মুখের বুলিসর্বস্ব নয়, সত্যিকারের মানবাধিকার ইসলামের ছায়াতলেই রয়েছে- ইসলাম অন্যের দরজা-জানালায় উঁকি দেওয়াকেও পাপ সাব্যস্ত করেছে
আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে বলে মুখে ফেনা তোলেন। ইসলামকে সেকেলে, মধ্যযুগীয়, বর্বর ইত্যাকার কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিন্দা জ্ঞাপন করতে পিছপা হন না, তাদের সত্যি সত্যিই জানাতে ইচ্ছে হয় যে, ইসলামের মানবাধিকারের স্বরূপটি আসলে কেমন। ইসলাম মানবাধিকারের যে রূপরেখা প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে বিশ্ববাসীর কল্যান ও মুক্তির লক্ষ্যে দিয়ে রেখেছে; অন্য কোনো মতবাদ কিংবা মতাদর্শ কি তার ধারেকাছে যেতে পেরেছে? এর একটি জ্বলন্ত প্রমান ইসলামের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তার দিকটি। ইসলামের প্রতিটি বিধানই যৌক্তিক এবং মানবতার কল্যানের নিদর্শনে পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সম্মান, ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষায় নানাবিধ বিধি-বিধান প্রণয়ন করেছে। এসব বিধি-বিধান পালন করে চললে সত্যিকারার্থেই মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব বলা বিধেয় হতে পারে। ইসলাম মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব উপাধিতে ভূষিত করার পেছনেও রয়েছে যৌক্তিক বহুবিধ কারণ।
অনুমতি ছাড়া কারও ঘরে প্রবেশ নয়ঃ
মানুষকে আল্লাহ তাআলা সম্মান-মর্যাদা, বুদ্ধিমত্তা, বিবেক-বিবেচনা, জ্ঞান-প্রজ্ঞা ইত্যাদি উপকারী বিষয়াবলী দান করে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করেছেন। সৃষ্টিকুলের উত্তম সৃষ্টির মর্যাদা ও সন্মান দান করেছেন। বস্তুতঃ এই সম্মান রক্ষায় ইসলাম কার্যকর উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় ইসলাম গিবত তথা, পরনিন্দা কারও পেছনে তার দোষ বলার মত ঘৃণিত বিষয়াবলীকে নিষিদ্ধ সাব্যস্ত করেছে এবং এমনকি অন্যের ঘরে বিনানুমতিতে প্রবেশ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে। বিনানুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ করলে বিব্রতকর ও বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যা ওই ব্যক্তির জীবনকে অসম্মান, লজ্জাষ্কর কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে হুমকির সম্মুখীনও করে তুলতে পারে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করা হয়েছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। -সূরা আন নূর, আয়াত ২৭
O ye who believe! enter not houses other than your own, until ye have asked permission and saluted those in them: that is best for you, in order that ye may heed (what is seemly).
মহান আল্লাহ তাআ'লার এই নির্দেশনার কারণ হচ্ছে, ঘরে কখনো একান্ত ব্যক্তিগত কাজ করা হয়, যা অন্য কারো দৃষ্টিগোচর হওয়া ঘরের বাসিন্দার কাছে বিব্রতকর বিষয় বলে মনে হতে পারে। আবার ঘরোয়া জীবনে পোশাক পরিধানে প্রত্যেকের আলাদা রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ কাজ করে, অনেকের দেহে শয্যা যাপনের পোশাক থাকে বা পরিহিত পোশাকের অংশ বিশেষ খোলা থাকতে পারে—এসব পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরের অবস্থা অবলোকনের উদ্দেশ্যে দরজা ও জানালা দিয়ে উঁকি দিলে কিংবা অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করলে ঘরের অধিবাসী খুবই বিব্রতকর ও লজ্জিতকর অবস্থায় পড়তে পারেন। কাউকে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার অধিকার ইসলাম দেয়নি।
ইসলাম ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমুন্নত করেছেঃ
বর্তমান আধুনিক জীবনে এসে মানুষের গৃহাভ্যন্তর অপেক্ষাকৃত আরও সংকুচিত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শহুরে জীবনে অধিকাংশ মানুষই স্বল্প পরিসরে পরিবার পরিজন নিয়ে পরিমিত স্থানে বসবাস করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। আর শহর কিংবা গ্রাম সর্বস্থানেই, ঘরের ভেতরে অবস্থানকালীন সময়ে মানুষ পরিবার পরিজনের সাথে ঘরোয়া সময়টাকে নিজেদের মত করে কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। নানা প্রয়োজনে বারান্দা বা বেলকনিতে এসে বসতে পারেন। কাজ কর্ম করতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে ঘরে থাকা লোকদের বিনানুমতিতে উঁকি দিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা বা কোনো ধরণের ডিস্টার্ব করা নিতান্তই অন্যায় এবং গর্হিত অপরাধ। ইসলাম এসবের অনুমোদন দেয়নি।
এতব্দ্যতিত, কারও ঘর-বাড়িতে হঠাৎ কেউ ঢুকে গেলে বা কারো দরজা-জানালা দিয়ে দৃষ্টি দিলে মাহরাম নয়, এমন কোনো পুরুষ বা নারীর ওপর দৃষ্টি পড়তে পারে। এতে দৃষ্টিদানকারী ব্যক্তির কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, যা থেকে এড়িয়ে চলা একান্তভাবেই প্রয়োজন।
কুরআনের নির্দেশ- অনুমতি না পেলে ফিরে যাওঃ
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ইসলাম অন্যের ঘরে প্রবেশের জন্য অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিনা অনুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ করা নাজায়েজ। এটি সাধারণ ভদ্রতা ও শিষ্টাচারপরিপন্থী। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فِيهَا أَحَدًا فَلَا تَدْخُلُوهَا حَتَّى يُؤْذَنَ لَكُمْ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ارْجِعُوا فَارْجِعُوا هُوَ أَزْكَى لَكُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ
যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন। -সূরা আন নূর, আয়াত ২৮
If ye find no one in the house, enter not until permission is given to you: if ye are asked to go back, go back: that makes for greater purity for yourselves: and Allah knows well all that ye do.
অনুমতি ছাড়াও প্রবেশ করা যায় যে ঘরেঃ
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেন,
لَّيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ مَسْكُونَةٍ فِيهَا مَتَاعٌ لَّكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ
যে গৃহে কেউ বাস করে না, যাতে তোমাদের সামগ্রী আছে এমন গৃহে প্রবেশ করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই এবং আল্লাহ জানেন তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর। -সূরা আন নূর, আয়াত ২৯
It is no fault on your part to enter houses not used for living in, which serve some (other) use for you: And Allah has knowledge of what ye reveal and what ye conceal.
মাহরাম ব্যক্তিদের ঘরে যেতেও অনুমতি নিতে হবেঃ
অন্যের গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত জীবনাচারের স্বাধীনতা ইসলামের দৃষ্টিতে এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, মাহরাম ব্যক্তিদের ঘরেও অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করেছে ইসলাম। মাহরাম আত্মীয়দের (যাদের পারস্পরিক বিবাহ হারাম) পরস্পরের মধ্যে পর্দার বিধান না থাকলেও একে অন্যের ‘সতর’ বা 'গোপনাঙ্গ' দেখা নাজায়েজ। তাই প্রাপ্তবয়স্ক মাহরামদেরও একে অন্যের ঘরে গেলে অনুমতি নিতে হবে। মাতা-পিতা, প্রাপ্তবয়স্ক ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে সকল মাহরামের ক্ষেত্রেই এই বিধান প্রযোজ্য। তবে সাবালকত্বে পৌঁছেনি- এমন শিশুরা যেহেতু সাধারণতঃ ঘরে ছোটাছুটি করে, তাই তারা শুধু ওই সময়ে অনুমতি নেবে যে সময়ে বড়রা বিশ্রাম ও একান্তে অবস্থান করে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ وَالَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ مِنكُمْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ مِن قَبْلِ صَلَاةِ الْفَجْرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُم مِّنَ الظَّهِيرَةِ وَمِن بَعْدِ صَلَاةِ الْعِشَاء ثَلَاثُ عَوْرَاتٍ لَّكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلَا عَلَيْهِمْ جُنَاحٌ بَعْدَهُنَّ طَوَّافُونَ عَلَيْكُم بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
হে মুমিনগণ! তোমাদের দাসদাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের নামাযের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখ এবং এশার নামাযের পর। এই তিন সময় তোমাদের দেহ খোলার সময়। এ সময়ের পর তোমাদের ও তাদের জন্যে কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অপরের কাছে তো যাতায়াত করতেই হয়, এমনি ভাবে আল্লাহ তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। -সূরা আন নূর, আয়াত ৫৮
O ye who believe! let those whom your right hands possess, and the (children) among you who have not come of age ask your permission (before they come to your presence), on three occasions: before morning prayer; the while ye doff your clothes for the noonday heat; and after the late-night prayer: these are your three times of undress: outside those times it is not wrong for you or for them to move about attending to each other: Thus does Allah make clear the Signs to you: for Allah is full of knowledge and wisdom.
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা একই সূরার পরবর্তী আয়াতে ইরশাদ করেন,
وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ فَلْيَسْتَأْذِنُوا كَمَا اسْتَأْذَنَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োপ্রাপ্ত হয়, তারাও যেন তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় অনুমতি চায়। এমনিভাবে আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের কাছে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। -সূরা আন নূর, আয়াত ৫৯
But when the children among you come of age, let them (also) ask for permission, as do those senior to them (in age): Thus does Allah make clear His Signs to you: for Allah is full of knowledge and wisdom.
এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদিসঃ
অনুমতি ছাড়া কারো গৃহাভ্যন্তরে তাকানো এবং দরজা-জানালায় উঁকি দেওয়া অমার্জনীয় অপরাধ। আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে উঁকি দেবে, তার জন্য ওই ব্যক্তির চোখ ফুঁড়ে দেওয়া বৈধ।’ -মুসলিম, হাদিস ২১৫৮
অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যদি কেউ তোমার ঘরে তোমার অনুমতি ছাড়া উঁকি মারে আর তুমি পাথর মেরে তার চক্ষু ফুটা করে দাও, তাতে তোমার কোনো গুনাহ হবে না।’ -বুখারি, হাদিস : ৬৮৮৮
যদিও এই হাদিসের ব্যাখ্যায় মুজতাহিদ ইমাম ও মুহাদ্দিসদের বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে; কিন্তু এ কথায় কারো দ্বিমত নেই যে, অন্যের ঘর, দরজা ও জানালা দিয়ে উঁকি দেওয়া গুরুতর অপরাধ।
হাদিসটির ব্যাপারে ফকিহ ইমামগণের অভিমতঃ
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহু -এর মতে, কেউ অনুমতিবিহীন কারো ঘরে উঁকি দিলে সে যদি পাথর মেরে তার চোখ নষ্ট করে দেয়, তাহলে এর কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। ইমাম মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, অন্যের ঘরে উঁকি দেওয়া পাপ হিসেবে বিবেচিত। ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি -এর মতে, উল্লিখিত হাদিসের বক্তব্য ধমকিস্বরূপ। কেউ অনুমতিবিহীন কারো ঘরে উঁকি দিলে সে যদি পাথর মেরে তার চোখ নষ্ট করে দেয়, তাহলে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে উঁকি দেওয়া অন্যায় ও অপরাধ।
নবীজীর জীবনে সংঘটিত একটি ঘটনাঃ
রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবনে এই হাদিসের ওপর আমল করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- সাহল ইবনে সাদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কোনো একটি কক্ষে উঁকি দেয়। তখন রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে একটা ‘মিদরা’ তথা, এক ধরনের চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি তাঁর মাথা চুলকাচ্ছিলেন। তখন তিনি বলেন, যদি আমি জানতাম যে, তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। আর তাকানোর জন্য অনুমতি গ্রহণের বিধান দেওয়া হয়েছে। -বুখারি, হাদিস ৬২৪১
আমরা বিনীতভাবে তাওফিকপ্রার্থীঃ
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ইসলামের এসব অনন্য সৌন্দর্য্য আমাদেরকে অনুধাবন করার মত বোধ ও বিবেক দান করুন। বাস্তব জীবনে আমল এবং অনুশীলনের মাধ্যমে এর অফুরন্ত কল্যান লাভ করার তাওফিক প্রদান করুন।