somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জানি ফিরবো না! (গল্পের শেষ অংশ)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাস্তার অপরিচিত একটা লোক এসেছিলো আবির এর সাথে উনি আবির এক কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে কাকে যেন কল দিচ্ছে।

কিছুক্ষণ পরে দেখলাম আবির এর মা এসেছে. আমি এই প্রথম আবির এর মাকে দেখলাম। উনাকে আমার চেনার কথা না কিন্তু আমি ঠিকই চিনতে পাচ্ছি। এখন আমি সবই চিনতে পারি, আমি আবির এর মাকে সব সময় মা বলেই ডাকতাম। দেখি মা দৌড়ে আবির এর কাছে এলো। আমির ওর মাকে জড়িয়ে ধরে বললো‚ বললো দেখো মা তুমি না মিম কে দেখতে চেয়েছিলে আমি বলেছিলাম একে বারে তোমার ছেলের বউ করেই দেখাবো, আজকেই দেখে নাও।
আবির এর মা কিছুই বললে না। তিনি শুধু তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরে রেখে কাদছেনই।

আবির চিৎকার করে তার মাকে বলছে মা আমি কেন বিদেশে যাবো বলে ভেবেছিলাম! কেন মা‚ কেন!

আমি অবাক হলাম! কি! আবির বিদেশে যেতে চেয়েছে তাহলে আমায় কেন বললো আর দেখা হবে না!

আমি এখন অনেক কিছু দেখারই ক্ষমতা রাখি। আমি আবির কে জড়িয়ে ধরলাম। ধীরে ধীরে সব দেখতে পাচ্ছি‚
আবিরের চিন্তা ভাবনা মনে কথা সব কিছুই দেখতে পাচ্ছি।
হঠাৎ করে দেখতে পাচ্ছি আবির আমায় ফেসবুকে কি যেন একটা মেসেজ দিয়েছে‚ আমি দেখার চেষ্টা করলাম দেখলাম দুই দিন আগেই আবির মেসেজ দিয়েছে ও কাজের জন্য বাইরে যাবে।
তিন বছরের মধ্যেই ফিরে আসবে। এরপর এসেই সে আমাকে বিয়ে করবে।
দেখিলাম সেই মেসেজে আরো লিখা ছিলো এছাড়া আমার কাছে আর কোন উপায় নেই। এছাড়া আমি খুব তারাতারি তোমায় পাবো না। জানি তোমার কষ্ট হবে কিন্তু এও জানি তুমি আমার জন্য সব কিছুই করতে পারবে।
এরপরই আমার মনে পরলো আরে আমার ফেসবুক আইডি তো ডিএক্টিভেট ছিলো তাহলে মেসেজটা দিলো কখন! তারপর আমি বুঝতে পারলাম আমি যখন ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করতে ব্যাস্ত ছিলাম হয়তোও তখনই মেসেজ গুলো দিয়েছে।
আমি কাদতেঁ চেষ্টা করছি আমার খুব খারাপ লাগছে কিন্তু কাদতেঁ পারছি। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমি মৃত। আমি কাদতেঁ পারি হাসতে পারি। জড়ায়ে ধরে বলতেও পারি না ভালোবাসি। সেই কখন থেকে আবিরকে জড়ায়ে ধরে রাখছি কিন্তু কই আমার আর আগের মত লজ্জা ভালো লাগা কিছুই লাগছে না।
আবির এর মনের কথা আরো দেখার চেষ্টা করলাম দেখলাম‚ ও ভেবে নিয়েছিলো আমি মেসেজ দেখেছি, আর অভিমান করে আইডি ডিএক্টিভেট করে দিয়েছি।
আর তাই আজকে বুঝিয়ে বলতে এসেছিলো‚ "আমাদের দেখা হবে না তা তোমাকে মেনে নিতে হবে। আর আমারও কি কম হচ্ছে হবে যা করছি তা তো আমাদের জন্যই করছি।"
কিন্তু আমি এখন কিভাবে আবিরকে বুঝাই আমি ওর অন্য একটা কথায় কষ্ট পেয়ে এমনটি করেছিলাম। আমি দেখি নাই এই মেসেজ!
আবির! আমি সত্যি বলছি এই মেসেজ আমি দেখি নাই। আমি এই মেসেজ দেখলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ হতাম। অভিমান সে তো প্রশ্নই উঠে না।
আমি আমার সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার করে বলছি ও কিছুই শুনতে পাচ্ছে না।
আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমি মৃত‚ মৃত মানুষের কথা কেউই শুনতে পায় না।
আমি আমার রক্তাক্ত শরীর দেখতে পাচ্ছি যে শরীরটা তিনটি মাত্র তিনটি বছর পরে আবির এর বুকে গুটি শুটি হয়ে জড়ায়ে ধরে রাখতো।

খুব করে ইচ্ছে করছে আবার ফিরে আসি। সব লজ্জা বাধা ডিঙ্গিয়ে ওকে জড়ায়ে ধরে বলি ভালোবাসি, ভুলেই গিয়েছিলাম আমি মৃত‚ মৃত মানুষ ফিরে আসে না। কাউকে ভালোবাসতে পারে না। কারো বউ হতে পারে না। রান্না করে নিয়ে এসে বলতে পারে না যেমন হয়েছে চুপ করে খেয়ে নিবে কিচ্ছু বলতে পারবে না। গভীর রাতে কারো ঘুম ভাঙ্গানোর কারন হতে পারে কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত করার কারন হতে পারে না।


(বানান ভুল এর জন্য ক্ষমা প্রার্থী )
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×