কেন আমাকেই ছিনিয়ে আনতে হবে আকাশের ওপার থেকে নক্ষত্রের মালা
মধু মঞ্জুরী লতায় লেপ্টে থাকা সন্ধ্যার অন্ধকার উপভোগ না করে; পোহাতে হবে
জুতার তলা ক্ষয় করে একটি চাকরী জুটাতে না পারার ব্যর্থতায় অক্ষম জ্বালা।
কেন আমাকেই খুঁজে আনতে হবে শাল বনে পূজার দশম দিনে গামারের কাট
হলুদিয়া ফুল যার ছড়ায় সুবাস; আকুলিয়া মধু পান করে কাঠবিড়ালী, ভ্রমর আর টিয়া
মেহেদিতে কবে রাঙাবো পিয়ার হাত ধূসর হয়ে আসে স্বপ্ন কেবল ফুল সজ্জার খাট।
মনে আছে বছর পাঁচেক আগের এক বসন্তে আমার হাতে দেখেছিলে যোগিনীচক্র
সেই যে প্রেমে পড়লে তারপর বায়না প্রতি বসন্তে এই হলুদ বরণ ফুল চাই তোমার
আজও সেই স্মৃতি যেন মৃত আকাশ সঙ্গে নিয়ে আসে কিছু হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্র।
আমার যখন সব হলো তখন তুমি আর আমার নেই; তুমি দূরের অন্য কারো হয়ে গেলে
ভাবতেই বুকের ভিতর প্রবল নীল অত্যাচার টের পেলাম, যেন হৃদপিন্ড ছিড়ে ফেলতে চায়
বড় জানতে ইচ্ছে করে তুমি কি তার বুকে বিস্তীর্ণ ডানার ভিতর সবুজ ঘাগের গন্ধ পেলে ?
তবুও তোমার আমার প্রেম ছিল- অনেক তারা ভরা রাত ছিল, যোগিনীচক্র সে প্রেমের স্বাক্ষী ছিল
আকাশের সীমানার অদ্ভুত কুয়াশার চাদরে আমাদের বিগত দিনের সমস্ত স্মৃতি যেন লীন হয়ে যায়
হায় অশ্বারোহী সময় তোমারে আমার কাছ থেকে রঙিন সুতো কাঁটা ঘুড়ির মত করে কেটে নিল।
উৎসর্গ- মরুভূমির জলদস্যু ভাইকে। যার গত কালের -ফুলের নাম গামারি পোস্ট ও মন্তব্য পড়ে কবিতাটি সৃষ্টি হলো।