somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমন্বয়ক শব্দটাকে কলুষিত করার চেষ্টা চলছে

৩০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০২৪ সালের ৮ই জুলাই দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু সরকারী কলেজে সমন্বয়ক গঠন করা হয়েছিল সমগ্র দেশব্যপী ঐক্যবদ্ধভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জোড়দার করার লক্ষ্যে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরাই মুলত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং মাসব্যপী বিভিন্ন কর্মসুচী ঘোষনা করেছে যা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কালেজগুলো বাস্তবায়ন করেছে । এই আন্দোলনকে ''meticulously designed '' বলার মুল কারনই হচ্ছে দেশব্যপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কদের মাধ্যমে একটা অর্গানাইজড আন্দোলন পরিচালনা । কোন একক নেতৃত্ব না থাকা এই ইউনিক আন্দোলনে কোন সমন্বয়ক গুম বা গ্রেফতার হলেও এক মুহুর্তের জন্যেও থেমে যায়নি আন্দোলন। একজন পড়ে গেলে, দৃষ্যপটে নতুন কর্মসুচী নিয়ে হাজির হয়েছে আরেকজন।লীগের এত দুধর্ষ আইন শৃংখলা বাহিনী , ডিজিএফ আই এইকারনেই বিভ্রান্তির মাঝে পড়ে গিয়েছিল। কাকে ধরলে আন্দোলন থেমে যাবে , এটাই তারা বুঝে উঠতে পারছিল না। ঢাবির বিভিন্ন ছাত্রদের কলাম পড়লে বোঝা যায় , ২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হঠাৎ করে গড়ে ওঠা কোন আন্দোলন নয়। ভয়ঙ্কর এক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে তৈরী হচ্ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়র ছাত্ররা। আজকাল কিছু পাতি লেখকদের লেখা পড়লে মনে হয় যে , বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো খুবই সাধাসিধা একটা বিষয়। অথচ জুলাই এ যখন সমন্বয়কেরা ডিজিএফ আই এর কড়া নজরদারীর মাঝে মৃত্যূর মুখোমুখি দাড়িয়েছিল, তখন এরা সবাই গর্তে লুকিয়েছিল।

৮ই জুলাই এ গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিল ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ সহ-সমন্বয়ক নিয়ে মোট ৬৫ সদস্যে। সমন্বয়করা হলেন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আদনান আবির, জামান মৃধা, মোহাম্মদ সোহাগ মিয়া, নুসরাত তাবাসসুম, রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, মুমতাহীনা মাহজাবিন মোহনা, আনিকা তাহসিনা, উমামা ফাতেমা, আলিফ হোসাইন ও কাউসার মিয়া।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদুল্লাহ আল গালিব, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের, মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক, ইডেন মহিলা কলেজের সাবিনা ইয়াসমিন। সহ-সমন্বয়ক হিসেবে আছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফাত রশিদ, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, নিশিতা জামান নিহা, রেজোয়ান রিফাত, মেহেদী হাসান, মো. আবু সাঈদ, নুমান আহমাদ চৌধুরী, রিজভি আলম, সানজানা আফিফা অদিতি, ফাহিম শাহরিয়ার, গোলাম রাব্বি, কুররাতুল আন কানিজ, মিনহাজ ফাহিম, মো. মহিউদ্দিন, মেহেদী হাসান মুন্না, সরদার নাদিম সরকার শুভ, রিদুয়ান আহমেদ, নূরুল ইসলাম নাহিদ, রাইয়ান ফেরদৌস, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, হামজা মাহবুব, এবি যুবায়ের, তানজিলা তামিম হাপসা, বায়েজিদ হাসান, শাহেদ, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, দিলরুবা আক্তার পলি, ঈশী সরকার, ফাতিহা শারমিন এনি, সামিয়া আক্তার, মাইশা মালিহা, সাদিয়া হাসান লিজা, তারেক আদনান। ঢাকা কলেজের আফজালুল হক রাকিব, কবি নজরুল সরকারি কলেজের মো. মেহেদী হাসান, সরকারি তিতুমীর কলেজের মো. সুজন মিয়া, বোরহান উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ইব্রাহীম নিরব, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির আতিক মুন্সি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম সুইট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খান তালাত মাহমুদ রাফি, খুলনার বি এল কলেজের সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। এই ৬৫ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কেরাই মুলত মাসব্যপী তুমুল দমন নীপিড়নের মধ্যেও দেশব্যপী দলীয় কর্মসুচী বাস্তবায়ন করতে ভুমিকা রেখেছে।

৩ অগাস্ট ঐতিহাসিক এক দফা ঘোষনার পর আন্দলন চালিয়ে নেবার লক্ষ্যে সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়। হয়। তবে ৫ই অগাস্টই স্বৈরাচারের পতন হয় । ৩ অগাস্ট ঘোষিত সমন্বয়ক কমিটিতে সমন্বয়ক ছিল ৪৯ জন। তারা হলেন— নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আদনান আবির, জামান মৃধা, মোহাম্মদ সোহাগ মিয়া, রিফাত রশিদ, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, মোয়াজ্জেম হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), হামজা মাহবুব, রেজোয়ান রিফাত, তরিকুল ইসলাম, নুসরাত তাবাসসুম (শামসুন্নাহার হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), রাফিয়া রেহনুমা হৃদি (বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মুমতাহীনা মাহজাবিন মোহনা (বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), আনিকা তাহসিনা (রোকেয়া হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), উমামা ফাতেমা (সুফিয়া কামাল হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, নিশিতা জামান নিহা, মেহেদী হাসান (সোসিওলজি)।

সহ সমন্বয়ক ছিলেন– মো. আবু সাঈদ, সানজানা আফিফা অদিতি, তানজিনা তাম্মিম হাপসা, আলিফ হোসাইন, কাউসার মিয়া, সাইফুল ইসলাম, আরিফ সোহেল (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), আব্দুর রশিদ জিতু (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), স্বর্ণা রিয়া (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), রাসেল আহমেদ রশিদ জিতু (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), স্বর্ণা রিয়া (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), রাসেল আহমেদ (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), আসাদুল্লাহ আল গালিব (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), নাজমুল হাসান (ঢাকা কলেজ), শাহিনুর সুমী (ইডেন মহিলা কলেজ), সিনথিয়া জাহিন আয়েশা (বদরুন্নেসা কলেজ), ইব্রাহীম নিরব (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), নাজিফা জান্নাত (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), আসাদ বিন রনি (গণ বিশ্ববিদ্যালয়)। ১০৯ সদস্যের সহ-সমন্বয়করা হলেন— সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ, রাইয়ান ফেরদৌস, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মিনহাজ ফাহিম, রিজভি আলম, ফাহিম শাহরিয়ার, কুররাতুল আন কানিজ, এবি যুবায়ের, মো. মহিউদ্দিন, নাহিদা বুশরা, মেহেদী হাসান মুন্না, রিদুয়ান আহমেদ, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবিদ হাসান রাফি, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, রাসেল মাহমুদ, আরিফুল ইসলাম, বায়েজিদ হাসান, মো. শাহেদ, মেহেদী হাসান, দিলরুবা আক্তার পলি, ঈশী সরকার, ফাতিহা শারমিন এনি, সামিয়া আক্তার মাইশা মালিহা, সাদিয়া হাসান লিজা, আশিকুর রহমান জিম, নাফিসা ইসলাম সাকাফি, সাবিরা উম্মে হাবিবা, সিহাব হোসেন শাহেদ, আহসান হাবিব, ইব্রাহিম মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন রুদ্র, আসিফ ইমতিয়াজ খান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাফওয়ান হাসান তামিম, আরমান হোসাইন, আজিজুল হক, আরাফাত ইমন, শুভ আহমেদ, শাদমান সাকিব, নাসিম আহমেদ, মাহিউল ইসলাম, আরাফাত ইমরান, মো. আরমানুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, রিফাত রিদওয়ান, সাঈদ আফ্রিদী, মিয়া মোহাম্মদ সোহাগ, মেহেরাজ হাসান শিশির।

সহ-সমন্বয়ক পড়ে আরও আছেন— হাফিজুর রহমান, আরিফ হোসাইন, অছিকুর রহমান জয়, আহমেদ আল সাবাহ, শাকিল আহাম্মেদ, শরীফ আহমেদ তাহসীন আহমেদ, খালেদ হাসান, সারজানা আক্তার লিমানা, জুবু বায়েজিদ, মাহিয়ান ফারদিন সিফাত, মাসুদ রানা, সাকিবুল হাসান, বাদশা শেখ, শাহজালাল সজল, মুহাম্মাদ তাশফীন (হৃদুল), জুনায়েদ আবরার, আবু উবাইদা আব্দুল্লাহ খন্দকার, কে. এম, জাবিদ, রিদওয়ান আহমেদ, গোলাম মওলা রাশেদ, মো. জহির রায়হান, সালমান সাদিক, হাসিবুর ইসলাম নাসিফ, এস, আই, শাহীন, মতিউর রহমান পিয়াল, নাফিউর রহমান রাকিব, মো. আরিফ হোসাইন, আহসান হাবিব ইমরোজ উবায়দুর রহমান হাসিব, রিনভী মোশাররফ, খান তালাত মাহমুদ রাফি (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), ফয়সাল হোসেন মাসুদ (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), জহিরুল তানভীর (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়), আবু রায়হান (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়), সাকিব হোসাইন (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়), জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল), মুহিদুল ইসলাম রিন্তু (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), জাহিদুল ইসলাম হাসান (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), শওকত ইমরান (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), তানিম আহমেদ (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), মোকলেসুর রহমান সুইট (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়), আইরিন সুলতানা আশা (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়), এস. এম. সুইট (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়), মুক্তার হোসেন (ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট), রুমান উদ্দিন (ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট), আব্দুল মুমিন (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), শুয়াইব বিল্লাহ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), লিটন আকন্দ (বঙ্গমাতা শেষ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), রিয়াদ হাসান (বঙ্গমাতা শেষ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. রাকিব (ঢাকা কলেজ), মো. মেহেদী হাসান (কবি নজরুল সরকারি কলেজ), মো. সুজন মিয়া (সরকারি তিতুমীর কলেজ), আতিক মুন্সি (নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি), সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি (বিএল কলেজ, খুলনা), মিশু আলী সুহাশ (স্টেট ইউনিভার্সিটি), মেহেদী হাসান বাবু খান (ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) ও তসলিম হাসান অভি (হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ)।
৮ই মার্চ , ২০২৫ নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে, আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর সমন্বয়ক পরিচয়ের আর অস্তিত্ব নেই । এই পরিচয় আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
তারপরেও পত্রিকায় আবারো সমন্বয়ক শব্দটা দেখলে বিভ্রান্ত না হয়ে লিস্টে এক দফা চোখ বুলিয়ে নেবেন।

বিপ্লবী ছাত্র নেতারা রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠনের পরপর নানান মহল থেকে শুরু হয়েছে ষঢ়যন্ত্র। এই দেশের মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বহুকাল ধরেই শূন্যের কোঠায়। সাংবাদিকেরা এই দেশে প্রতিবেদন লিখে যে যার স্বার্থনুযায়ী। সংবাদপত্রের খবরকে বিশ্বাসযোগ্য ধরে নেবার কোন সুযোগই এই দেশে নাই। মিডিয়া এই দেশে নিয়ন্ত্রিত হয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দ্বারা। মিডিয়াকে ব্যবহার করে সমন্বয়ক শব্দটাকে ইদানিং কলুশিত করার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি চাঁদাবাজির দ্বায়ে গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদকে সমন্বয়ক বানিয়ে দিয়ে গনহারে বৈষম্য বিরোধি আন্দোলনের সমন্বয়কদের মিডিয়া ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এই আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ বৈষম্য বিরোধি আন্দোলনে সমন্বয়ক ছিল না। যেখানে সমন্বয়ক পরিচয় দেয়ার কোন সুযোগই আর নাই আর সেখানে এইসব ভুয়া ব্যক্তিদের স্বমন্বয়ক পরিচয় মিডিয়া স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে প্রচার করছে অসাধু উদ্দেশে। মোটা দাগে মানুষের মনে সমন্বয়ক শব্দটার প্রতি এক ধরনের ঘৃনা তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রাজনৈ্তিক দল হিসাবে এনসিপিকে স্বচ্ছতার সার্টিফিকেট দিতে এই পোস্ট দেইনি । এনসিপিকে ক্রমাগত ট্রায়ালের মধ্য দিয়েই নিজেদের প্রমান করতে হবে। এই দলের মুল শক্তি গনতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র। এনসিপি কোন একক নেতা বা পরিবার নির্ভর দল নয়। কোন নেতা যদি অনৈ্তিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় , তবে বিশেষ কোন পরিবারের অনুগ্রহ সে পাবে না। নিজের কর্মের কারনেই এক সময় সে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তবে দল হিসাবে এনসিপিকে এই দেশের রাজনীতিতে হাজারো ষঢ়যন্ত্র মোকাবেলা করেই এগুতে হবে। এই মুহুর্তে এনসিপির পদযাত্রায় প্রতিটা জেলায় জনগনের বিপুল অংশগ্রহন এর মুল কারন হচ্ছে এনসিপির বিচার ও সংস্কারের পক্ষালম্বন । এই দেশের মানুষ বিচারহীনতা সংস্কৃতির অবসান চায়। মানুষ নির্মম সব হত্যাকান্ডের বিচার চায় যাতে এই দেশ আবারো অপরাধীদের স্বর্গ না হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ এই দেশের গলে পচে যাওয়া সেই সিস্টেমের পরিবর্তন চায় যেই সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়তে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল আব্বু সাইদ, মুগ্ধরা। এনসিপি যতদিন মানুষের মৌ্লিক অধিকার আদায়ের পথে থাকবে, ততদিন তাদের পাশে জনগনকে পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২১
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×