somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

ব্লগে না এলে যে জিনিষগুলো হয়তো জানাই হত না.........

০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবি: অন্তর্জাল।

ব্লগে না এলে যে জিনিষগুলো হয়তো জানাই হত না.........
আমার ব্লগ জীবনে প্রবেশের চিত্রটা আর দশজনের থেকে একটু ভিন্নরকম ছিল। ২০১০ কি ২০১১ সালের দিককার কথা। কোনো একটা কিছু খুঁজতে গুগল করছিলাম। গুগল মহাশয় অতি সদয় হয়ে অন্যান্য পেইজের মত সামুর একটা লিঙ্কও আমার সামনে তুলে ধরে। ক্লিক করে ঢুকলাম সেখানে। সে লেখাটা দেখার পরে অভ্যাসবশতঃ ওয়েবসাইটটি সম্মন্ধে একটু আইডিয়া নেয়ার জন্য 'প্রথম পাতা' আইকনে ক্লিক করে সামুর হোম পেইজে চলে আসি। সামুর সাথে পরিচয় পর্বটা এমনই ছিল।

সামুতে লিখতে গিয়ে .........
সামুতে লিখতে গিয়ে কতজনকে কতভাবে নাকাল হতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। অত্যন্ত রসালোভাবে ভূয়া মফিজ ভাই তার কোনো এক পোস্টে এই বিষয়ক হৃদয় বিদারক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন একবার। নাকানি চুবানি তো আছেই। ঝগড়া, টুকটাক মতবিরোধ থেকে শুরু করে বউয়ের হাতে অনেকের শুধু মারটাই খাওয়া বাকি! তবে এমন অবস্থা সব ব্লগারের নয়। যারা নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজনাদির প্রতি সচেতনতা প্রদর্শন করে ব্লগে সময় দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যালেন্স রক্ষা করে চলতে অপারগ তারাই হয়তো এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে থাকতে পারেন। অর্থাৎ, অবস্থা যাদের এমন পর্যায়ে চলে যায় যে,

ব্লগে ডুবে হারিয়ে খেই-
ঘর সংসারের খবর নেই।

এমন অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সামঞ্জস্য রক্ষা করেই চলা উচিত।

সামু না স্ত্রী, কাকে বেশি সময় দিবেন?
অনেকে সামুতে দিনরাত সময় দেয়ার ফলে এমন প্রশ্নের উদ্ভব হয় যে, সামু না স্ত্রী, কাকে বেশি সময় দিবেন? সামু আসলে সামুর স্থলে সঠিক। বাংলা ভাষার চমৎকার একটি প্লাটফরম। লেখার জায়গা। শেখার জায়গা। নিজেকে চেনার জায়গা। অন্যদের সম্মান করতে শেখারও এটি আদর্শ ঠিকানা। এই প্লাটফরম এর সাথে স্ত্রীকে তুলনা করার কিছু নেই। স্ত্রী কিংবা স্বামী একে অপরের পরিপূরক। ভার্চুয়াল কোনো সাইট স্বামী বা স্ত্রীর বিকল্প হতে পারেন না। সুতরাং, এখানেও ঐ আগের কথাটিই মাথায় রাখা চাই। প্রয়োজন এবং অবস্থা অনুযায়ী সময়ের সঠিক ব্যবহারই এই ধরণের অবান্তর প্রশ্ন উত্থাপনের আশঙ্কা দূর করতে পারে।

সামুর কারণে চাকরি হারানোর ঘটনা............
সামুতে লেগে থাকার কারণে ইতোপূর্বে আমরা জনৈক প্রিয় ব্লগারের (নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না) চাকরি হারানোর ঘটনা জানতে পেরেছিলাম। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা জেনে তখন সত্যি মর্মাহত হয়েছি। পূর্ণ সতর্কতার সাথে চলার মাধ্যমে এই ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনার হাত থেকে আত্মরক্ষায় অবশ্যই মনযোগ থাকা উচিত আমাদের।

সামু দু'হাত খুলে লিখতে শিখিয়েছে...........
সামু আমাকে কি দিয়েছে? কিছু কি দিতে পেরেছে আদৌ? না কি শুধুই সময়ের অপচয়? বছরের পর বছর পরে আছি সামুতে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন এর দরবারে সামু পরিবারের সকলের জন্য হৃদয় নিংড়ানো কল্যানের দুআ। সামুতে এসে কিছু না পেলেও লেখার স্বাধীনতা পেয়েছি। দু'হাত খুলে লিখতে পেরেছি। হৃদয়ে জমে থাকা কথার মুক্তো দিয়ে মালা গাঁথার অবারিত সুযোগ দিয়েছে সামু। সামু জ্ঞানের আলোকিত মশাল যেন, এর বিচ্ছুরিত আলোক আভায় নিজেকে নিয়তই ধুয়ে নিচ্ছি, শুদ্ধ-পরিশুদ্ধ করছি, ভেঙ্গে চূড়ে নতুন করে আবার নিজেকে গড়ে তুলছি প্রতি দিন।

কঠোর প্রতিমতকেও সম্মান করতে শিখিয়েছে সামু...........
একটা সময় ছিল যখন বিরুদ্ধ মতকে মেনে নেয়া অনেক কষ্টকর ছিল। বিশেষ করে ধর্মীয় ইস্যুতে উল্টোপাল্টা বক্তব্য এমনকি আল্লাহ রাসূলকে গালিগালাজসহ নানান ধরণের কুৎসা ও অবান্তর কথাবার্তা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাতো। কখনো কখনো এমনও হয়েছে, এসব দেখে নিরবে অশ্রু বর্ষন করে আল্লাহ তাআ'লার কাছে দু'হাত তুলে তাদের সঠিক পথপ্রাপ্তির জন্য কেঁদেছি। দুআ করেছি। নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশের এছাড়া আর কোনো পথ জানা ছিল না তখন। সামুতে আমার লেখালেখির প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু কিছু ব্লগারের সাথে টুকটাক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। সহনশীলতার অনেকগুলো স্তর রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, তখনকার স্তর আর এখনকার স্তরের মধ্যে অনেক প্রভেদ রয়েছে। এই প্রভেদ এবং পার্থক্যের পেছনে সামুর ভূমিকা এবং অবদান অনেক।

সামুতে আগে অনেকে থাকলেও এখন কিন্তু একাই............
হ্যা, এখন একাই লড়ে যাচ্ছেন। একাই আল্লাহ, রাসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে গালিগালাজসহ নানান ধরণের কুৎসা রটনা ও অবান্তর কথাবার্তার সকল দায়িত্ব মনে হচ্ছে নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। শত প্রতিকূলতার ভেতরেও তিনি থেমে যান না। ভেঙ্গে পড়েন না। আমাদের মত অন্ধবিশ্বাসীগণের(!) অম্ল মধুর একটু আধটু বিরোধিতা তার চলার পথকে কন্টকাকীর্ণ করতে পারে না। তিনি তার পথে অনঢ়। যাক, তার জন্য শুভকামনা। কারণ, আল্লাহ পাক যদি তার এতকিছু উল্টোসিধা কাজকাম সহ্য করে তাকে আলো-বাতাস দিয়ে, খাবার-পানীয় দিয়ে, প্রেম-ভালোবাসা-মমতা দিয়ে লালন পালন করতে পারেন; তার প্রতি সামান্য সহনশীলতা প্রদর্শনে আমার সমস্যাটা কোথায়?

আমি যদি সত্যিকারার্থে আল্লাহ তাআ'লাকে ভালোবাসার দাবিদার হয়ে থাকি, তাহলে তাঁর সৃষ্টিকূলের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন আমার উপর অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আর হাদিসে তো এসেছে, 'গোটা সৃষ্টিজগত আল্লাহ পাকের বৃহত্তর পরিবারের মত।' সুতরাং, ভালোবাসা সবসময়। সবার জন্য। আল্লাহ পাক তার কল্যান করুন। তাকে পরিচালিত করুন আলোকিত পথে।

কঠিন প্রতিকূলতাকে জয় করার অদম্য বাসনা...........
সামু বন্ধের সে দিনগুলোয় মনে হত যেন, আমি নিজেই বুঝি আটকে আছি। মন মানতো না। প্রাণ খুলে লিখতে না পারার কষ্ট নিয়ে সেই প্রতিকূলতাকে জয় করার দৃঢ় মনোবল কখনো হারাইনি। অদম্য এই মনোবলে সামুর যোগান ছিল, প্রেরণা ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:২০
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×