somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আমিই সাইফুল
আমি একজন ইউরোপ প্রবাসী, জীবনের ঝড়-ঝাপটায় পাক খেয়ে গড়ে ওঠা আজকের এই আমি। ব্লগে তুলে ধরি মনের গভীরে লুকানো আবেগের রং, যা সোশ্যাল মিডিয়ার চটকদার আলোয় মেলে না। আমি অনুভূতির এক ফেরিওয়ালা, শব্দে বুনে যাই জীবনের অলিখিত গল্প…

দেখে ফেললাম মাস্টারপিস কান্নাডা মুভি Garuda Gamana Vrishabha Vahana। কেজিএফের চেয়েও বেশি ভাল্লাগছে!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


Name: Garuda Gamana Vrishabha Vahana
Country: Kannada(Indian)
Gen: Thriller
Personal Recommendations: Must Watchable.
IMDB: 8.7/10
Personal: 9/10

কেজিএফ এমন একটা ক্যারেক্টার যার কোনো পরিচয়ের প্রয়োজন নাই। এটি ভিন্ন ধরনের এক সিনেমা আপনাকে বাস্তবতা ভুলে একটি কল্পনার জগতকে বাস্তবে পরিণত করতে বাধ্য করে। এখন সুখবর হল যে, একই কান্নাডা মুভি ইন্ডাস্ট্রি থেকে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা সাধারনত সিনেমাকে কয়টা ভাগে ভাগ করি? আমার মতে, এক হল সুন্দর মুভি, এই মুভিগুলা আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিতে পারলেও মস্তিষ্ক না, তারপর আসে, সেই শ্রেণির মুভি যেখানে হৃদয়কে ছুটিতে পাঠিয়ে মস্তিষ্ককে নাড়া দেয়। কিন্তু এই মন আর মস্তিষ্ককে নাড়া দিতে পারে এমন মুভি খুব কমই আছে। এগুলাকেই আমরা সাধারনত মাস্টারপিস বলে থাকি।

প্রথমে, মুভির নামের অর্থটি বুঝুন, নামটার সরাসরি সংযোগ মাইথলজি কাহিনীর সাথে। শুরু হওয়া দুটি শব্দ, গরুড় গামনা বিষ্ণুর জন্য ব্যবহৃত হয়, যাকে বলা হয় রক্ষক। উনি ভাল এবং খারাপ এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। নামের ২য় অংশ বিষ্ণুকে রিপ্রেজেন্ট করে। বিষ্ণু হলো মুভির শিবা যার রাগ এতটাই বিপজ্জনক যে এটি সারা বিশ্বকে শেষ করে দিতে পারে, তাই তাকে ধ্বংশও বলা হয়। গল্পটি একটা অপরাধ গ্রাউন্ডকে ঘিরে, যা 2 জনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল, একজন হরি এবং অন্য শিবা যারা ছোটবেলার বন্ধু। যারা এখন ম্যাঙ্গালুরু শহর শাসন করে।

আচ্ছা অপরাধ বন্ধ করা কাদের কাজ?, পুলিশের তাইনা? কিন্তু এই শহরে পুলিশের সম্মান ডাবল জিরো। বরং পুলিশ নিজের জীবন বাচানোর ধান্দায় থাকে।হারিশের গল্প খুবই সিম্পল, একটি ছোট শহরে বড় স্বপ্ন নিয়ে একটি ছোট ছেলে থাকে যে অপরাধের জগতে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার হয়ে যায়।

কিন্তু অন্যজন, শিব ভূতের মতো, কোথা থেকে কিভাবে আসছে কেউ জানেনা। তার অভ্যাস হলো যাকেই খুন করে তার জুতা-চপ্পল পরে নিজে বাড়ি ফিরে যায়, তার কাছে এটা খেলার পর ট্রফি জেতার মতো। এখন মাইথলজিতেত তিনজন আছেন, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ, তাদের দুজনকে এখানে পাওয়া গেছে কিন্তু তৃতীয়জন ব্রহ্মা তার এন্ট্রি একটু দেরীতে কিন্তু সে পুরো শহরের চিত্রটাই পাল্টে দিছে, এই ব্রহ্মা হলো শহরের নতুন ইন্সপেক্টর যে কিনা এই এলাকায় আসতে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু তাকে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কাছে মাথা নত করতে হয়েছিল।

এখন হরি শিবের সাথে ঝামেলা করাটা তার জন্য ডু অর ডাই এর মত হয়ে গেছে। গ্যাং বাচলে সে মরবে সাথে তার পরিবার বাই ওয়ান গেট ওয়ানের মত মরবে। কিন্তু বাঁচতে চাইলে হরি আর শিবের নামই মুছে দিতে হবে ব্যাঙ্গালোরের ইতিহাস থেকে। তাও আবার এমন একটা সিচুয়েশনে যখন শহরের সব পুলিশ তাদের ভয়ে থর থর করে কাপে। আচ্ছা বলুনত, আজ পর্যন্ত ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশের অনেক গল্প শুনেছেন, একজন বিশ্ব তৈরি করে, আরেকজন বাঁচাইয়, ৩ নাম্বার জন সময় হলে সব ধ্বংস করে দেয়। তো এই তিনজন যদি নিজেরাই নিজেদের মারামারি লাগে তাহলে কে হারবে কে জিতবে? এই প্রশ্নটা কখনো আপনার মাথায় আসছে? আসেনি তাইনা।

অনেকটা বাংলাদেশের পলিটিক্সের মত একদল সরকারে, আরেকদল বিরোধিদলে আর আরেকজন হচ্ছে তত্বাবধায়ক সরকার। যদিও বাংলাদেশের পলিটিক্স থেকে বিরোধীদল আর তত্বাবধায়ক সরাই দিছে কিন্তু ভাবেনত যদি আসলেই এই তিনের মধ্যে বেচে থাকার লড়াই লাগে তাহলে কে জিতবে? আমি উপরে বলছি যে এই ছবি পুরাই অন্য লেভেলের ছবি। কে জিতবে ,কে হারবে সেটা দেখতে হবে মুভিটা। এটা সাধারন কোন মারামারির মুভি না। দেখতে হলে দিলের বাত্তি জ্বালাইয়া, মস্তিষ্কের সব জানালা খুলে দিয়ে দেখতে বসে যান। কথা দিচ্ছি নিরাশ হবেননা।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×