোখ টিপে দিল সে। কিন্তু কিরিকেট? গ্রামেতো আর কারো বড় রেডিও নাই যে উচ্চ ভলিউমে সবাই একসাথে খেলা শুনতে পারবে! তরতর করে সময় বয়ে যাচ্ছে। কাওসার ভাই তার পিচ্চি রেডিও নিয়ে স্কুলের ছাদে উঠে গেছেন। তিনি কানে চেপে ধরে খেলা শোনেন আর কিছুক্ষণ পর ভ্যা ভ্যা করে আকাশ বাতাস ফটিয়ে চিৎকার করেন। সবাই সমস্বরে জানতে চায়, ও কায়সার, কি হইছে? বাংলাদেশ বিশ্বকাপ পাইছে? কাওসার ভাই জবাব দেন না। রেডিও কানে চেপে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর খানিক পরপর তিড়িং বিড়িং নাচেন।

মজিদ ফকির নামে আমাদের এক চাচা আছেন। দু:সম্পর্কের চাচা। আমুদ-ফূর্তির মানুষ। হাটবাজারে গান গেয়ে ওষুধ বিক্রি করেন। প্রতি হাটবারে আমাদের বাড়ি আসেন, তার গানের যন্ত্রপাতি আমাদের বাড়িতে রেখে যান। সেই ভীড়ের মধ্যে আমাকে দেখে মজিদ চাচা হঠাৎ রে রে করে তেড়ে আসেন, ‘ওই ছেমড়া, তোর বাহে (বাপে) না একটা বড় টেনডেষ্টার (ট্রানজিষ্টার-রেডিও) আনছে, হেইডা কই?’

-হেইডাতো ঘরে কাকা।

-কস কি ছেমড়া!!

মুহুর্তেই বাতাসে ছড়িয়ে গেল সংবাদ। মজিদ কাকা তার বৃদ্ধ শরীর নিয়ে বাতাসের বেগে ছুটলেন। আম্মা কাদা মাটি দিয়ে ঘর লেপছিলেন। মজিদ কাকা গিয়ে আম্মার হাতে পায়ে ধরা শুরু করলেন। আম্মা রাজিও হলেন, কিন্তু তার কিছু শর্ত আছে, প্রথমত, ব্যাটারী কিনে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, টেপরেকর্ডার ঘর থেকে বের করা যাবে না। উচ্চ ভলিউমে টেপরেকর্ডার ঘরেই থাকবে। বাইরে কাঠালতলায় বসে সবাই খেলা শুনবে। মুহুর্তেই কাঠাল তলায় পাটি বিছানো হলো, চটের বস্তা। সবাই চাঁদা তুলে বাজার থেকে ব্যাটারী নিয়ে এলো।

রেডিওর ভেতর থেকে ইথারে গমগম শব্দে ভেসে উঠলো চৌধুরি জাফরুল্লাহ শারাফতের গলা, ‘মালয়েশিয়ার কিলাত ক্লাব মাঠ থেকে আমি চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত আপনাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

মুহুর্তে নি:শব্দ হয়ে গেলো প্রতিটি মানুষ। বাঁশের বেড়ার ঘরের ভেতর থেকে ভেসে আসছে সেই গমগমে শব্দ। সেই গমগমে শব্দের, ভাষার প্রায় কিছুই বোঝেন না বাইরে বসে থাকা এই মানুষগুলো, তারপরও তারা কান খাড়া করে বসে আছেন। তারা লং অন বোঝেন না, লং অফ বোঝেন না, এলবিডব্লিউ বোঝেন না, রান আউট বোঝেন না কিন্তু বাংলাদেশ বোঝেন। আকরাম, নান্নু, বুলবুল, শান্ত, রফিক বোঝেন। এই নামগুলো তাদের ঘরের নাম, সন্তানের নাম, ভাইয়ের নাম, বন্ধুর নাম। অতি আপন চেনা নাম। কাওসার ভাই বাড়ি থেকে চেয়ার এনে সবার মাঝখানে বসে পড়েছেন। তিনি চিৎকার করলে সবাই একযোগে চিৎকার করে ওঠেন। তিনি হঠাৎ চুপ করে গেলে সবাই তার মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। সত্তরোর্ধ আলিম বেপারীর চোখের কোণায় জল উঁকি মারে।

জাফরুল্লাহ শারাফত বলেন, বৃষ্টি শুরু হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য মহাবিপদ।

কাওসার ভাই বসা থেকে উঠে দাঁড়ান, আবার বসেন, চেয়ারের উপর ওঠেন। মালয়েশিয়ার কিলাত ক্লাব মাঠের বাঙালীরা নিজেদের গায়ের জামা খুলে মাঠের পানিতে চুবিয়ে সেই পানি চুপচুপে জামা মাঠের বাইরে নিয়ে পানি চিপে ফেলে আবার দৌড়ে মাঠে চলে আসেন। মাঠ যে করেই হোক শুকাতে হবে। বাংলাদেশকে জিততে হবে। জিততেই হবে। কাঠালতলায় বসে থাকা লোকগুলোর মুখ বিড়বিড় করতে থাকে। সেই বিড়বিড় করা মুখের ফাঁক দিয়ে ফিস ফিস শব্দ আসে, ‘আল্লাহ, রহম করোগো আল্লাহ। ওগো দয়াময়।’

তারপর উৎকণ্ঠা, তারপর সময়, তারপর আকরাম খান, তারপর ছক্কা, তারপর চার। তারপর জয়।

তারপর ইতিহাস। তারপর বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!! বাংলাদেশ!!!

চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত কথা বলতে পারেন না। মাইক্রোফোনের সামনে তার ভরাট গমগমে গলা হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তিনি ভ্যাভ্যা করে পাশের বাড়ির তালেবের মায়ের মতো আকাশ ফাটিয়ে কেঁদে ফেলেন। তার কোন কথা শোনা যায় না। কেবল তার ভ্যাভ্যা কান্নার ভেতর থেকে শোনা যায় বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!! বাংলাদেশ!!!

বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে তার সেই ভ্যা ভ্যা কান্নার শব্দ তখন ঝর্ণার গান, সুমধুর তান, উন্মাতাল প্রাণ।

কাওসার ভাই বসা থেকে দাঁড়ান, চেয়ারের ওপর ওঠেন, তিনি বাদরের মতো লাফাতে থাকেন, তার লুঙ্গি খুলে পড়ে যায়, তিনি লাফাতেই থাকেন, তার ফ্যাসফেসে গলা ফ্যাসফ্যাস করতে থাকে, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ। মজিদ ফকির দাঁড়িয়ে অসময়ে আজান দিয়ে ফেলেন, আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার!!

আলিম বেপারীর খনখনে গলা, কাদের মিস্ত্রির বাঁজখাই চিৎকার, পা ভাঙা গোল্লু ম্যারাডোনার পা নাচিয়ে নর্তন, কাদা মাখা শরীরে আমার মায়ের গগন বিদারী চিৎকার, কান্না সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। সেই কান্নার জল ভর্তি আনন্দ। মহা আনন্দ।

সেই কান্নার ফোটাফোটা জলে ভাসা, জলের ভাষা বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!!

প্রিয় সাকিব, এই লেখার কমেন্ট বক্সে একটা লিঙ্ক দিলাম, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্য। বিশ্বাস করুন শুনে কান্না পেয়ে গেছে!! সত্যিই এই যদি হয় দেশের প্রতি নিবেদন, তাহলে?

এই ক্রিকেট আমাদের বাংলাদেশ! এই বাংলাদেশ আমাদের ক্রিকেট!
বুকের ভেতরের স্পন্দন! থরথর করে কেঁপে ওঠা... সাকিব, একবারও কি টের পান না? একবারও না? চোখ বন্ধ করে বুকের উপরে হাত রেখে একবার সেই সবুজ মাঠের কথা ভাবুন, যার চার পাশে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে। অসংখ্য কৃষক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে রেডিওতে কান পেতে রাখে, একজন মাঝি একহাতে বৈঠা আর অন্য হাতে রেডিও কানে চেপে রাখে, ক্লান্ত শরীরের ঘাম মুছতে মুছতে ঠেলাওয়ালা রুদ্ধশ্বাস শ্বরে পথচারীকে জিজ্ঞেস করে, 'ও ভাই, বাংলাদেশ কত করছে? সাকিব? সাকিব কয় রান করছে?'

একজন মা, একজন বাবা, একজন শিক্ষক, একজন বৃদ্ধ, সকলেই জায়নামাজে বসে হাত তুলে কাঁদেন, আপনার জন্য, আপনাদের জন্য... হ্যা, সাকিব, আপনাদের জন্য, শুনতে কি পান?

না কি পান না? মায়ের রক্তের কলকল স্রোতের শব্দ, শুনতে পান না।
সত্যি সত্যি কান পেতে দেখুন, ওই শব্দ আপনার শরীরের আনাচে কানাচে কী তীব্র বেগেই না বয়ে যাচ্ছে... কী সুতীব্র বেগে...

সাদাত হোসাইন

তরুন লেখক, আলোকচিত্রী

ফেসবুক লিঙ্কঃ Click This Link - See more at: Click This Link
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×