ময়মনসিংহ বিভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যমুনা, বহ্মপুত্র, তিস্তা, অগ্নিবীনা এই ট্রেনসমুহ একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। যদিও এনা আছে এই রুটে। তবে গফরগাঁও এর অবস্থা আরও খারাপ। যারা গফরগাঁও/ নান্দাইল সংলগ্ন এলাকার তারা কমবেশি সবাই ঢাকায় থাকে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। ঐ এলাকায় যাবার জন্য নাই কোন ডাইরেক্ট বাস সার্ভিস। ট্রেন-ই একমাত্র ভরসা তাদের।
গুগল ম্যাপ-এ কি জন্য যেন ময়মনসিংহ এলাকায় ব্রাউজিং করছিলাম। জুম ইন করতেই চোখে পড়ল, গফরগাঁও। এই নাম শুনলে একটা আতঙ্ক কাজ করে। শুনা কথা গফরগাঁও এর লোকজন নাকি বেশ ডেঞ্জারাস। বিশেষ করে তারা ট্রেনের সিট দখল নিয়ে বেশ এক্সপার্ট। এই নিয়ে জনমুখে অনেক বাজে কথা প্রচলিত আছে। কিছু সত্য বৈ কি। না হলে যা রাটে তাহা বটে এই কথাটা থাকতো না।
এখন আসি মূল আলোচনায়। গফরগাঁও ব্রাইজিং করছিলাম, পাশে বহ্মপুত্র নদী, তার পাশেই নান্দাইল থানা। হবে হয়তো কয়েক কিলোমিটার। আর একটি আশ্চর্য বিষয় লক্ষ্য করলাম! দেখলাম কিশোরগঞ্জ মাত্র ২৯ কিলোমিটার। বিশ্বাস না হলে নিচের ম্যাপে দেখুন। স্ক্রিন সট নিয়ে নিলাম।
এই ম্যাপে যা দেখলাম, গফরগাঁও এ যেহেতু রেললাইন আছে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে, কিশোরগঞ্জ-এও তাই হবে হয়তো। কিন্তু কি কারনে এই রুটে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার রেললাইন হলো না? তা আমার মাথায় ক্যাচ করলো না! নিচে আর একটি ছবি দেখুন।
এই লাল দাগ টা আমি টেনেছি, আমার প্রস্তাবিত রেললাইন যদি এমন হয় তবে সর্টকাটে কিশোরগঞ্জ-এর লোকজন তাদের গন্তব্যে পৌছতে পারবে। তাদের আর ভৈরব ঘুরে যেতে হবে না। নিচের ছবি টা দেখুন...
লালদাগ টা বর্তমানের কিশোরগঞ্জ যাবার রেললাইন। নীল দাগ আমার দেওয়া, গফরগাঁও পর্যন্ত তো লাইল বিদ্যমান। শুধুমাত্র ৩০ কিমি অথবা তার কম কিলোমিটার রেললাইন যদি তৈরি করা যায় তবে, ঢাকা থেকে কিশোগঞ্জ-এ যেতে মাত্র ৩ ঘন্ট লাগবে। এখন যেখানে লাগে ৬-৭ ঘন্টা।
অন্যদিকে গফরগাঁও এর লোকজনদের জন্য সুবিধা হবে। তারা আরও বেশকিছু ট্রেন পাবে। তাই তারা আর গাদাগাদি করে সিট দখলের চিন্তা করবে না। তাতে যমুনা, বহ্মপুত্র, তিস্তা ও অগ্নিবীনা'র যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে। তাই আমি মাননীয় রেল মন্ত্রী জনাব মুজিবুল হককে এই বিষয় টি চিন্তা ভাবনা করার জন্য অনুরোধ করছি।
বিঃ দ্রঃ এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত অভিমত। কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।