ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি এবং কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠিকে ‘দেশের বিচারব্যবস্থা ও সার্বভৌমত্বের ওপর অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলএর ৮৬৬ জন শিক্ষক।বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বার্থরক্ষার্থে দেওয়া বিবৃতিটিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ওপর আক্রমণ চলছে !!!
ঢাবি উপাচার্য বলেন, প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত। অনেক সময় তারা নানা প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেন!!! আমার ধারণা এই ১৬০ জন বিবৃতিদাতা লবিস্ট হিসেবে কাজ করছেন!!!! তাদেরকে হয়তো বা কোনও গোষ্ঠী কোনও রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায় কিংবা কোনও ব্যক্তি নিয়োগ করেছেন অর্থের বিনিময়ে!!!!! সে কারণেই হয়তো তারা আজকে কোনও দুর্নীতি এবং অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সুত্র ঃ আমাদের সময়
দেশের জন্য পাহাড়সম সম্মান বয়ে আনা নোবেল লরিয়েট ডক্টর ইউনুসকে নিজ দেশে সরকারের হাতে চরম লাঞ্ছিত হতে দেখে তেমন অবাক হই না। জগননের ভোটাধিকার হরন করা ফ্যসিস্ট সরকারের পক্ষে যা খুশী তাই করা সম্ভব। কিন্ত চরম লজ্জিত ও বিব্রত বোধ করেছি ঢাবির ৮৬৬ জন দলবাজ শিক্ষকদের কর্মকান্ডে। আমাদের জমানাতেও নীল ও সাদা দলের রাজিনীতি ছিল। কিন্ত এমন নিল্লজ্জতা, মিথ্যাচার ও বিবেকহীনতা দেখি নাই। ডক্টর ইউনুস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
ক্ষমতা, অর্থ ও পদের বিপুল হাতছানিতে অন্ধ ৮৬৬ জন শিক্ষক, ঢাবির গর্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী ডক্টর ইউনুসের বিরুদ্ধে যেতে গিয়ে যে বারাক ওবামা , হিলারি ক্লিন্টনের মত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে সেটাও মনে হয় ভুলে গেছে। এরা কি এদের দলের রাজিনীতিকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলে ধরে নিয়েছে ?