আমরা শুধু নারী নির্যাতনের কথা শুনি পুরুষেরা নিজের নির্যাতনের কথা বলতে পছন্দ করে না। তাই পুরুষ নির্যাতনের নানান ঘটনা চাপা পরে থাকে। আজ আমি এক নির্যাতক নারীর ঘটনা বলবো যার কারনে তিন তিন বার সোনার সংসার ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতন আইন না থাকার কারনে তিন জন পুরুষ নির্যাতিত হল এবং এর কোন বিচার হল না। নায়িকা পূর্নিমার মা ৩ বার পূনর্িমার সংসার ভাঙ্গার কারন। পূর্নিমার পূর্বের স্বামিরা কেউই চাননি পূর্নিমা বাচ্চা হবার পরে বাচ্চাকে ধাত্রির কাছে রেখে কাজ করুক। বিয়ের পরে বাচ্চা স্বামির দ্বাবি। পূর্বের ৩ টি বিয়েতেই পূর্নিমার মা চান নি পূর্নিমা বাচ্চার মা হউক। বিয়ের পরে বাচ্চা হওয়াটে স্বামি স্ত্রীর বন্ধনের একটি অন্যতম শিকর। সংসারে আসক্ত হবারও বড় কারন সন্তান তাছারা সন্তান বিবাহের ওয়াদা। কিন্তু পূর্নিমার মা মেয়ের টাকায় অন্য সন্তানদের সংসার গুছিয়ে দিয়েছেন। অনেক দিন ধরে মেয়ের আয় ভোগ করতে করতে মা হয়ে উঠেছিল টাকা লোভি পিচাশ রুপে। মেয়ের টাকার নেশায় মা তিন তিন বার মেয়ের সংসার ভেঙ্গেও ক্ষান্ত হন নি। চতূর্থ বারও মা চেয়েছিলেন পূর্নিমা স্বামি ছারুক। পূর্নিমা সব বুঝতে পেরে যখন চতূর্থ স্বামির কাছে ছুটে গেলেন এতে পূর্নিমার মা ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়ের সাথে যোগাযোগই বন্ধ করে দিয়েছেন।
বিপদ আসার আগেই সাবধান থাকা ভাল ইংরেজিতে বলে "বেটার সেইফ দেন সরি" পূর্নিমার ঘটনাটি পরে আমার ভয় হল। পূনিমার প্রাক্তন জামাইদের কাছ থেকে মেয়েকে খুব সহজেই ছুটিয়ে নিয়েছিলেন পূর্নিমার মা। সন্তান না থাকার কারনে হয়তো পূর্বের স্বামিগুলোর শুধুই মানষিক নির্যাতন হয়েছে। কষ্ট বেরে যায় যদি সন্তান থাকে।
আমিও আমার স্ত্রীকে আমার নবজাতক কন্যার সেবা করতে বলেছি কিন্তু আমার স্ত্রীর মা চান ও কাজ করুক। ধাত্রির কাছে বাচ্চা রাখতে আমি নারাজ। ওর মা চান ধাত্রির কাছে বাচ্চা রাখতে কারন আমার স্ত্রীও ওর মার সাথে একটি স্কুল চালায়। আমার শাশুরি উনার সন্তানদের ভালবাসবেন আমিও ভালবাসি আমার সন্তানকে। এটাই দুনিয়ার নিয়ম। বাচ্চা হয়েছে আজ ১৭ দিন হাসপাতালে ২ রাত আমার শাশুরি আমার মেয়ের কাছে ছিলেন। বাকি সময় দু একবার বাচ্চাকে দেখে গেছেন। সারাদিন স্কুল নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন সামাল দিতে না পেরে ঘন্টায় ঘন্টায় মেয়েকে কল করেন স্কুলের ব্যাপারে। প্রেমের সময় আমার স্ত্রী আমায় বলেছিল ওর মা ওকে ত্রিশের পরে বিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু ওর অনেক বান্ধবিরই বিয়ে হয়ে গেছে কারো কারো বাচ্চাও হয়ে গেছে। কথাটা শুনে আমারও খুব কষ্ট লেগেছিল। হয়তো ভালোবেসেছিলাম বলেই ওর কষ্ট অনুভব করতে পেরেছিলাম। তাই বিয়ে করে দুজন দুজনকে উফার দিলাম এক কন্যা সন্তান।
আপনাদের সবার কাছে দোয়া চাই আমার কন্যার জন্য।