somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবার জন্য পেনশন, রূপরেখা চূড়ান্ত, খসড়া প্রস্তুত,সংস্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাময়িক পোষ্ট

গত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে দৈনিক জনকন্ঠে সবার জন্য পেনশন, রূপরেখা চূড়ান্ত, খসড়া প্রস্তুত শীর্ষক একটি সংবাদ শিরোনাম দেখা গেল ( সুত্র Click This Link ) । সংবাদটির ভিতরে গিয়ে দেখা গেল সবার জন্য পেনশন সুবিধা পর্যায়ক্রমে চালু করার লক্ষ্যে একটি ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় কিভাবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে পেনশন সুবিধা দেয়া যায়-সে উপায় সম্বলিত একটি নতুন নীতিমালাও নাকি প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে খসড়া নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে মর্মে সংবাদ ভাষ্যে দেখা যায় ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সার্বজনীন পেনশনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছিল বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সে সময় আওয়ামী লীগ কেন, কোন রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচনী ইসতেহারে সকলের জন্য পেনশন সংক্রান্ত কোন বিষয় সুশ্পষ্টভাবে অন্তরভুক্ত হতে দেখা যায়নি, এটা হয়তবা আমার ভুলও হতে পারে, কেননা ততটুকই জানতে পেরেছি যতটুকু সে সময় দেশের সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল। হয়তবা ভিতরে কোথাও আবাসে ইঙ্গিতে থাকলেও থাকতে পারে!!

যাহোক, এখানে উল্লেখ্য যে, জানুয়ারী ২০১৯ এ অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের প্রায় একবছর পুর্বে ২৩ শে নভেম্বর ২০১৭ তারিখে
সরকারী-বেসরকারী চাকুরীতে সুযোগ সুবিধার সমতা বিধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক দলসমুহের নির্বাচনী ইসতেহার এখন সময়ের দাবী !!!


শিরোনামে এই সামুতে বেশ বড় আকারের একটি পোষ্টে দিয়েছিলাম । সেখানে সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীতে সুযোগ সুবিধার সমতা বিধান করে বেসরকরী চাকুরীকে সরকারী চাকুরীর মত নিরাপদ ও আকর্ষনীয় করার জন্য অন্যবিদ বিষয়ের মধ্যে বিস্তারিতভাবে তথ্য উপাত্ত ও বিভিন্ন দেশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের সরকারী বেসরকারী সকল চাকুরীজীবিদেরকে কিভাবে পেনসন সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় তা উল্লেখ করে কিছু গৃহিতব্য পন্থার কথাও বলা হয়েছিল । বিষয়টিকে ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইসতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সকল রাজনৈতিক দল বিশেষ করে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রির প্রতি দৃষ্টি রেখে একটি আকুল আবেদন রেখেছিলাম ।


তাঁরা সেটা দেখেছন কিনা জানিনা , তবে তাঁরা দেখুন কিংবা না দেখুন আমার প্রস্তাবিত নির্বাচনী ইসতেহারের একটি দিক তথা দেশের সরকারী বেসরকারী সকল নারী পুরুষের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য জাতিয় পেনসন ও স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা প্রবর্তন সংক্রান্ত কথামালা অনুসরনে সকলের জন্য পেনসন বিধানের লক্ষ্যে সরকার একটি বিধিমালা করতে যাচ্ছে দেখে খুশিতে মনটা ভরে যাচ্ছে। তবে এটা কবে নাগাদ ও কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে মানুষের মনে আশা নিরাশা তো থেকেই যায় এখনো ।
সকলের জন্য জাতীয় পেনশন স্কীম – এক বুক আশা নিয়ে উদাসকরা দৃষ্টি


ছবি সুত্র : ডিইলি স্টার Click This Link
সকলের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা ও কনট্রিবিউটারী পেনসন এর সফল বাস্তবায়নকারী ইল্যন্ডের দৃষ্টান্ত , তথ্য উপাত্ত , ছবি ও বিবরণ তুলে ধরা হয়েছিল সামুতে প্রকাশিত আমার সে পোষ্টটিতে । পোষ্টের লিংক ফলো করে দেখা যেতে পারে )।
সামুর পোষ্টে দেখানো ১৯৪০ সনে ইংল্যান্ডে প্রবর্তিত একজন নারীর জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা ও কনট্রিবিউটারী পেনসন কার্ড এর ছবি


সরকারের সদিচ্ছা ও এলক্ষ্যে তাদের কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হল আমার কষ্ট কিছুটা হলেও স্বার্থক হয়েছে, এর জন্য সংস্লিষ্টদেরকে জানাই অন্তরের অন্তস্থল হতে ধন্যবাদ । তবে সামুর প্রতি শুধু ধন্যবাদই নয় সাথে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হল । সামু কতৃপক্ষ আমার এই চিন্তাভাবনাকে বহুল প্রচারিত এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশের অবারিত সুযোগ রেখেছিলেন বলেই সেখানে অর্ধ শতাধিক ছবি দিয়ে লেখাটি পোষ্ট করার তৌফিক হয়েছিল।

জানা গেছে, সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতির কাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় বিষয়ের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইনী বিষয়গুলো পর্যালোচনার পাশাপাশি এ বিষয়ে অন্যান্য অভিজ্ঞতা একত্রিত করে নীতিমালা তৈরির কাজ করেছে অর্থ বিভাগের সাত সদস্যের একটি কমিটি। তারা ইচ্ছে করলে সামুতে প্রকাশিত আমার পোষ্টটি একবার দেখতে পারেন । তাহলে অন্যান্য সংস্লিষ্ট বিষয়ের সাথে তারা এটাও দেখতে পাবেন যে সামুতে পর্ণ জাতীয় কোন লেখা হয় না , এখানে দেশের মঙ্গল কামনা করে ছোট বড় অগনিত পোষ্ট দেয়া হয়।

এখানে প্রসঙ্গক্রমে আরো উল্লেখ্য যে, গত ১৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর জীবন্ত মানুষের সমান আইনগত অধিকার প্রাপ্তি : বাংলাদেশ প্রসঙ্গসহ একটি সচিত্র বিবরণ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর জীবন্ত মানুষের সমান আইনগত অধিকার প্রাপ্তি : বাংলাদেশ প্রসঙ্গসহ একটি সচিত্র বিবরণ একটি পোষ্ট দেয়া হয়েছিল ।


সেখানে আকুতি রাখা হয়েছিল দেশের বিপন্ন নদীগুলিকে জীবন্ত মানুষের মত অধিকার দেয়া হোক । যে ভাবেই হোক গত ৩ ফেব্রোয়ারী ২০১৯ তারিখে দেশের হাইকোর্টের রায়ে বিপন্ন নদী তুরাগকে দেয়া হয়েছে জীবন্ত সত্তার অধিকার ( সুত্র : হাইকোর্ট: তুরাগ নদী এখন থেকে জীবন্ত সত্তা (Click This Link )
ঢাকার তুরাগ নদীর একটি ছবি



অনুরূপভাবে গত ২৪ শে জুন ২০১৬ তারিখে পূর্বাচলে উচ্চবিত্তের ১৪২ তলার আকাশ চুম্বী স্বপ্ন :: পাশের গায়ে দরিত্র তাঁতী প্রজন্মের স্বপ্ন: একটি ছোট্ট তাঁত পল্লী শীর্ষক


বেশ বড় কলেবরের একটি পোষ্টে বিস্তরিতভাবে প্রকল্প রূপরেখা তুলে ধরে পদ্মা ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে একটি বৃহৎ তাঁত পল্লী স্থাপনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছিল এই সামুতেই।

এখন জানা গেল সেই পোষ্ট দানের বছর দুয়েক পরে গত ১৮.০৯.২০১৮ তারিখে শেখ হাছিনা তাঁতপল্লী নামে একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে। সরকার সেখানে একটি বেশ বড় আকারের তাঁতপল্লী স্থাপন করে দেশের লক্ষাধিক তাঁতীসহ নারী ও পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ গ্রামীণ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে মর্মে দেখানো হয়েছে । প্রকল্পটিতে আমার প্রস্তাবিত রূপরেখার আদলে প্রায় ২০১৬ জন তাঁতি পরিবারকে পুনর্বাসনের নিমিত্ত আবাস-কাম-কারখানা স্থাপনের জন্য ফ্ল্যাট ও তাঁত শেড নির্মন করবে বলে দেখা যায় । সেখানে ৮০৬৪ টি তাঁত বয়নশেড নির্মাণের মাধ্যমে ৮০৬৪ জন তাঁত কারিগরকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মর্মেও জানা গেছে ( সুত্র : Click This Link )

সামুতে দেয়া আমার প্রস্তাবিত তাঁত পল্লীর রূপরেখা


প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল যদিও ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। তবে এটার বাস্তবায়ন কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা কেবল আল্লাই জানেন। যাহোক, মোট কথা হল এসব বিবিধ কারণে সরকারী পক্ষ হতে আমাদের প্রিয় সামু ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে । সামুর উপর হতে অঘোষিত নিয়ন্ত্রন উঠিয়ে নেয়াটা যে সময়ের দাবী সে কথা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।

এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য যে গত ৯ ই অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মিয়ানমারের হারানো রাজ্যের পুরাকির্তী রক্ষার স্বপ্ন এখন রোহিঙ্গা নির্মুলে রাস্ট্রিয় সহিংসতার চারণভুমি শীর্ষক

একটি বেশ বড় পোষ্টে রোহিঙ্গাদে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য , উপাত্ত ও ইতিহাস তুলে ধরে এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারণে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে হাতিয়ার ঠেংগার চরে ( ভাষান চরে ) রোহিঙ্গাদেরকে সাময়িক আশ্রয়দানের বিষয়ে চিন্তাভাবনার একটি রূপকল্প তুলে ধরেছিলাম এই সামুতেই ।
ছবি : সামুতে প্রদত্ত হাতিয়ার ঠেংগরচরে (ভাষান চরে) রোহিঙ্গাদের জন্য সাময়িক আশ্রয়দানের জন্য একটি রূপকল্প


বছর দুয়েক পরে ২রা সেপ্টেম্বর ২০১১৯ তারিখে দৈনিক ইনকিলাবের সংবাদ ভাষ্যে জানা গেল রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনে প্রস্তুত ভাষান চর ।


সুত্র : Click This Link
জানা গেল নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলীয় মেঘনার বুকে জেগে উঠা ভাসানচরকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। সারি সারি ঘর, সাইক্লোন শেল্টার, অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইট হাউস, পানি সরবরাহ, খেলার মাঠ, পুকুর, মসজিদ, গার্ডেন, সোলার সিস্টেম ও বনায়ন দ্বীপটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এক সময়ের অখ্যাত ভাসানচর এখন বিশ্বে পরিচিত।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষে ভাসানচরকে সর্বক্ষেত্রে প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অখ্যাত চরটিকে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এটা বলাই বকহুল্য যে ব্যবস্থাটি একেবারেই সাময়িক , রোহিঙ্গাদেরকে নীজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতেই হবে , এর জন্য সরকারের সর্বাত্বক কুটনৈতিক ও আরো যা যা কৌশল প্রয়োজন তার সবই প্রয়োগ করতে হবে । ২০১৭ সনের মত যদি সবাই বলে তাদেরকে আসতে দাও থাকতে দাও তাহলে চলবেনা , বহু দফা বাদ দিয়ে সকলকে এখন এককাক্যে এক দফায় এক সুরে বলতে হবে কোন রূপ বাহানা না করে নীজ দেশে ফিরে যাও ফিরে যাও, আমরা আর তোমাদের ভার নিত পারছিনা । আন্তর্জাতিক এনজিউ কর্মীর পরিচয়ে হাজার হাজার কর্মী মানবতার ডালি নিয়ে সেখানেই থাকবে তোমাদের পাশে । আন্তর্জাতিক দাতাদের সমর্থনপুষ্ট এনজিউ কর্মীদের জন্য বাংলাদেশ আর মায়ানমারই বা কি , তাদের প্রবেশতো আছে সর্বত্রই । তাই বাবা সোনারা তোমাদের ভয়ের কোন কারণ নাই। মায়ানমারের পাশে থাকা মহাজন চীনারাও বলতেছে তোমাদের পুর্ণবাসনে তারা থাকবে তোমাদের পাশে , মালএশিয়াও বলছে সে কথা, এখন এরোদগানকে সেখানে তোমাদের পাশে পেলেই হয় !!! আমরাও দেখতে চাই সেখানেই তাদেরকে ।

যাহোক গত নির্বাচন প্রাক্কালে সামু’র যে সমস্ত গুণী ব্লগারগন তাঁদের বিজ্ঞজনিত চিন্তাভাবনা অন্তর্ভুক্ত করে বিশেষ করে নির্বাচনী ইসতেহারের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ বিষয় তুলে ধরে সামু হতে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তাদের প্রতিও রইল পুণ:ধন্যবাদ । সকলের সমবেত প্রচেষ্টা যে সুফল বয়ে আনে এটা তারই একটি বহি:প্রকাশ । এ সম্পর্কে প্রসঙ্গক্রমে বলা সঙ্গত মনে করি যে নির্বাচনী ইসতেহারে মাত্র গুটি কয়েক বিশেষ বিষয় উল্লেখ থাকা প্রয়োজন, যার উপরে নির্বাচনের মাধ্যমে বলতে গেলে একটি রেফারেন্ডাম আসতে পারে ও তার ভিত্তিতে সংসদে আইন প্রনয়নে সহায়ক হয় । এর বাইরে সকলকে ভাত দিব , কাপর দিব , অন্ন দিব, বস্র দিব, চাকরি দিব , সুবিচার দিব, ন্যয়ের শাসন দিব, কারো বিচার করব, কাওকে মুক্ত করব এগুলি গতবাধা কথা , এসব বিষয়ে করনীয় গুলি দেশের বিদ্যমান আইনে সুষ্পষ্টভাবে বলা আছে, সংবিধানে আছে, আছে স্বীকৃত সরকারী নীতিমালাতেও, এর জন্য পৃষ্টার পর পৃষ্টা লিখে কাগজ ভরে নির্বাচনী ইসতেহার তৈরী করা ও ফলাও করে প্রচার করার মধ্যে কিছু নেই, শুধু এককথায় বলে দিলেই হয় ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সম্মত, স্বিকৃত এবং অনুমোদিত সকল নীতিমালা ও কর্মপন্থা মেনে নিয়ে সততা ও নিষ্টার সাথে আইনের শাসনের প্রতি অবিচল থেকে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করব । তবে যে বিষয়গুলি দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা এখনো স্বীকৃত নয়, কিন্তু জনস্বার্থে সে বিষয়ে আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন সেগুলিই শুধু নির্বাচনী ইসতেহারে তুলে ধরা প্রয়োজন, যাতে করে এই বিষয়গুলির উপর জনগনের ভোটে প্রাপ্ত জনমতের ভিত্তিতে সংসদে প্রয়োজনীয় আইন প্নয়য়নে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে। তাহলে একদিকে গুরুত্বপুর্ণ কোন বিষয়ে আইন প্রনয়নের জন্য জনমত যাচাইএর প্রশ্ন তুলে সংসদে সোরগোল তোলার অবকাশ যেমন থাকবেনা তেমনি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী ইসতেহারের কারনেই সরকার ক্ষমতায় আরোহনের পর তাদের দেয়া নির্বাচনী ইসতেহার কতটুকু পুরণ হয়েছে তা বুঝা যাবে ও কোনরূপ ব্যর্থতার জন্য তাদেরকে ঠেসে ধরাও যাবে । হাজার পৃষ্টার নির্বাচনী ইসতেহার লিখে নির্বাচনী বৈতরনী পার হলেও তা আখেরে কোন কাজে আসবেনা ।

তাই ভবিষ্যতে নির্বাচনী ইসতেহার প্রণয়নের সময় ইসতেহারটি কেমন হবে তা নির্বাচনের কমপক্ষে বছরখানেক আগে থেকেই প্রণয়ন করে জনগনের সামনে তুলে ধরে জনমত গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা যায় । নির্বাচনকে নাকের ডগায় রেখে নির্বাচনী ইসতেহার প্রনয়ন করা হলে সেগুলি নিয়ে দেশের সিংহভাগ জনগন সেই তিমিরেই থাকে , সেগুলির ভালমন্দ, গ্রহনযোগ্যতা, বাস্তবায়ন উপায় ও কৌশল নিয়ে ভাবনার কোন সুযোগই পাওয়া যায়না , ফলে অন্ধের মত অন্যের কথায় প্ররোচিত হয়ে অনেকেই তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে আসে (যদি তেমন সুযোগ পায়)আর নীজের প্রাপ্যতা বিসর্জন দিয়ে অন্যদের পেট ভরায় ।

নীজের কষ্টসাধ্য পোষ্টের প্রস্তাবনার অংশ বিশেষ হলেও আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে আনন্দের অতিশয্যে নীজের দেয়া কিছু পোষ্টের রেফারেন্স দিয়ে প্রিয় পাঠকদের বিরক্তি উৎপাদনের জন্য দু:খিত ও ক্ষমাপ্রর্থী ।

আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×