somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বিচার ব্যবস্থার শানে-নজুল ও সমাধান।

০৫ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকাঃ (ডোন্ট টেইক পারসনাল) আদালত নিয়ে আলোচনা করতে চান ? সেক্ষেত্রে শুরুটা যথার্থ হতে হবে। যেমনঃ শোনেন, আদালত সম্পর্কে আমাদের গ্রামে গঞ্জে, হাটে বাজারে এবং কাচারি পাড়ায় অসংখ্য স্বতসিদ্ধ প্রবাদের একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হলো "৩৬০ টা শয়তান মরলে হয় একটা উকিল। কোথাও বলে "যখন একটা উকিলের জন্ম হলো, তখন শয়তান খুশী হয়ে গেলো, বললো, আহ আমিতো সন্তানের পিতা হয়ে গেছি ! " আর এই ৩৬০ টা শয়তান মরে হয় যে উকিল/ব্যারিস্টার সেই রকম একটা লোক ২০ বছর উকালতি/ব্যারিস্টারী করার পর হয় বিচারপতি পদে কেবল আবেদন করার যোগ্য। তাহলে এদের সম্পর্কে আর কতটুকু বলার অপেক্ষা রাখে ?

আমাদের মাত্র চল্লিশ বছরের ইতিহাস দেখলেই দেখা যায় প্রতিনিয়ত অসংখ্য অন্যায় অবিচার এর সাথে সাথে এদেশের অতীতের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় "অসাংবিধানিক কু-কর্ম" এই বিচার ব্যবস্থাই বৈধতা দিয়েছে আবার এই বিচার ব্যবস্থাই অবৈধ ঘোষনাও করেছে। তাহলে এখানে যুক্তি সংগত ও বাস্তব কারনেই সমাজের এ সকল শতশত বা হাজার বছরের পরীক্ষিত সত্য প্রবাদগুলো নিউটনের আপেল উপর থেকে ছেরে দিলে নিচেই পরবে, বিষয়টার মত সত্য ধরে চলুন দেখি কি এই শয়তানের ব্যবস্থাটা, যা খালি শয়তান জন্ম দেয় ? আবার শয়তান মরে উকিল হয়। সেই উকিল বাত্তি হয়ে বিচারপতি। কে দায়ি ব্যক্তি না বিচার ব্যবস্থা ? সিস্টেমের সমস্যটা রিফ্রেস করতে সম্প্রতী কয়টা ঘটনা দেখা যেতে পারে।

সম্প্রতী ঘটনাঃ ঘটনা একঃ ফেরী ঘাটের ইজারা সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশনের আদেশ পালন না করায় আদালত বমাননার অভিযোগে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাড়ে ৩ ঘণ্টা হাইকোর্টের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে অবশেষে লিখিত নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ও ভবিষ্যতে আদালতের আদেশ অমান্য করবেন না মর্মে বক্তব্য দাখিল করে অব্যহতি পেয়েছেন। সকাল সাড়ে ১১টায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানি শুরু হয়। আদালত ডিসিকে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। এ সময় ডিসি চশমা পরে ছিলেন। আদালত দেখতে পেয়ে তাকে চশমা খুলে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।

বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রোববার আদালত শুনানির এক পর্যায়ে ডিসিকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি কি হাইকোর্ট কি জিনিস তা চিনেছেন? তিনি কি সন্তুষ্ট হতে পেরেছেন? তিনি কি বুঝতে পেরেছেন, হাইকোর্টকে সুড়সুড়ি দিতে নেই?
যুগান্তরঃ Click This Link


আলোচনাঃ এখানে ঘটনাটি রিট পিটিশন নিয়ে। আচ্ছা বলেনতো গত বছর বা এর আগের বছর হাইকোর্টে কতগুলো রিট পিটিশন হয়েছে ? সংখ্যাটা কত ? ২০০৫ সালে ছিল ৯৫০০ (সাড়ে নয় হাজার)। সংখ্যা এত বেশী কেন ? সম্প্রতি বছরে পনের ছাড়িয়ে থাকবে। একটা রিট আবেদনে এভারেজ খরচ কত ? দেশে এত "প্রচলিত আইনে প্রতিকার নেই" ঘটনা ঘটে ? এতো বড়ই বিপদজনক।

আসলে ৯০% রিটের আবেদনের বিষয় রিটের সংজ্ঞায়ই পরেনা। অধিকাংশ রীট মামলা কোন ব্যবসায়ী বা ইজারাদার সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারী মাল হরিলুট করার জন্য করে থাকেন। যেমন উপরের ঘটনায় ফেরী ঘাটের ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রচলিত আইনে প্রতিকার নেই বা মৌলিক অধিকার লংঘনের কোন বিষয় কি ঘটেছে ? এই রিটটির মত দেশের হাওর অঞ্চলের জলমহাল ইজারাদারেরা জলমহাল একবার ইজারা নিয়ে, কেন তাকে দুই দিন পরে দখল দেয়া হলো অথবা মন্ত্রনালয় কেন তাকে দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা দিল না এই রকম আজাইরা ওজর তুলে হাইকোর্টে একটা রীট করে দিয়ে এই জলমহালের উপর স্থিতাবস্থার আদেশ নিয়ে যায়। আর সর্বশেষ দখলদার হিসাবে পরবর্তী আরও দশ বছর ফাউ খায়। আচ্ছা আজকাল রীটের রেট কত বলেন, আমার একটা দরকার আছে। (এক কাজ করুন রীটের জন্য একটা ওয়েব সাইট প্রকাশ করে জনগনকে আপডেট রাখা হউক। )

উপরের ডিসির ক্ষেত্রে দেখা যায় ভূমি, ফেরী, বালু ইত্যাদী বিষয়ে কেউ অসন্তুষ্টু হলে যাবে ভূমি আপিল বোর্ডে। সেখানের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে যদি বিধান থাকে তবে হাই কোর্টে। অন্যথায় সিভিল আদালতে ধারাবাহিক ভাবে। কিন্তু রিট পিটিশন কোন যুক্তিতেই না। যাহইউ অইনের চেয়ে সিসটেমই আমাদের আলোচ্য বিষয়।

ঘটনা দুইঃ কিছু দিন আগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন একজন কর্নেল ও পুলিশর্যাব নিয়ে গিয়ে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দিয়েছে। কেন ?
চ্যানেলটি তার লাইসেন্সের এক বা একাধিক শর্ত অর্থাৎ বিটিআরসির আইন ভংঙ্গ করেছে।
কি করেছে ?
চ্যানেলটি এর লাইসেন্সের বিপরীতে আমদানী করা টেলিকাস্ট যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করেছে। কিভাবে করলো ?
প্রাইম ব্যাংক প্রকাশ্য নিলামে সেগুলি বিক্রি করেছে।
ক্যামনে ?
ব্যাংক ঋণ আদায়ের মামলায় হাইকোর্ট রায় দিয়েছে প্রকাশ্য নিলামে এইগুলি, অন্য কিছু না, বিক্রি করে পাওনা আদায় করতে।

আবার এই দিকে বিটিআরসির আইন অনুযায়ী কোন টেলিভিশন চ্যানেল তার সম্প্রচার যন্ত্রপাতি হস্তান্তর বা বিক্রি করতে পারবে না। অথচ হাইকোর্ট প্রাইম ব্যাংককের আবেদনে এই যন্ত্রপাতি প্রকাশ্য নিলামের আদেশ দিয়েছে। এইটা কি করলেন মহামান্য এ্যাফেকটেড ইঙ্গ-পাকি বিচার ব্যবস্থা ? হাইকোর্ট নিজে বেআইনই কাজ করলো ? দেশটা আসলেই মঘের মুল্লুক।

সারাদেশঃ আমাদের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে সারাদেশে নিম্ন আদালত নামে। ৬৪ জেলা ও কয়েকটি রিমোট উপজেলায় সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে। এখানে সাধারনত তিন প্রকার আদালত আছে। ১. বিভিন্ন বিশেষ আদালত। ২. দেওয়ানী আদালত। ৩. ফৌজদারী বা ক্রিমিনাল আদালত। এই ফৌজদারী আদালতের অংশ হিসাবে এদেশের প্রতিটি জেলায় গড়ে ৪টি করে আমলি আদালত আছে। এইগুলিতে প্রতিদিন হাজার হাজার ফৌজদারী মামলা আমলে নেয়া হয়। এখানেই মুলত ক্রিমিনাল মামলাগুলোর শুরু। এখানে শুরু হয় মামলার সেপ দেয়া। এই সময় যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন তা হলো জামীন। উল্লেখ্য প্রতিদিন জেলা পর্যায়ের আমলি আদালতেই দুই থেকে চারশ নতুন মামলা রুজু হয়।

এই জামীন নিয়ে উকিল, পেশকার, আইও, এবং বিচারক লিপ্ত হয় ধান্দা প্রতিযোগীতায়, গরীবের গরু বেচা, ক্ষেত বেচা টাকাগুলো নিয়ে। সবাই কন্টাক করে, এত লাগবে অত লাগবে, জামীন কনফার্ম। এই খবরগুলো আদালত পাড়ার চার দেয়ালের বাইরে কখনও যায় না। সম্পূর্ন চার দেয়ালে ঘেরা বন্ধ ঘরের ওখানে মানুষের/জনগনের চোখ, কান এগুলির প্রবেশ নিষেধ। আর গরীব ভুক্তভুগি ? সেতো ভয়েসলেস। এখানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় স্বাধীন ডাকাতি হয়। আমরা আমাদের মূর্খ গরীব মানুষগুলিরে একা একা এই বাঘের খাঁচায় ফেলে রাখি। এখানে কারও কোন বন্ধু নেই সব রক্ত চোষার দল।

এই দিকে দেওয়ানী আদালত গুলিতে সামান্য জমিজমা নিয়ে দশটা শুনানীর বেশি লাগবে না এমন মোকদ্দমায় কেবলমাত্র মামলাটি চলতে পারে এই রায় দিতেই দশ বছর সময় লাগে যায়। আর এই দশ বছর ব্যারিষ্টার, উকিল, মুক্তার, পেশকার, আর বিচারপতি স্বয়ং মামলার বাদি আর বিবাদি দুই পক্ষকেই শুধু চোষে।

আমরা যে ভাবে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন করছি তাতে আমরা বর্তমান বিচার ব্যবস্থার উকিল, মুক্তার, পেশকার, আইও, জেলার ও বিচারক এই চক্রকে স্বাধীন ভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে এদেশের কোটি কোটি সাধারন মানুষের রক্তো চোষার পাকা ফুল প্রুফ আয়োজন করে দিচ্ছি। আজ প্রতিটি জামীন এবং রায় আজ জেলার আদালত ভবনগুলোতে স্বাধীন ও গোপনে নীলামে উঠছে ও বিক্রি হচ্ছে। দ্যাশের মানুষগুলোর গরু বেচা ক্ষেত বেচা টাকা খাওয়ার এ এক মহা স্বাধীন ও গোপন আয়োজন প্রতিদিন প্রতিটি জেলায় অর্থাৎ নিম্ন আদালে চলছে। আর উচ্চ আদালত সেতো অনেক উচ্চ দরের।

বিচারকের কাজ কি ? চলুন দেখি। মামলা হয় আদালতে অথবা থানায়। বাদীর এজাহার, পুলিশের তদন্ত, সাক্ষীর স্বাক্ষ্য, আলামত ইত্যাদী এবং সংশ্লিষ্ট আইন কানুন। বিচারকের এখানে আর কোন কর্তব্য বা স্বাধীনতাও নেই। তিনি শুধু আইনে বর্ণিত প্রক্রিয়া যথাযথ অনুসরণ করে সবগুলো প্রাপ্ত উপাদান সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে খাপে খাপে বসিয়ে, মেশিনে যেইরকম হবে, সেই রকমই রায়টা দেয়া। এমনটাই নিয়ম।

এই কাজ করে এরা অতিসংগোপনে যা করছে তা হলো বর্তমানের ৬৪ জেলার ৬৪ জন দায়রা জজ্বের ৫০ অধিক জনের ঢাকায় ৫০ লাখ টাকার অধিক মূল্যের ফ্লাট আছে, অতীতের গুলির আছে একাধিক। কারও আর কি কি আছে তার হিসাবও নেই। একজন সিনিয়র দায়রা জজ ইনসপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন পদে পোষ্টিং পেতে হতে দুই কোটি টাকা দিতেও রাজি থাকে। সে ব্যবস্থা করা থাকে।

সমাধানের সুপারিশঃ আমাদের লক্ষ্য সমাজ ও রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। সংবিধানে এই সিদ্ধান্তটি নিয়েই আমরা বিচারবিভাগকে সংবিধানের অভিবাকত্ব ব্যাখ্যাদানকারীর দায়িত্ব দিয়েছি। এই লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে আমরা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ধারনা সংবিধানে যোগ করেছি। আসলে আমরা দেশ্যের আর সকল আইন কানুন বিধি বিধানের মত আদালতে রিতি নিতি অভ্যাস সহ সকল আইন কানুন সেই ইঙ্গ-পাকিই রেখে দিয়েছি। এই অবস্থা থেকে আমাদের সম্প্রতীকালের স্বাধীন বিচারবিভাগ কর্মসূচি টিও ভুল জায়গায় শুরু হয়েছে। একটা অঞ্চলের গনমানুষের সামাজিক জীবনে যখন কোন বিদেশি শোসনের শাসনের অন্যায়বিচারের ব্যবস্থা ঢুকু যায় তখন তা থেকে বের হতে বিশাল জগ্গ সাধন করতে হলেও সঠিক জায়গায় শুরু হওয়া নিজের দেশে অবিচারের রাজত্ব কায়েম করা এড়াতে খুবই প্রয়োজনীয়। বিষয়টা এখান থেকে শুরুঃ এটা কি ব্রিটিশ আমল না বাংলাদেশে পাকিস্তান আমল ? আচ্ছা কোর্টে একটা বিষয়ে বিচারাধীন মামলা নিয়ে যদি জনগন আলোচনা করে তাহলে জজ সাহেবদের সমস্যাটা কোথায় ? কোথায় সেই আইন, কোথায় ব্যাখ্যা, এটা এবার জনগনকে দেখাতে হবে। এদের কি ধারনা তারা একটা মঘের মুল্লুকের দায়িত্বশীল বিচারক ? আমিতো অথর্ব ফতোয়াবাজ মোল্লা আর আমাদের ইয়োর লর্ড বিচারপতির মধ্যে কোন ইতর বিশেষ করতে পারছি না। বরং আরও জঘন্য আরও ভয়ংকর এবং আরও বিশাল পরিসর।

প্রথমেই ঠিক করতে হবে কার স্বাধীনতা ? চোরের না সাধুর ? হ্যাঁ জনগনের স্বাধীনতা, অধিকারের স্বাধীনতা । আদালতকে প্রকাশ্য ও জনসন্মুখে আনতে হবে। যেহেতু বিচার যতই প্রকাশ্য হবে ন্যায় বিচার ততই নিশ্চিত হবে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার একটি অপরিহার্য উপাদান। গনতান্ত্রীক রাষ্ট ব্যবস্থার মৌলিক লক্ষ্য গুলির অন্যতম একটি হচ্ছে রাষ্ট্রে ও সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। আমার কোনই দ্বি-মত নেই কারও থাকা স্বাভাবিকও নয়। সুতরাং বলা যায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার তথা ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি। সবাই হয়তো তাই বলবেন। কিন্তু আমি ভিন্ন ও সত্য বলবো।

সুতরাং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আইডিয়াটা উপলব্ধির আগে আমাদের দেশ, দেশের সিস্টেম এবং সিস্টেমের লোকগুলোর খাছিলত বিবেচনায় এনে আমাদের ঠিক করতে হবে কার স্বাধীনতা ? আমরা যে ভাবে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন করছি তাতে বর্তমান বিচার ব্যবস্থার উকিল, মুক্তার, পেশকার, আইও, জেলার ও বিচারক এই চক্র স্বাধীন ভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে এদেশের কোটি কোটি সাধারন মানুষের রক্ত চোষার পাকা ও ফুল প্রুফ আয়োজন করে নিচ্ছে। আজ দেশের প্রতিটি জেলার আদালত গুলোতে স্বাধীন ও গোপনে প্রতিটি রায় নীলামে উঠছে ও বিক্রি হচ্ছে। দ্যাশের মানুষগুলোর গরু বেচা, ক্ষেত বেচা টাকা খাওয়ার এ এক মহা স্বাধীন ও গোপন আয়োজন প্রতিটি জেলায় অর্থাৎ নিম্ন আদালে চলছে। আর উচ্চ আদালতে সেই বেচা কেনা অনেক উচ্চ দরের। যেমন গত বছর নাকি ১৫ হাজার রীটই মামলাই হয়েছে হাইকোর্টে। গড়ে একলাখ গুন পনের হাজার সমান স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা।

আমরা কেন প্রতিদিন কয়েক জন আইন জীবির মুখে শুনবো আজ অমুক মামলায় বাদিপক্ষ এই বলেছে আজ বঙ্গ বন্ধু হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবি হেন বলেছে আর আদালত তেন শুনেছে ? কেন আইনজীবির মুখে শুনতে হবে ? এটা কি পাকিস্তান না বৃটিশ কম্পানির আদালত ? আমরা সরাসরি শুনতে চাই ইন অডিও ভিডিও ইমেইজ এন্ড টেক্সট। আদালত কেন কেমেরা রিপোর্টার ইত্যাদী এলাও করবে না ? কেমেরা হলো এদেশের মানুষের চোখ। তাহলে আদালত কি এদেশের সাধারন মানুষকে এলাও করবে না ? কেন তাদের এই গোপনীয়তা ? কোন দেশের আদালত এগুলো ? তাহলেকি আমরা এখনও পরাধীন ? কাল থেকে সাংবাদিক রিপোর্টাররা ক্যামেরা নিয়ে আদালতে বসে থাকবে। আমরা শুধু চাই, আদালতে উৎসুক পাবলিক, বাদী, বিবাদী, উকিল, পেশকার, আইও, এবং বিচারক ছাড়াও রিপোর্টার সাংবাদিকরা তাদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারবে তবে বিচারককে কোন প্রশ্ন করতে পারবে না। জেলার মানুষগুলি লোকাল পত্রিকায় তাদের আদালতের খবরগুলো জানতে পারবে। এটার নামই আসল স্বাধীনতা। বর্তমানে যা আছে তা হলো স্বাধীনভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে রক্ত চোষার স্বাধীনতা। এটা কি লর্ড ব্রিটিশের কোর্ট না পাকিস্তান কোর্ট ? স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের কু-ব্যাখ্যা বা ফতোয়াবাজি চলবে না। বরং কিছু দিনের মধ্যে আমরা ভিডিও কেমেরা নিয়া আদালতে ঢুকছি। আপনারা কি করেন লাইভ দেখবো এবং দেখাবো। বিচার হবে প্রকাশ্য এবং দিবালোকে। আইন কখনও অন্ধকার থাকতে পারে না। আমাদের হাইকোর্ট দেখাবেন না। লেখক বলেছেনঃ হাউ কাম একটা স্বাধীন সার্বভৌম গনতান্ত্রীক দেশে একজন সাধারন নাগরীক তার নিজের দেশেরই আদালতের ভেতরটা দেখতে চাইলেই আদালত অবমাননা হবে ? জনগনকে হাইকোর্ট দেখালে চলবে না। ব্যাখ্যা করে দেখাতে হবে কেন কোথায় এবং কি ভাবে। আর এই জনগনের এই অধিকার থাকাটাই স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য উপাদান। এখন আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা হতে চায় নাকি পরাধীন ব্যবস্থা অধিক ভালো লাগে ? দ্রঃব্রঃ স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আদালত শুধুমাত্র জনগনের কাছে সম্পূর্ন জবাবদিহী থাকবে। প্রকশ্য দিবালোকে জন চক্ষূ সন্মূখে বিচার কার্য।

উল্লেক্ষ্যঃ আমাদের লোকজনের অতি আদালত ভীতিই আদালতকে পরাধীন করে দিচ্ছে আরও বেশি। স্ট্যান্ড আপ ওন দা বেকবোন য়ূ ফীল প্রাউড অফ।

তাই কাল থেকে সাংবাদিক রিপোর্টাররা ক্যামেরা নিয়ে আদালতে বসে থাকবে। দ্রঃব্যঃ বর্তমানের ৬৪ জেলার ৬৪ জন দায়রা জজ্বের ৫০ অধিক জনের ঢাকায় ৫০ লাখ টাকার অধিক মূল্যের ফ্লাট আছে। কারও কারও কি কি আছে তার হিসাব নিজেরাই জানে না। একজন দায়রা জজ ইনসপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন পদে যেতে দুই কোটি টাকা দিতেও রাজি থাকে, কারন ২ মাসে বিনিয়োগ উঠে আসবে। দুদক কালই এগুলির প্রত্যেকটার সম্পদের হিসাব চাইবে। এরপর ঝাতি ওয়ারেন্ট অবপ্রেসিডেন্স বিবেচনা করবে ওকে ?

এদেশের আদালতগুলোতে প্রেস/মিডিয়ার এক্সেস অবাধ করা জাতির জন্য আজ অপরিহার্য একটি কাজ। তাই আদালতকে দেশের জনগনের চোখের সামনে আনতে হবে। যে কোন বিচার প্রক্রিয়া জনগনকে সরাসরি লাইভকাষ্ট দেখার অধিকার দিতে হবে। প্রেস মিডিয়া আর পিপলস আইস লেট দেম সি হাও ইউ ট্রাই এ কেইস ? আদালত যতই প্রকাশ্য হবে ইহা ততই স্বাধীন হবে ন্যায় বিচার ততই নিশ্চিত হবে। সরল সত্য। এনি কনফিউশন ? এদেশের আদালতগুলোতে প্রেস/মিডিয়ার এক্সেস অবাধ করা জাতির জন্য আজ অপরিহার্য একটি কাজ।

উল্লেখ্যঃ আদালত অবমাননা আইনটি করা হয়েছিল বৃটিশ এবং পাকিস্তানের বিচারকদের যেন এদেশে অবিচার করতে কোন প্রশ্নের সন্মুখীন না হতে হতো তার জন্য। আমরা মনে করি স্বাধীন বাংলাদেশের বিচারকেরা পাকিস্তান বা হিজ লর্ডের নিযুক্ত ব্যক্তি নয় যে তাদের কু-কর্মের ইনডেমনিটি লাগবে। সো ফরগেট কনটেম্পট অব শয়তানের কোর্ট এন্ড টক লাউড।




চলবে

জেনে নিন কি কি ক্ষেত্রে আদালত অবমাননা হয় না ? Click This Link
বর্তমান ইস্যূতে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সম্পর্কে কে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি দেবে বিচার বিভাগ না আইন সভা ? Click This Link
জেলা জজের অবস্থান সচিব ও তিন বাহিনীর প্রধানের ওপরে।ওকে তাই হবে তবে ! Click This Link
স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা না স্বাধীন ডাকাতীর ব্যবস্থা, কোনটা চাই ? Click This Link
আদালতের ভেতরটা কেমন, লাল না কালো তা আমরা দেখতে চাই। Click This Link
ফতোয়াবাজ এবং বিচারপতির মধ্যে কোন ইতর বিশেষ করতে পারছি না .. Help Me. Click This Link
দেশটা আসলেই মঘের মুল্লুক। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×