somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ও স্বাধীনতার ঘোষক

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কাল থেকে কাল— আর কত কাল— সবার দেশ একটাই— "বাংলাদেশ" অথচ নিজেদের মধ্যে এ বিভক্তি আর কত কাল? ছেলেবেলায় স্কুল পড়েছিলাম, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে থেকে প্রথম স্বাধীনতার ডাক দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে মেজর জিয়াউর রহমান প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু নিজেদের মাঝে একটা যুদ্ধ আজও বয়ে বাড়াচ্ছে স্বাধীন হয়েও নিজদের কাছে পরাধীন হওয়া এই মহান বীরের বাঙালি জাতি।

কি হয়েছিল ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা ঘিরে। তা নিয়ে সে সময়ের সাক্ষী সকল মানুষদের মাঝে নিজ নিজ একটা ভার্সন আছে। সবার দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য থাকলেও মূল বিষয় একই। এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার ডাক এসেছে এবং বীর বাঙালি নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের শেষে বাংলাদেশ মুক্ত স্বাধীন করেছে।

আজ ভোরের কাগজ পত্রিকার "স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র" ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এর লেখা একটা প্রতিবেদন চোখে পড়লো। লেখার কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো।

❝২৫ মার্চের মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের ১৫ ঘণ্টার মাথায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে একজন বিদ্রোহীর কণ্ঠে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানানোর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। এটি ছিল চট্টগ্রামের জনপ্রিয় নেতা আবদুল হান্নানের কণ্ঠ। কিন্তু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মোটামুটি সংগঠিত আকারে চট্টগ্রাম কালুরঘাট ট্রান্সমিটার থেকে যাত্রা শুরু করে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায়। ২৫ মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ইপিআরের অয়্যারলেসে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাঠানো হয়েছিল।❞

এখানে লেখক সে সময়ের চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আওয়ামী নেতা আবদুল হান্নানের বিষয়টি এমন ভাবে তুলে ধরেছে যেন স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, না জিয়াউর রহমান বরং আবদুল হান্নান। যাইহোক আমি এই জেনারেশনের মানুষ চুপচাপ শুধু শুনে যাই। তিনি লিখেছেন:-

❝২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান অনির্ধারিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাণী পাঠের পর চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের বেতার ভবনের কর্মীরা দারুণভাবে ভীতসন্ত্রস্ত ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক প্রকৌশলী মির্জা নাসিরের পরামর্শে এবং শব্দসৈনিক বেলাল মোহাম্মদের প্রচেষ্টায় আগ্রাবাদ বেতার ভবন থেকে কালুরঘাটের ক্ষুদে স্টুডিওতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ আগ্রাবাদ বেতার ভবনটি চট্টগ্রাম বন্দরের খুব কাছে। পাকিস্তানিরা যে কোনো সময় বেতার কেন্দ্রটি দখল করে নিতে পারত।

২৬ মার্চ সন্ধ্যায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ঐতিহাসিক ও দুর্লভ মুহূর্তটি ঘনিয়ে আসে। ৭.৪০ মিনিটে প্রথম প্রচারিত হলো অধ্যক্ষ আবুল কাসেম সন্দ্বীপের বিপ্লবী কণ্ঠস্বর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বলছি। এরপর অনুষ্ঠান প্রযোজক আবদুল্লাহ আল ফারুক, সুলতানুল আলমের কণ্ঠেও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাটি বারবার প্রচার করা হয়। এর ২০/২৫ মিনিট পরে কালুরঘাট স্টুডিওতে এসে হাজির হন ডা. আবু জাফর এবং আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। হান্নান সাহেব স্টুডিওতে উপস্থিত হয়ে বেতারকর্মীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন বলে জানান। কোথায় থেকে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে তা বলা যাবে না এমন আপত্তিও হান্নান সাহেব মেনে নিয়েছিলেন। বেতারকর্মীদের যুক্তি ছিল স্থানের নাম ঘোষণা করা হলে পাকিস্তানি সেনারা অবস্থান জেনে ফেলবে এবং হামলা করবে।

এ ছাড়া এটা ছিল গোপন বেতার কেন্দ্রও বটে। যুক্তি মেনে নিয়ে হান্নান সাহেব দ্বিতীয়বার নিজকণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। ‘জরুরি ঘোষণা’- ‘গত রাত ১২ টায় বর্বর পাক বাহিনী ঢাকার পিলখানা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, এতে লাখ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছে। যুদ্ধ চলছে, আমি এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং বিশ্বের স্বাধীনতাকামী দেশগুলোর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি- জয় বাংলা’।

২৬ মার্চ শুভ সন্ধ্যার সূচনা অধিবেশনের সময় ছিল মাত্র ৩০ মিনিট। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বাণী পাঠের পর ‘আগামীকাল ৭টায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে’ এমন ঘোষণা দিয়ে কালুরঘাট রেডিও স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ নেতারা নিরাপদ স্থানে চলে যান।❞

আসলে বর্তমান ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপট এবং সেই সময় ১৯৭১-রের প্রেক্ষাপটের মাঝে অনেক পার্থক্য ছিল। তখন আওয়ামীলীগ একমাত্র স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছিল বলেই হয়তো ইতিহাসের সব লেখায় আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের নাম সব ক্ষেত্রে এমন উজ্জ্বল ভাবে লেখা হয়ে থাকে। তারপর লেখক বলেন:-

❝তথ্যবহুল ও ঐতিহাসিক গ্রন্থে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের লেখক বেলাল মোহাম্মদ এ প্রসঙ্গে লিখেছেন- ‘কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র চালুর জন্য আমি, আবুল কাসেম সন্দ্বীপ ও আবদুল্লাহ আল ফারুক চট্টগ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহম্মেদ চৌধুরীর দপ্তরে যাই। কিন্তু নেতাদের কাউকে না পেয়ে চলে যাই রেলওয়ে বিল্ডিংয়ের পাহাড়ে। সেখানে ছিলেন ইপিআর কমান্ডার ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম। প্রস্তাব দেয়া হলো বেতার কেন্দ্র পাহারার ব্যবস্থা করার। তিনি কথা দিলেন এক ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জওয়ান পাঠাবেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে বিকাল এসেছে, রাত হয়েছে, অনুষ্ঠান শেষ হয়ে স্টুডিও বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু রফিক তার কথা রাখেননি! কোনো জওয়ানকেও কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পাঠাননি!

এ পরিস্থিতিতে আমি আবুল কাসেম সন্দ্বীপ ও আবদুল্লাহ আল ফারুক প্রচার ভবনে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি এবং বিশেষ সূত্রে জানতে পারলাম একজন বাঙালি মেজর দেড়শ সৈন্য নিয়ে পটিয়ায় অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে বন্ধু মাহমুদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ ১৫/১৬ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। সাক্ষাতে মেজর জিয়াকে বেতার ভবনের নিরাপত্তা দিতে অনুরোধ জানাই। মেজর জিয়া সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার অনুগত সৈন্যদের কালুরঘাটে পাঠান এবং তিনি নিজেও আমাদের সঙ্গে বেতার কেন্দ্রে চলে আসেন। আমরা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পৌঁছি ২৭ মার্চ বিকেলে ৫টায়। সন্ধ্যায় মেজর জিয়ার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রেডিওতে জিয়াকে কিছু বলতে অনুরোধ করি এবং এক পৃষ্ঠা সাদা কাগজ এগিয়ে দিই। মেজর জিয়া প্রথমে লেখেন, ‘আই এম মেজর জিয়া ডু হেয়ার বাই ডিক্লেয়ার ইনডিপেন্ডেন্স অফ বাংলাদেশ। কিন্তু আমি মেজর জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে বলার অনুরোধ করি। জিয়াউর রহমান তাতে রাজি হয়ে আরো লিখেন (On Behalf of our great National Leader Bangalbandhu Shekih Mujibur Rahaman). কালুরঘাট ট্রান্সমিটারের মাধ্যম তরঙ্গটি ১০ কিলোওয়াট শক্তি সম্পন্ন। সাধারণভাবে ৫০ মাইল আওতার মধ্যে এর প্রচার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু ২৫ মার্চের পর ঢাকার বাইরে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট কেন্দ্র স্তব্ধ থাকায় মধ্যবর্তী ইন্টারাপশন ছিল না। তাই এখান থেকেই প্রচারিত সব অনুষ্ঠান দেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের পশ্চিম বাংলা, আসাম এবং ত্রিপুরা থেকেও শোনা যেত।❞

এখান থেকে বুঝা যায় মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন মতামত নেই। যারা ফেক্ট চেক করেন তারাই এর পক্ষে বা বিপক্ষে তাদের দলিল পেশ করবেন। ইতিহাসের গল্প শোনাই আমার মূল বিষয়। কোন পক্ষের প্রতি পক্ষপাতি আমি নই। এরপর লেখক লিখেছেন:-

❝২৬ মার্চ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দ্বিতীয়বার এবং ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মেজর জিয়া কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা (৩য় বার) দেশের লাখো কোটি মানুষ শুনেছে। যদিও চাটুকার নেতা ও ইতিহাস বিকৃতকারীরা জিয়াকেই স্বাধীনতার একমাত্র ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। তারাও শুনেছেন ২৬ ও ২৭ মার্চে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতার ঘোষণা বাণীগুলো। যা হোক আজকে আমার প্রশ্ন কেন সে দিন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র পাহারার জন্য ক্যাপ্টেন রফিক আসেননি? মেজর রফিক কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এলে ইতিহাস বিকৃতকারীদের সে সুযোগ পাল্টে যেত।❞

একপক্ষের কাছে লেখক আওয়ামী পন্থী বলে মনে হতে পারে। আমি লেখকের নাম কিংবা তার সম্পর্কে জানতে পারি নাই। মূল লেখার লিংক কেউ চাইলে আমি দিতে পারি। সে সময় চট্টগ্রামে মেজর জিয়াউর রহমানের উপস্থিতি নিয়ে লেখক বলেন:-

❝জিয়াউর রহমান সেখানে এসেছিলেন, কেনইবা তাকে ডেকে নিয়ে আসা হলো? এসব প্রশ্নের মীমাংসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হ-ত্যার পর গত ৪০ বছর মিথ্যার বেসাতি দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান সেদিন কালুরঘাট এসছিলেন মূলত ২টি কারণে প্রথমত, কালুর ঘাট বেতারের শব্দসৈনিক বেলাল মোহাম্মদ, রেডিও স্টেশনের নিরাপত্তা এবং সামরিক বাহিনীর কোনো বাঙালি অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার তৃতীয় ঘোষণা দেয়ার ব্যাপারে প্রয়োজন বোধ করেছিলন।

দ্বিতীয়ত, স্বাধীনতাকামী ও দেশপ্রেমিক একজন সৈনিক হিসেবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে। ২৭ মার্চের পর ২৮ ও ২৯ মার্চ স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্র যথারীতি চলেছে। ৩০ মার্চ ছিল কালুরঘাটের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জন্য একটি কালো দিন। পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত বিমান হা-মলার মধ্য দিয়ে গৌরবোজ্জ্বল এই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। দুপুরের অধিবেশনের পর দুপুর ২টা ১০ মিনিটে শুরু হয় বোমা বর্ষণ।❞

আমি ছেলেবেলা থেকে এই পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি এবং পক্ষ থেকে মেজর জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জেনে এসেছিলাম। আজ এর সাথে যুক্ত আরো কিছু নাম জানতে পারলাম। কতটা সঠিক জানলাম আর কতটা ভুল আমার জানা নেই। লেখাটাতে লেখক বলেন :-

❝প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান এবং পরে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা বাণী পাঠের জ্বলন্ত সাক্ষী হয়ে বাঙালিদের কাছে স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন আবুল কাসেম সন্দ্বীপ, সৈয়দ আবদুস শকের, বেলাল মোহাম্মদ, আমিনুর রহমান, এ এম শরিফুজ্জামান, রাশিদুল হাসান, রেজাউল করিম চৌধুরী, কাজী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ মনি, আবদুল্লাহ আল ফারুক এবং মুস্তফা আনোয়ার। স্বাধীন বাংলা বেতারের অকুতোভয় এ ১০ শব্দসৈনিকের নাম ইতিহসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।❞

লেখার শুরুতেই বলেছিলাম, কাল থেকে কাল— আর কত কাল— সবার দেশ একটাই— "বাংলাদেশ" অথচ নিজেদের মধ্যে এ বিভক্তি আর কত কাল? কত কাল আমার জানা নেই। শুধু এতটুকু জানি লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত আমার স্বাধীনতা। এতে সবার ভূমিকা একসমান। সকলের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। ব্যক্তিগত স্বার্থে আমরা নিজেদের আজ এক বিভক্তিত জাতিতে পরিনিত করতে পারিনা। মতভেদ মতপার্থক্য থাকতেই পারে কিন্তু দিন শেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।

সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
জয় বাংলা | বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।।
ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রতিবেদন লিংক
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:৪২
৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×