somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাসর ঘরে কোন ব্লগার কি করিবেন... - ২ ;) ;) ;)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

;;
;;
;;
এই পোস্টটি পড়িলে আপনি জানিতে পারিবেন বাসর ঘরে কোন ব্লগার কি করিবেন, সহধর্মীনিদের ক্ষপ্পরে পড়িয়া তাহাদের কি দশা হইবে অথবা তাহাদের ক্ষপ্পরে পড়িয়া তাহাদের সহধর্মীনিদের কি দশা হইবে। তাহা হইলে আসুন ভাই বোনেরা যাওয়া যাক মূল পোস্টে। সাথে আছেন ব্লগেষক আলিম আল রাজি।



মাহফুজ ক্লান্ত ভাই

মিস লিজা। মডার্ণ ডিজুস সুন্দরী। তার সাথে বিয়েই হয়েছে ক্লান্ত ভাইয়ের।
মিস লিজা বাসর ঘরে আছেন চুপচাপ। অপেক্ষা করছেন কখন মাহফুজ ক্লান্ত ভাই আসবেন ঘরে। বেশ কিছুক্ষন পরে আসলেন ক্লান্ত ভাই।
বেশ জোরে কাশির দোয়া পাঠ করে কাশি দিলেন।

বেশ অবাক হলেন মিস লিজা। কপাল কুচকে বললেন-
“হেই বেইবে! তুমি এইটা কি বললা?”

নতুন বউয়ের এই ভাষা শুনে ক্লান্ত ভাইয়ের আক্কেল গুড়ুম। আতংকিত হয়ে বলে উঠলেন-
-“লা হাওলা ওলা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ...। বিবি, তুমি এইগুলা কি বলিতেছো? কোরয়ানে স্পষ্ট বলা আছে বাসর ঘরে কেউ কাউকে বেইবে বলিতে পারিবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিতও হইয়াছে যে এই রাতে 'বেইবে' টাইপ ইহুদি নাসারাদের বানি মুখে আনলে উত্তর মেরু বরাবর বিষুব রেখায় আন্তঃনক্ষত্র গ্যালাক্সির সংঘর্ষ হইতে পারে। ”

মিস লিজা এবার বিরক্ত।
-“হেই ম্যান! গত কালই তো রেডিও টুডের লাভ গুরু অনুষ্ঠানে আরজে নিরব ভাইয়্যা বলেছেন হাব্বিকে 'বেইবে' ডাকতে হবে।”

মিস লিজার মুখে এই তাইপ ডিজুস আর ইহুদি নাসারাদের কথাবার্তা শুনে ক্লান্ত ভাই পুরা তব্দা! তিনি জোরে জোরে “অস্তাগফিরুল্লাহ মিন যালেক” পড়তে পড়তে উলটে পড়ে গেলেন।

মিস লিজা ছুটে গিয়ে ক্লান্ত ভাইকে জড়িয়ে ধরলেন। ভয়ে ভয়ে বললেন!
- "এই চলো তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই”

ক্লান্ত ভাই বললেন- “না না। তার দরকার নেই। সেই ১৪০০ বছর আগেই প্রমান হয়েছে বাসর ঘরে উলটে পড়ে যাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো। ইউটিউবেও এ ব্যাপারে প্রমান আছেন। ক্লিক দিস লিংক। হাসপাতালে যাওয়া লাগবে না। তুমি বরং পারলে হয়রান ভাইকে ফোন করে বলো আমাকে এসে একটা ফু দিয়ে যেতে”
************************************************

হড়ড় নাপে বাইঃ
কোন আগামাথা চিন্তা না করেই কথা বলা শুরু করলেন হড়ড় নাপে বাই।
-“শুনো এক হড়ড় গল্প। এক দেশে ছিলো এক ছেলে। একদিন তাকে ভূত ধরে নিয়ে গেলো। তারপর ফেরত দিয়ে গেলো।”
থামলেন নাপে বাই। বুক ফুলিয়ে বললেন-
- “কি? অনেক ভয়ের না? দেখেছো!! আমার কিন্তু অনেক প্রতিভা। তুমি সারা জীবন মুফতে হড়ড় গল্প শুনতে পারবা। তোমার কত্তো সৌভাগ্য।”

ভাবী এই হড়ড় গল্প শুনে রাগে গরর করতে লাগলেন।

গরর শুনে নাপে ভাই মাথা ঘামালেন না। তিনি বললেন-
- “লক্ষিটি। তুমি চুপচাপ বসে থাকো। এক্ষুনি এই ঘরে একটা টিম প্রবেশ করবে।”

ভাবীর তো তখন আক্কেল গুড়ুম। বাসর ঘরে কেবল তারা দুইজন থাকবেন। কিন্তু টিম আসবে কেনো? টিমটাই বা কিসের!

হুড়মুড় করে বাসর ঘরে প্রবেশ করলো এক ঝাক লোক। তাদের সাথে লাইট ক্যামেরা সহ নানান যন্ত্রপাতি।

ভাবি আতংকে বলে উঠলেন- “ঐ নাপে! এইগুলা দিয়া কি করবা?”

নাপে ভাই জবাব দিলেন- “এইগুলা দিয়া শর্ট ফিল্ম হবে”
-“এতোদিন নায়ীকার অভাবে শর্ট ফিল্ম বানাইতে পারি নাই। আজকে বানাবো। তুমি নায়ীকা”

ভাবীর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। এ কি বিপদ!!!!!!
************************************************


আচিপ মহীউদ্দিনঃ
আচিপ ভাইয়ের বউ নাম “মুসাম্মৎ দুর্দানা বেগম”। পরহেজগার মহিলা।
মুসাম্মৎ দুর্দানা বাসর ঘরে বসে আছেন। ধীরে ধীরে ঘরে প্রবেশ করলেন আচিপ ভাই।

নতুন বউয়ের মুখের দিকে তাকালেন আচিপ ভাই। বেশ ভাব নিয়ে বলে উঠলেন-
“শুনো, আমাদের বিয়ে হয়েছে ঠিক তখনই যখন পৃথীবি পার করছে এক অস্থির সময়। তথাকথিত প্রেরিত পুরুষদের তৈরি করে দেয়া নৈতিকতার মান দন্ডকে কাজে লাগিয়ে ধর্ম ব্যাবসায়ী আর বেনিয়ারা তিলে তিলে আমাদের মতো উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মানুষদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে অপশাষনের খড়গ আর আমরা এলিট শ্রেনীর কিছু প্রতিনিধিরা আজ রাত দিন চেষ্টা করছি ঐ বিষাক্ত জালটাকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে। এই কঠিন যাত্রায় আমি তোমাকে আমার পাশে চাই হে মুসাম্মৎ দুর্দানা বেগম।”

আচিপ ভাই কথা শেষ করে একটা ঢোক গিললেন মাত্র। ঠিক তখনই নাটকিয় একটা পরিস্থিতি শুরু হলো বাসর ঘরে।
ঘোমটা খোলে কোমরে শাড়ি পেচিয়ে দুড়ুম করে উঠে দাড়ালেন দুর্দানা বেগম। ভয়ংকর গলায় চিৎকার উঠলেন।
“তুমি আমারে নাস্তিকতা শেখানোর ধান্দায় আছো? চিনো আমি কে? আমি হলাম হিজবুৎ তাহরিরের নারী নেত্রী দুর্দানা।”

আসিফ ভাইয়ের অবস্থা তখন ভয়াবহ।। ভয়ে তার গলা শুকিয়ে কাঠ। আমতা আমতা করে বলার চেষ্টা করলেন।
“দেখো দুর্দানা, ধর্ম কিভাবে আজ...”

কথা শেষ করতে পারলেন না আচিপ ভাই। হুংকার দিয়ে উঠলেন দুর্দানা বেগম।
-“থামো। ওযু করছো?”
-“ইয়ে মানে...! করি নাই”
-“ লাগবে না ওযু। তাইমুম করো। তুমি ওযু করতে গেলে ভেগে যাবা”

আচিপ ভাইয়ের অবস্থা তখন কেরোসিন।
-“ইয়ে মানে ওযু দিয়া কি হবে?”
-“নফল নামায পড়তে হবে। আমি ইমামতি করবো উঠে দাঁড়াও।”

আচিপ ভাইয়ের তখন ছেড়ে দে মা কেদে বাচি অবস্থা! আস্তে আস্তে বললেন
-“ওগো শুনো!...”

আবার হুংকার দিলেন দুর্দানা বেগম।
“কোন শুনা শুনি নাই। আসো নামাযে আসো”

আসিফ ভাই অনিচ্ছা আর ভয়ের সাথে নফল নামাযে দাড়ালেন। আচ্ছা! নফল নামাযের নিয়ত যেনো কি! নাওয়াইতওয়ানু সাল্লিয়া লিল্লাহি...।”
************************************************

বি দ্রঃ
** দুর্দানা বেগম নামটি জাফর ইকবাল স্যারের "অনিক লুম্বা" বই থেকে মেরে দিয়েছি :)
** এটাকে আমার অন্যান্ন পোস্টের মতো জাস্ট একটা ফান পোস্ট হিসেবে নিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

******* বাসর ঘরে কোন ব্লগার কি করিবেন... - ১ ;););)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:০৩
৭৯টি মন্তব্য ৭৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×