জাবালে নূর। পবিত্র মক্কাতুল মুকাররমাহর মাসজিদুল হারাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিনা রোডে অবস্থিত এই বরকতময় পাহাড়।
মক্কার অলি গলিতে প্রিয়তমের পরশ খুঁজি
একে একে দিনের পর দিন পেরিয়ে যায়। সময়গুলো দ্রুত ধাবমান। মক্কার সাথে প্রেমের বন্ধন আরও গভীর হতে থাকে। প্রিয় মক্কা প্রিয়তর হতে থাকে। মক্কার অলি গলি চষে বেড়াতে ভাল লাগে। ঘন্টার পর ঘন্টা এই পাথুরে শহরের প্রিয় পথে হেটেছি। ক্লান্তি স্পর্শ করে না! কী জানি? না কি স্বপ্নের মত, ঘোরের ভেতর ছিলাম আমি! আমি কিছুই টের পেতাম না! হয়তো বা! প্রিয় বন্ধু, আপনিও এমনটিই অনুভব করবেন! আপনার অনুভূতিগুলোও এখানে এসে অন্যরকম আবেশে আবেগে বেচাইন হয়ে যাবে! নতুনের আবাহন, মহান মালিকের একান্ত সান্নিধ্য প্রত্যাশায়, প্রিয়তম রাসূলের হাজারও স্মৃতিধন্য এই পূন্যভূমিতে এলে আপনার ভেতরেও এরকম অপার অনুভূতির ঢেউ খেলে যাবে- এটাইতো স্বাভাবিক!
এখানের ধুলো আর বালুকনাগুলোতেও কি এক আশ্চর্য্য মায়াময় মোহনীয়তা! এখানের পথে ঘাটে প্রিয় কত স্মৃতি! আমি হাটছি বাইতুল্লাহর আশপাশে! এই সময়ে! এই যুগে! এই কালে! অথচ আমার মন পড়ে রয়েছে সাড়ে চৌদ্দশ বছর পেছনের আলোকোজ্জ্বল কাফেলার পানে! কল্পনার নৌকায় অজান্তেই পাল তুলে দিয়েছি! ভেসে চলেছি সেই আলোকিত কাফেলার সাথে! আলোর সওদাগরদের পেছন পেছন! চোখ বন্ধ করে আমি যেন আচমকাই থমকে যেতাম! আমি যেন বারবার দেখতে পেতাম- আমার সামনেই প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! স্মিত হাসিতে মোবারক চেহারায় তাঁর নূরের অনুপম ঝলক খেলে যায়! জগতের সবচে' কান্তিময় চেহারার অধিকারী, আরশের মালিকের প্রিয় প্রেমাস্পদ আমার সামনে! তিনি হেটে চলেছেন! মৃদু পায়ে! প্রিয় সাহাবীগন সাথে তাঁর! তিনি সত্যের আহবান, মালিকের পয়গাম তুলে ধরছেন! পরম আগ্রহে তা শুনছেন সাথীগন!
এজেন্সির পক্ষ থেকে মক্কা ভ্রমন
মামু (আমাদের দলের মুআল্লিম, অল্প বয়সী ছেলে, সম্ভবত: এখনও ২৫ পেরোয়নি, এজেন্সী মালিকের ভাগ্নে, তাকে আমরা মামু বলতাম, তিনিও আমাদের মামা ডাকতেন) এসে একদিন বিকেলে রূমে এসে জানিয়ে গেলেন- আগামী কাল বাদ ফজর মক্কা ভ্রমনে বের হব। সবাই রেডি থাকবেন।
কিছুটা দূর থেকে তোলা জাবালে নূর এর অন্যরকম পূর্ন অবয়ব।
আলহামদুলিল্লাহ। সহি সালামতে, পরিপূর্ন ইতমিনানের সাথে, হৃদয়ের অন্তহীন আবেগ আর অশ্রুভেজা আনন্দের ভেতরে হজ্বের যাবতীয় কার্যক্রম সুসম্পন্ন হল। হজ্ব পরবর্তী এই সময়গুলো যেন আর ফুরোয় না! মনের ভেতর অদ্ভূত আকুল টান- কখন যাব মদিনা! কখন যেতে পারব প্রিয়তমের রওজার কিনারে! মন বলে এখনি ছুটে যাই! অপেক্ষা মানে না! প্রতিক্ষা সয় না! ধৈর্য্য বাধ মানে না! তবু মনকে বোঝাতে হয়! নিয়মের ব্যত্যয় রোধে নিয়মের গন্ডিতে থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনে যেতে হয় সবরের সাথে! এই সময়ে শুধু প্রিয় বাইতুল্লাহয় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা আর যত বেশি সম্ভব তাওয়াফ করে যাওয়া- একরকম রুটিন ওয়ার্কে পরিনত হয়ে গিয়েছিল! এমন সময় মক্কা টুরের খবর জেনে আনন্দের মাত্রাটা যেন আরও বেড়ে গেল! আল্লাহ পাকের দরবারে সিজদাবনত শোকরিয়া জানালাম। পরের দিন ফজর শেষে অপেক্ষার প্রহর গুনছি। হোটেলের রিসিপশনে হাজি সাহেবানদের অধীর অপেক্ষা। অবশেষে বাস এসে হাজির। বিশাল সাইজের দুই বাস। সবাই হুরমুড়িয়ে গাড়ীতে উঠে পড়লাম। ড্রাইভার মিশরী। এখানে অনেক মিশরী ড্রাইভার দেখেছি। পাকিস্তানীও রয়েছে। একে একে আমাদের নিয়ে যাওয়া হল- জাবালে নূর, জাবালে সাওর, জাবালে রহমত, জান্নাতুল মা'লা (যদিও আমাদের দেশে অনেকেই এটিকে 'জান্নাতুল মুআল্লা' বলে থাকেন, কিন্তু সঠিক উচ্চারন হওয়া উচিত 'জান্নাতুল মা'লা', ইত্যাদি বিখ্যাত পূন্য স্থানে। দর্শনীয় এসব স্থান ঘুরিয়ে দুপুরের দিকে আবার মক্কার হোটেলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় আমাদের। আমাদের অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্বেও জাবালে নূরে ওঠার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ভ্রমন বাসে যেহেতু মহিলা পুরুষ সকল ধরনের হাজি সাহেবানগন ছিলেন, সেহেতু এত অধিক পরিমান সময় দেয়া আয়োজকদের জন্যও কষ্টকর ছিল। এই ভ্রমন তাই অনিচ্ছা সত্বেও সংক্ষিপ্তভাবেই সমাপ্ত করতে হয়।
মন মানে না, ছুটে গেলাম প্রিয়তমের প্রিয় স্মৃতিময় চূড়ায়
পরবর্তীতে আমাদের রুমের পাঁচজনের ভেতরে রেজা এবং মাসুদ দু'জন মিলে জাবালে নূর ঘুরে এসেছেন। বাকি ছিলাম শুধু আমরা তিনজন- হাফেজ সাহেব, খাজা ভাই এবং আমি। অত:পর ফজরের সালাতের পরপরই তিনজন একটি ট্যাক্সি নিয়ে সোজা গিয়ে হাজির হলাম জাবালে নূর -এ। সে এক আজব অভিজ্ঞতা। গাড়ী থেকে নেমে পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছুতে ক্রমশ: যে উঁচুতে উঠতে হয়, তাতেই কম্ম সাড়া! ঘর্মাক্ত কলেবর তাতেই! পাহাড়ে আরোহনতো শুরুই হয়নি! ৬৪২ মিটার উঁচু এই পাহাড়ে ওঠার জন্য এখন পাহাড়ের গা কেটে কেটে চমতকার সুন্দর সিঁড়ি বানিয়ে দেয়া হয়েছে। একটু পরপর আবার বড় আকারের ছাতাযুক্ত পাকা বেঞ্চ বানিয়ে রাখা হয়েছে- যাতে আরোহীগন বসে জিরিয়ে নিতে পারেন।
আলোর পাহাড়ের এক ঝলক।
খাড়া পাহাড়ের এই দুর্গম গা বেয়ে কিভাবে আল্লাহর রাসূল এর চূড়ায় আরোহন করতেন, ভেবে আশ্চর্য্য হয়েছি! সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠতে গিয়ে যেখানে আমাদের নিশ্বাস ঘন হয়ে উঠেছে! বুক ধড়ফড় করেছে! বারবার থেমে জিরিয়ে নিতে হয়েছে! আল্লাহু আকবার! কেমন করে সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বে আমাদের প্রিয়তম হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুর্গম পাহাড়ে উঠতেন!
মাকে মনে পড়ে যায়!
এখানে এসে মনে পড়ে যায় উম্মত জননী মা খাদীজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহার পূন্যস্মৃতি! আহ, আজকের এই দিনে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, তিনি আসতেন এই পাহাড়ের কোলে! খাদ্য পানীয় হাতে উম্মত জননীর পদস্পর্শে ধন্য হত এই পাহাড়! এই প্রান্তর! বালু পাথরের এই রূক্ষ ভূমি! আহ! তিনি তো আমাদের সেই মা, যার সম্মন্ধে প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই স্মৃতিচারন আমাকে আকুল-ব্যাকুল করে তোলে- 'আ-মানাত বি- হী-না কাফারা বিন্না-স, ওয়া ছাদাক্কাতনী- হী-না কাযযাবানিন্নাস, ওয়াআশরাকাতনী- ফি- মা-লিহা হী-না হাররামানিন্নাস, ওয়া রাযাক্কানিল্লা-হু অলাদাহা- ওয়াহাররামা অলাদা গইরিহা-'
অর্থাত, 'যে সময় লোকেরা আমার সঙ্গে কুফরি করল সেই সময়ে তিনি আমার প্রতি নিটোল বিশ্বাস স্থাপন করলেন, যে সময় লোকেরা আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল সে সময় তিনি আমাকে দান করলেন, আর লোকেরা যখন আমাকে বঞ্চিত করল, তখন তিনি আমাকে তাঁর সম্পদে অংশীদার করলেন। আল্লাহ আমাকে তাঁর গর্ভে সন্তানাদি প্রদান করলেন, অন্য কোন স্ত্রীর গর্ভে সন্তান দেন নি।'
আহ! কী অপরিসীম দরদ! অন্তহীন কৃতজ্ঞতার কী অপূর্ব প্রকাশ! কী অনির্বচনীয় অভিব্যক্তি! কী অসাধারন মূল্যায়ন আল্লাহর হাবিবের!
সহীহ বুখারীতে আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা অানহু হতে বর্নিত আছে যে, জিবরাঈল আলাইহিসসালাম নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আগমন করে বললেন, 'হে আল্লাহর রাসূল! ইনি খাদীজাহ (রাদিআল্লাহু তাআলা অানহা) আগমন করছেন। তাঁর নিকট একটি পাত্র আছে। যার মধ্যে তরকারী, খাদ্যবস্তু অথবা পানীয় বস্তু আছে। যখন তিনি আপনার নিকট এসে পৌছবেন তখন আপনি তাঁকে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং জান্নাতে মতির তৈরি একটি মহলের সুসংবাদ প্রদান করবেন। যার মধ্যে কোন হট্টগোল বা হৈচৈ হবে না, কোন প্রকার ক্লান্তি ও শ্রান্তি আসবে না।'
পাহাড়ের গা কেটে এভাবেই বানানো হয়েছে সিঁড়ি।
যেভাবে উঠে গেলাম পর্বত শিখরে!
হাফেজ সাহেব গাড়ী থেকে নেমে আমাদের বিদায় দিলেন। তিনি পাহাড়ে আরোহনে অপারগ। বসে থাকলেন পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা দোকানে। খাজা ভাই বিশাল পটু। তার আগ্রহের শেষ নেই। হাজার পাহাড়ের এই দেশে পাহাড় দেখে দেখে মুগ্ধ তিনি। প্রতিটি পাহাড়ে উঠতে পারলেও যেন তার মন ভরতো না। গাড়ীর জানালার ফাঁকে এক একটা পাহাড় চোখের সামনে আসে, আর তার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক! তার সে কি উচ্ছৃাস! বয়সের কাটা ষাটের কোটায় ছুঁয়ে গেলেও উচ্ছল কিশোরের মত এই মানুষটির চঞ্চল মন আবেগে ভরপুর। অনেক আন্তরিক। অবেশেষে তাকে নিয়ে দু'জনের যাত্রা। মিনিট দশেক চলার পরে তিনি পেছনে পড়ে গেলেন। হাঁপিয়ে উঠেছেন হয়তো। অপেক্ষা করলাম তার জন্য। তিনি এসে মিলিত হলে আবার আরোহন শুরু। একটু পরে আবার পেছনে পড়লেন। আবার অপেক্ষার পালা। এরকম কয়েকবার করার পরে একপর্যায়ে তাকে রেখেই চলা শুরু করলাম এবং আলহামদুলিল্লাহ, প্রায় মিনিট পচিশের ভেতরে সহজেই চূড়ায় পৌঁছে গেলাম। উপরে উঠে লক্ষ্য করলাম, পানির বোতল রয়েছে খাজা ভাইর কাছে। তার ব্যাগে। প্রান যেন ওষ্ঠাগত! হায় হায়, বুক মুখ শুকিয়ে কাঠ! এখানে পানি পাব কোথায়? কিন্তু সামনে একটু এগুতেই দেখি, দোকান! বাহ! পাহাড় চূড়ায় দোকান! আশ্চর্য্য হয়েছেন? না, এখনই আশ্চর্য্য হওয়ার প্রয়োজন নেই! আসল আশ্চর্য্যেরতো আরও বাকি! কিছু কিনবেন? দাম শুনে দেখবেন- আক্কেল গুড়ুম! পানির বোতলের দাম 'পাঁচ রিয়াল'! মানে, পাহাড়ের নিচের থেকে পাঁচগুন! কলা একপিস 'তিন রিয়াল'! পানি পানের আশা আপাতত: ছেড়ে দিলাম! আরেকটু সামনে এগিয়ে পাহাড় চূড়ার আরেক মাথায় নামাজ আদায়ের জন্য পাটি বিছানো একটি সুন্দর জায়গা রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, এখানে সালাত আদায় করলাম। প্রানভরে আত্মীয়-স্বজন, এলাকাবাসী, দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীর সকলের শান্তি, মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোআ করলাম। অত:পর চূড়া থেকে পাহাড়ের অপর পাশ দিয়ে বাকানো সিঁড়ি দিয়ে কিছুটা নিচে নেমে পর্বতের মূল গুহা, যেখানে আল্লাহর পেয়ারা হাবিব ধ্যানমগ্ন থাকতেন সেখানে পৌঁছাই। এই স্থানেই মহান প্রভূর বার্তাবাহক জিবরাঈল আলাইহিসসালাম মানবজাতির হেদায়েতের অমিয়বানী পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কথামালা- 'ইক্করা বিছমি রব্বিকাল্লাজি খলাক্ক। খলাক্কাল ইনছানা মিন আলাক্ক। ইক্করা অরব্বুকাল আকরাম। আল্লাজী আল্লামা বিল ক্কলাম। আল্লামাল ইনছানা মা লাম ইয়া'লাম' -নিয়ে আসেন রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে।
পাথরের সংকীর্ন গলিপথ দিয়ে কষ্ট করে যেতে হয় এই স্থানটিতে। অনেকে এখানে নামাজ আদায় করেন। প্রচন্ড ভিরের কারনে আসলে এখানে সালাত আদায় করা কঠিনই হয়ে পড়ে! বিশেষত: হজ্ব মওসুমে।
পাহাড় চূড়ায় এখানে নামাজ আদায় করেছি।
পর্বতের মূল গুহা, যেখানে ধ্যানমগ্ন থাকতেন প্রিয়তম রসূল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আল্লাহ পাক আমাদের প্রত্যেক আগ্রহী ব্যক্তিকে হজ্বে মাবরূর, মাকবূল নসীব করুন। তাঁর প্রিয় হাবিবের স্মৃতিধন্য পূন্যভূমিতে বারবার যাওয়ার তাওফিক দিন। আমীন।
সকলের জন্য শুভকামনা, অফুরন্ত দোআ এবং ভাল থাকার কামনা। আল্লাহ পাক পৃথিবীর সকল প্রানীকে ভাল রাখুন।
হামদ এবং সানা পরম প্রিয় মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার জন্য। দরুদ ও সালাম প্রিয়তম রসূল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহের প্রতি। শুরু এবং শেষে।
উপর থেকে গুহা এবং গুহা মুখ।
পেছনের পর্বগুলো-
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১২