দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষার দায় সরকারের স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের। অন্তবর্তী সরকার হাতে ক্ষমতা নেয়ার পর ছয় মাস পেরিয়ে যাবার পরেও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি ঘটেছে। অথচ এখন ক্ষমতায় কোন স্বৈরাচারী সরকার নাই । তাহলে দায় কার ? দায় অবস্যই আইন শৃংখলা বাহিনী , বিচার বিভাগ এবং অন্তবর্তী সরকারের স্বরাস্ট্র ও আইন মন্ত্রনালয়ের। পুলিশ এবং আদালত তাদের দ্বায়িত্ব পালন করছে না বলেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। অপরাধ করার পরেও পুলিশ অপরাধীদের ধরছে না , এমনকি আমজনতা অপরাধীদের ধরে পুলিশে দিলেও জামিনে এইসব অপরাধীরা বের হয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে !! দ্বায়িত্ব পালনে সম্পুর্ন ব্যার্থ স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবীতে সোস্যাল মিডিয়া উত্তাল হলে মধ্যরাতে তিনি প্রেস কনফারেন্স করে জানান যে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছে !! সেই সাথে তার পদত্যাগ নিয়ে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেন সাংবাদিকদের সাথে!!
পলাতক স্বৈরাচারের দোসররাতো পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতেই চাইবে।তাদের দমনে উনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন ? অপারেশন ডেভিল হান্ট এর নামে কিছু ছিচকে চোরদের ধরে উনি কি বিশাল প্রাপ্তির কথা বোঝাতে চাইছেন ? অপরাধীদের ধরে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা কি তিনি করতে পেরেছেন? অপরাধীর শাস্তির ব্যবস্থা না করলে অপরাধ কিভাবে দমন হবে ? এই লোকের কথাবার্তার সাথে স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগ আমলের স্বরাস্ট্র মন্ত্রীদের ব্যপক মিল পাওয়া যায়।তখনো অপরাধ সংগঠনের পর তা দমনের পরিবর্তে মন্ত্রীরা বায়বীয় টাইপ কথা বলত।
দুই হাজারের অধিক ছাত্র জনতা ফ্যসিস্ট আওয়ামিলীগ আমল সদৃষ স্বরাস্ট্র উপদেষ্টাকে ক্ষমতায় দেখতে রক্ত দেয় নাই। কিন্ত চুরান্ত নির্ল্লজ্জ ও দ্বায়িত্ব পালনে অক্ষম এই ব্যক্তি আওয়ামিলীগের মতই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে না । তাই একেও এখন টেনে হিচরে নামাতে হবে।
জুলাই এর জ্বালাময়ী এক শ্লোগান এর মত করেই বলতে চাই-
এক দুই তিন চার
স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা তুই গদি ছাড়