খুব অসুস্থ্ এক অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা; ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক এমন কি রাষ্ট্রীয় জীবনেও এই অস্থিরতার ব্যতয় নেই। সবাই যেন কেমন অচেনা, সবাই যেন ঘোরলাগা এক গ্রহণের মধ্যে ছুটে চলেছে-
ফেসবুকে আসলে এই তান্তবের হিসাব হাতে কলমে পাওয়া যায়। মানুষের অস্থিরতা, তার আলোচিত হওয়ার আকাংখা, নিজেকে খুলে দেখানোর আপাত: হাস্যকর কার্যকালাপ আর পরস্পর পরস্পরের দিকে অদৃশ্য আঙুল তুলে জানান দেবার মকশো, যেন মানুষে আর মানুষ নেই!
আমি জানি, এসব সমাজের একটি অংশবিশেষের কার্যকালাপ, যারা মোটাদাগে ভালো আছে, কিংবা মোটা অংকের জৌলুসের জাজিমে অতৃপ্ত হয়ে ঘুমায়। খুব ইচ্ছে করে, এই ভার্চুয়াল জগতের বাইরে তাদের প্রত্যাহিত জীবন-যাপনে একটু উকি দেই! কতটা শোভিত তাদের নিদ্রা আর মুখোসে ঢাকা ছদ্মবেশের আডালে কেমন তারা দেখতে তা জানতে খুব ইচ্ছে হয়! যেন শুধু দৌড়, যেন শুধু মেলে ধরা- যেন চকচকে ঠমকের আর কোন সূর্যাস্থ নেই- থমকে আছে সময়ের বিচিত্ররথ।
অথচ এই সবের বাইরে আছে অন্য এক পৃথিবী, অন্য সব মানুষেরা। যারা মাথা নিচু করে হাটে, চোখে বাইফোকাল লাগিয়ে হাতডে খোজে সততার আস্তিন- মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলে, জানালা দিয়ে পূর্ণিমা দেখে বলে উঠে: আহা, বেচে আছি এই অপার্থিব জোছনায় এটাই কি সবচে বড় সৌভাগ্য নয়!
মানুষ ক্রমন্বয়ে আর কতটা দৌড়ুলে বিজয়ী হবে এই রঙিন প্রতিযোগিতায়! কতটা পেরুনোর পর ঢেকুর তুলে বলবে, এবার একটু চোখ বুজে বিশ্রাম নেই!
নাকি, এই অসুস্থ্ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি শুধুই অনন্ত বিশ্রাম, মৃত্যুরেখা; যেখানে কেউ কারো দেখার নেই, দেখাবার নেই!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭