শাইয়্যান, এটা ভালো লাগে না, ওটাও ভালো লাগে না? এই মানুষটাকে ভালো লাগে না, ঐ মানুষকেও না? কেন! তুমি কি জানো- তুমি নিজেই ভালো না বলেই এটা-ওটা ভালো লাগে না? মানুষের দোষ-ত্রুটি খুঁজে পাওয়া খুব সহজ। কিন্তু, নিজেরটা?
প্রিয় শাইয়্যান, তোমার চোখ দু'টোর দিকে লক্ষ্য করে দেখো, সেগুলো ভালো আছে তো? সেগুলো দিয়ে মানুষের উন্নতি দেখে তোমার গায়ে জ্বালা ধরে কি? যদি উত্তর 'হ্যাঁ' হয়, নিজেকে সেই মানুষটার সাথে তুলনা করো যে মানুষের দোষ-ত্রুটি দেখতে নিজের চোখকে ব্যস্ত রাখে, অথচ, জগতের সৌন্দর্যকে উপভোগ করার সময় চোখ বন্ধ করে রাখে। তুমি যদি সেই ব্যক্তিটির মতো হয়ে থাকো, তুমি তো তাহলে সেই মানুষ যে চোখের আসল ব্যবহার ভুলে উল্টা-পাল্টা জায়গায় তাকিয়ে নিজের সর্বনাশ করে যাচ্ছো।
শ্রদ্ধেয় শাইয়্যান, তুমি কে সেই ব্যক্তি যার কথা শুনে মানুষের প্রাণ জুড়িয়ে যায়? মানুষ তোমার কথা শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে কি? তোমার লেখা পড়ে মানুষের মনে শান্তিতে জুড়িয়ে যায় কি? নাকি, তুমি সেই ব্যক্তি যার কথার মাঝে রাজ্যের যত জিলিপি'র প্যাঁচ? সেই প্যাঁচের মাঝে পড়ে মানুষ কি তোমার কথার মাঝ থেকে সত্য থেকে মিথ্যাকে আর মিথ্যা থেকে সত্যকে আলাদা করতে পারে না? তুমি তো তাহলে সেই ব্যক্তি যে চোখ-মুখের আসল ব্যবহার জানো না। জানো না জিহবার লাগাম কিভাবে টেনে ধরতে হয়। এভাবে নিজের সর্বনাশ নিজেই করছো, সেটা তোমার বুঝে আসছে কি?
মাননীয় শাইয়্যান, বলো তো দেখি, তুমি কি সেই ব্যক্তি যে মনে মনে মানুষের অনিষ্ট কামনা করে যাও, অথচ, তুমি মুখে তা প্রকাশ করো না? তুমি কি সেই ব্যক্তি যে সহজ, সরল কাজেও ভেজাল খুঁজে পাও? তা-ই যদি হয়ে থাকে, নিজের মনের ময়লা না মুছে নিজেরই সর্বনাশ করে যাচ্ছো, সেটা কি তুমি বুঝো?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯