এই নিদারুণ গরমের বেলায় ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে বসে আছি অপরাহ্নে। এমন সময় আমার স্ত্রীর চতুর্থ চাচাতো ভাইয়ের শ্যালিকা এসেছে বেড়াতে তার দুলাভাইয়ের বাড়িতে। চাচাত চতুর্থ ভাইয়ের স্ত্রী আবার আমার স্ত্রীর ক্লাসমেট। আমরা ওনাকে হাসিনা ভাবি বলেই ডাকি।
হাসিনা ভাবীর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন তার একটি মাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে তাকে নিয়েই সে একলা থাকে।
কিছু কিছু মানুষের নিজস্ব কিছু দুঃখ থাকে যা কখনো কাটিয়ে ওঠা যায় না। হাসিনা ভাবীরা চার বোন। হাসিনা ভাবীর মা স্বামী হারা হয়েছেন অনেক বছর। হাসিনা ভাবির বড় বোনের স্বামী ছাড়া আর সবগুলো বোনের স্বামী মারা গিয়েছে। এই যে বোনগুলোর স্বামী হারা ভাগ্য এটা কখনো কাটিয়ে ওঠা যাবে না।
হাসিনা ভাবির ছোট বোন এর এক ছেলে রয়েছে এবং তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তার দেবরের সাথে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেবরটি এখন দ্বিতীয় স্বামী বয়স বেশি নয়।
২১/২২ হবে বয়স। সে এখনো হয়তো পুরোপুরি দায়িত্ব নিতে শিখিনি। তাকে দেখলাম সবার পিছনে আস্তে আস্তে হেঁটে আসতে এবং রাতের বেলা দেখলাম দরজা খুলে দরজার সামনে বসে মোবাইল টিপছে। হাসিনা ভাবীর বোনটি হয়তো দ্বিতীয় স্বামী পেয়ে খুশি কারণ অন্যত্র বিয়ে হলে ছোট ছেলে নিয়ে তার আরো সমস্যা হতো। দ্বিতীয় স্বামীটি খুশি কিংবা সুখী কিনা তা বলা মুশকিল