somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অঞ্জনা একদা ভালবেসে ছিল

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক
(মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে অঞ্জনা, ছেলেবেলা কেটেছে জয়পুরের অচীনপুর গ্রামে, গ্রাম্য পরিবেশ তাকে বেশ সহজ ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে সবকিছু, একি সাথে বেড়ে উঠেছে মানসিক বিকাশ; ১৬ বছর পেরোতেই হয়ে উঠে বেশ চঞ্চলা, চপলা যাবে বলে ষোড়সি যৌবনা । মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশুনা করে অন্জনা ; প্রতিবেশীদের চোখে খুবই ভাল একটা মেয়ে, যুব-সমাজে বেশ আবেদনময়ী অন্জনা অনেকটায় আগলে রাখতে শিখেছে, ভালবাসে সেজেগুজে থাকতে । সামান্য সাজগুজ তাকে করে তুলে আর্কষণীয় । সহপাঠী অনেকেই জড়িয়ে যায় ভাললাগার জালে, আটকে যায় ভাবনা গুলি কোন একজনকে আবর্তে । অঞ্জনাও একজনকে নিয়ে কিছুটা ভাবে; রোজ কলেজ যাওয়ার পথে দেখা হয় অতি-সাধারণ একটা ছেলের সাথে । ছেলেটি তাকে দেখে মিষ্টিকরে একটু হাসে, কোন দিন কথা বলার চেষ্টা করেনা । দেখতে দেখতে পেরিয়েযায় উচ্চমাধ্যমিকের গন্ডি; পা রাখে উচ্চশিক্ষার পথে, স্বাভাবিক ভাবেই ছেড়েযেতে হল গ্রামের বাড়ী । অন্জনা এখন অনেক বড় হয়েছে, সে এখন একা একা শহরে থাকে, একা একা চলাফেরা করে । মনের মাঝে রয়ে যায় পিছনের অনেক ভাললাগার সাথে গ্রামের ঐ সাধারন ছেলেটার কথা । এখন আর তাকে দেখে কেউ হাসেনা, এখন দিন অনেকটাই বদলে গেছে; এখন সবাই খুব কাছে করে পেতে চায় তাদের ভাললাগাকে প্রকাশ করতে । অঞ্জনা এসব পছন্দ করেনা, নিয়মিত ক্লাস, প্রাইভেট আর বান্ধবীদের সাথে মাঝে মধ্যে এদিক সেদিক ঘুরাঘরির মাঝেই পার করেদেয় উচ্চ শিক্ষার একটা ধাঁপ । অন্জনা ভর্তি হয় স্নাতকোত্তর ক্লাসে, যথারিতি ক্লাস চলতে থাকে অন্জনার ; ৫ম দিনে পরিচয় হয় একজন ক্লাসমেটের সাথে, যে কিনা কিছুটা সিনিয়র কিন্তু একটা কোর্স বাদপরার কারনে সুমন এখন অঞ্জনাদের সাথে একটা ক্লাস করে, শান্ত সভাবের সুমন তেমন একটা কথা বলেনা, নিয়মিত ক্লাসেও আসেনা । সে দিন ছিল শ্রাবনের দ্বী-প্রহর, আকাশটা একটু মেঘলা অন্জনা ক্লাসে বসে আছে; শিক্ষক এখনো আসেননি ক্লাসে, সুমন ক্লাসে এসে অন্জনার পাশে দাড়াঁল, শান্ত গলায় বলল আপনার কাছে একটা কলম হবে? আমি কলমটা আনতে ভূলেগেছি । অন্জনা কথাগুলি শুনছে আর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, তার মনে হচ্ছে সে ঐ গ্রামের ছেলেটির মূখের কথা শুনছে, যে ছেলেটির হাসিঁ দেখেছে, কথা কোন দিন শুনেনি । আজ মনে হচ্ছে সে ঐ হাসিঁ মূখের আওয়াজ শুনতে পেল; কিছুটা সময় পার হয়ে যায় কিছুনাবলেই; সুমন অন্জনাকে বলে দুঃখিত আমি বোধকরি আপনাকে বিরক্ত করলাম, অন্জনা এবার একটু আতঁকে গিয়ে বলে অবশ্যই আছে, একটু দাড়াঁন বলে সে ব্যাগ থেকে কলম বের করে দিল । অঞ্জনাকে ধন্যবাদ দিয়ে সুমন সামনের সিটে বসে গেল, ক্লাস চলছে, সুমন তারমতো করে লিখে যাচ্ছে কিন্তু অঞ্জনা পারছেনা মনবসাতে ক্লাসে, বার বার অন্যমনা হয়ে ভাবতে ভাবতে ক্লাস শেষ হল । ক্লাস শেষে দু-জনেই একসাথে বের হল । বেশকিছু কথা হয় দু-জনের মাঝে, সুমন অনেক ক্লাস মিস করার কারনে ক্লাসের কিছু নোট সিট বাদপরে আছে সংগ্রহের, অঞ্জনার কাছে সে নোট গুলি খুঁজ নেয়, অন্জনা আগামী পরসো নোট গুলি দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে বিদেয় নেয় । সেমিস্টার ফাইন্যাল প্রায় শেষের দিকে; পড়াশুনার বেশ চাপ যাচ্ছে, সুমন অন্জনাকে প্রায়ই এখন একসাথে দেখা যায় ক্যান্টিনে, মাঝে মাঝে রিক্সা করে ঘুরেড়োতে, তাদের মধ্যে একে অন্যের উপর কিছু একটা ডিপেন্ডেন্সি চলে এসছে । দু-জন দু-জনের কিছু কিছু দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে । পরিক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে তাদের আর আগের মতোকরে দেখা হয়না, মোবাইল ফোনে কথা হয় নিয়মিত, সপ্তাহ অন্তর দেখা হয়, মাঝে মাঝে একসাথে শপিং-এ যায় দুজনে, সুমন একটা চাকুরীতে জয়েন্ট করেছে, নিয়মিত ৮-৫ টা অফিস করে, মাঝে মাঝে অফিস শেষে দু-জনে বাইরে খেতে যায় । একে অপরকে অনেক ভালবেসে ফেলেছে, তাদের ধারনা কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারবেনা । তাই তাদের মাঝে এমন কথাও হয়ে যায় যে, একজন অন্য জনকে ছেড়ে যাবেনা কোন দিনও কিন্তু সুমনের পরিবার থেকে চাপ আসতে থাকে সুমনের উপর, বিয়ে করার জন্যে মেয়েও দেখা হয়ে গেছে বাবা মায়ের অবস্থান থেকে; সুমন কিছুই বলতে পারেনি বাবা মায়ের কথার উপর । সময়ের ধারায় সুমন অঞ্জনাকে রেখে বিয়ে করে ফেলে, অঞ্জনা বিষয়টাকে সহজ ভাবে না নিলেও কিছুই বুঝতে দেয়নি সুমনকে, অঞ্জনা এখন অনেক রাত না ঘুমিয়ে থাকে; সুমনের রাত কাটে নতুন জীবনের সঙ্গী নিয়ে, প্রায় প্রতি দিনই সুমন কথা চালিয়ে যায় অঞ্জনার সাথে, অঞ্জনাও ঠিক আগের মতই ভাবে সুমনকে, এখনকার যে সম্পর্ক তাদের মাঝে বহমান সে সর্ম্পকের কোন নাম তারা দিতে পারেনা, সে সর্ম্পকের শেষ তারা জানেনা । অঞ্জনা এখনো আগের মতই সুমনের প্রতি দায়িত্বশীল, আগের মতোই সুমনকে অনুভব করে । অঞ্জনার পরিবার থেকে অঞ্জনাকে বিয়ে দিতে চেষ্ঠাকরে বেশ কয়েকবার কিন্তু অঞ্জনা সে বিয়েতে রাজি হয়নি, এ কথা সে কথা বলে সময় পার করে অঞ্জনা । যে সম্পর্কের কোন সংঙ্গা নেই, নাম নেই নেই সামাজিক কোন ভিত্তি, অঞ্জনা সেই সম্পর্ককে ছেড়ে আসতে পারছেনা । এদিকে সমাজ, সংসার, আত্বীয়-স্বজনের বিভিন্ন কথার চাপে বাবা-মা অঞ্জনাকে বলে তুমি আমাদের বল তুমি কেন বিয়ে করবেনা/ কি করতে চাও তুমি? অঞ্জনা কোন উত্তর দিতে পারলনা, চুপ করে থেকে ভাবছে কেন এত ত্যাগ, কার জন্যে কিসের জন্যে এত সব করছি আমি ! ভাবনার মাঝেই থেকে গেল অঞ্জনা, সুমনও এখন অঞ্জনাকে তার নিজের ভেবে চলছে, ঘরের মাঝে প্রানের মানুষ ঘরের বাইরে মনের । অঞ্জনার বাবা-মা ভাল একটা বিয়ের প্রস্তাব আসায় মেয়ের অনুমোতি ছাড়াই রাজি হয়ে যান, কথা হয়ে যায় দুই পরিবারের মাঝে, অঞ্জনাকে জানানো হলে সেও তেমন কিছুই বলেনি, এরি মধ্যে অঞ্জনার সাথে দেখাও করিয়ে দেওয়া হয় সমিরকে, মাঝে মাঝে কথা হয় দু-জনের । মাসান্তরে বিয়ে হয়ে যায় অঞ্জনার সমিরের সাথে । অঞ্জনা তার বিয়ের সংবাদটি কাউকে দিতে রাজি নয়, সে তার বিয়ের খবরটি সুমনকেও জানায়নি, সমিরের অবস্থানের আড়ালে অঞ্জনা নিয়মিত আগের মতকরেই যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে সুমনের সাথে । মাঝে মাঝে সমিরের সামনে মোবাইল কল আসলে অঞ্জনা কল ধরেনা, বিষয়টাকে অন্যভাবে গড়িয়ে দেয় । এক সময় বিষয়টি সমির বুঝতে পেরে অঞ্জনার কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় অঞ্জনা; সমিরের মাথায বিষযটি ঘুরপাক খেতে থাবে, কিছুই ভাল লাগেনা তার, অঞ্জনাও সমিরের কোন কিছুতে তেমন কোন আগ্রহ দেখায়না, সমির অফিসে চলে গেলে অন্জনা মাঝে মধ্যে সুমনের সাথে দেখা করে । বিয়ের এক মাস পেরিয়ে সমির লক্ষ করলো অঞ্জনা গভির রাত করে ফোনে মেসেজ দেয়া নেয়া করে, কিন্তু কিছুতেই সমির বিষয়টি পরিস্কার হতে পারছেনা । আগামী কাল পহেলা ফাগুন সমির প্ল্যান করেছে একটু রাত করে ঘুমুবে আর ১১ টা অবদি বিছানায় থেকে বিকেলে বাইরে যাবে । রাত বাজে ১১ টা অঞ্জনা সমিরকে বলল তার মাথায় ব্যাথা ধরেছে সে অন্য ঘরে ঘুমুতে যাচ্ছে, সমিরের বিষয়টি ভাল লাগেনি, একেতো সমিরের প্লান ভ্যাস্তে গেল তার উপরে মাথায় ব্যাথা বলে অন্য রুমে ঘুমুতে যাচ্ছে বলল, "স্বামী হিসেবে সে এতটুকু আসা করতেই পারে যে তার স্ত্রী তাকে বলবে আমার মাথা ধরেছে প্লিজ ঘুমাব" সমির তাকে অন্য রুমে ঘুমানোর ব্যাবস্থা করে দিয়ে সে টিভি দেখছে, ঘন্টা খানেক পর সমির টিভি দেখা বন্ধ করে পাশের রুমে গিয়ে দেখে অঞ্জনা কথা বলছে; সমির জানতে চাইল এত রাত করে কার সাথে কথা বল? তোমার না মাথা ব্যাথা ঘুমুতে এসে কথা বলছো যে, অঞ্জনা কিছুটা রেগে গিয়ে বলল নাও তুমি কথা বলবে কার সাথে কথা বলছি দেখতে? এই নাও মোবাইল নাম্বার; সমিরও নাম্বার নিয়ে নিল, যেই কল করতে গেল অঞ্জনার মাথা গেল খারাপ হয়ে, সমিরকে বলছে দেখ সবকিছুর একটা সীমা থাকে । সমির বলল আমিতো চাইনি নাম্বার কথাও বলতে চাইনি, তুমিইতো আমায় দিলে । সমির ফোন দিল সুমনের নাম্বারে, যথারীতি অপাশ থেকে আওয়াজ হল হেল.. কে বলছেন? সমির বলল আমায় চিনবেননা আপনি কে? আমার স্ত্রীর সাথে এত রাতে কথা বলেন ? সুমন অবাক হয়ে বলে আমি আপনার স্ত্রীর সাথে কথা বলি মানে ? সমির অন্জনার নাম বললে সুমন বলে অন্জনা বিয়ে করল কবে? আর আমি কে তা অঞ্জনাকে বলতে বলেন ; সমির অঞ্জনাকে সুমনের সাথে কথা বলতে দিল কিন্তু অঞ্জনা কথা বললনা, সমিরের মাঝে যে অঘাত একটা বিশ্বাস ছিল তা ভেঙ্গে গেল, সমির ভাবছে যে মেয়েটা এটু আগেও গলা উচুকরে আমায় নাম্বার দিয়ে কথা বলতে ভলে তার সততাকে পরীক্ষা করার জন্যে এখন সে আর এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চায়না, আমি কাকে বিশ্বাস করবো কতটুকু বিশ্বাস করবো । সমির ছেলেটাকে বুঝিয়ে বলে বিষয়টি কিন্তু সুমন কিছুই শুনতে নারাজ ; সুমন বলে যদি কিছু বলতে হয় অন্জনার মূখ থেকে শুনবে অঞ্জনাও কিছু বলতে পারছেনা সুমনকে । সুমন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে অঞ্জনাকে কল করে, অঞ্জনা সমিরের সামনে কোন কল ধরেনা ও সুমনকে কল করার বিষয়ে কিছুই বলেনা । সমির সুমনের সাথে বিষয়টি নিয়ে বার বার কথা বলে ও এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে সমির সুমনের সাথে দেখা করে, কথা বলে ; সমির তাদের সমস্ত ভাল লাগা, ভালবাসার কথা বলল : বলল আমি বিবাহিত জানার পরও যে মেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ রাখে আমার প্রতি আগ্রহ দেখায় তাকে আমি কি করে ভূলি ! আমায়তো আজ পর্যন্ত তেমন করে কিছু বলেনি অধিকন্তু আমার সাথে দেখা করেছে ; আমার সংসার জীবন সম্পর্কে খুজ খবর নিয়েছে, আমার স্ত্রী কেমন আছে জানতে চেয়েছে, তাকে আমি কতটুকু ভালবাসি তা জানতে চেয়েছে, আমার হাত ধরে বসেছিল মিনিট পাঁচেক, এখন আপনিই বলেন ওটাকে আমি কি বলব? সমির নিজে নিজে ভাবছে আজ বিয়ের প্রায় ১০ মাস এখনো অঞ্জনা আমার হাতটি ভালবেসে ধরেনি । সমির মনের কষ্ট গুলি ভেতরে রেখে সুমনের সাথে ভাল ব্যাবহার করে চলে আসে ; সময়ের ব্যাবধানে অঞ্জনা সমিরের সাথে ভাল ও সুন্দর ব্যাবহার করতে শুরু করে, কিন্তু সুমনের ব্যাপারে কোন কথা বলতেও চায়না শুনতেও চায়না; সমির মনে মনে বেশ খুশি এই ভেবে যে, হয়তো অঞ্জনা তার কৃত কর্মের জন্যে লজ্জিত হয়ে এ বিষয়টা আর সামনে আনতে চাচ্ছেনা, অথবা অঞ্জনা ঘরের মধ্যে অশান্তি না করার জন্যে অগোচরে যোগাযোগ করে যাচ্ছে সুমনের সাথে। আজকাল আর অঞ্জনার মোবাইলে সুমনের কল আসতে দেখা যায়না । সমির বেশ নিশ্চিন্ত এই ভেবে যে তার ঘরের আর অন্য কারো ছাপ নেই; অন্য কেউ তার সংসার জীবনে প্রভাব রাখতে পারছেনা । সমির সকাল সকাল বাসা থেকে বের হল, অন্জনার প্রশ্নের জবাবে সমির বলে আসে আজ অনেক বেশি ব্যাস্ত থাকবে, ক্লইন্ট এর সাইড দেখতে যেতে হবে তাই হয়তো আসতে দেরিহবে তার আজ । সমির অফিসে ঢুকেই পেয়েগেল ভিজিটিং লিস্ট, ফাইল পত্র নিয়ে ১১ টার মধ্যে বেরিয়ে পরে সাইড ভিজিটে কস্টিং প্রপোজাল তৈরী করতে; রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম ঠেলে ১২ টার মাঝেই চলে আসে একটি নব্য তৈরীকৃত রেষ্টুরেন্ট ভিজিটে, ইন্টেরিয়রের কাজ তাই রেষ্টুরেন্ট এর ভিতরে গেল দেখতে ; ভিতরে ঢুকেই সমির হতবাক হয়ে গেল । অঞ্জনা আর সুমন বসে আছে সামনা সামনি দুটি চেয়ারে, সামনের টেবিলে একটি শপিং ব্যাগ যে ব্যাগটি গতকাল সমিরের ঘরে ছিল, অঞ্জনা সমিরকে নিয়ে গতকাল শপিং এ গিয়েছিল আর তখন অঞ্জনা সমিরকে বলল তার ভাইয়ের জন্যে এটি শার্ট কিনতে হবে ঈদের গিফ্ট হিসেবে । সমির তাকিয়ে আছে ভাইকে দেয়ার জন্যে যে গিফ্ট কিনেছিল তার দিকে । সুমন সমিরকে দেখে চলে যাচ্ছে, এমন সময় সমির সুমনকে আটকে বলল এমন কেন করলে? সুমন বলল কথাটা অঞ্জনাকে জিজ্ঞেস কর । সমির অঞ্জনাকে বলল এটা কি করলে তুমি ? আমার বিশ্বাস, ভালবাসার এইকি মূল্য দিলে? অঞ্জনা কিছুই বললনা, কেবলি চুপকরে রইল । সমির অঞ্জনার ভাইকে মোবাইলে কল করে আসতে বলল, অঞ্জনার ছোট ভাই একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে । অঞ্জনার ভাই বিষয়টি শুনে ও দেখে কিছুই বলতে পারলনা । কেবল তার বোনকে বলল কি করলে তুমি? কেন এমন করলে । অঞ্জনাকে সাথে করে নিয়ে গেল তার ভাই, সমিরের কি করা উচিত ভাবতে পারছেনা । সমিরের প্রতি অঞ্জনার যে ভালবাসা তার কোন সঙ্গা সমির পাচ্ছেনা? কেন এমন হল তাও বুঝতে পারছে না সমির । >>>>>চলমান
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×