মানুষ সমাজিক জীব, সমাজ বদ্ধ হয়েই বসবাস করতে অভ্যস্ত, আর সমাজে বাস করতে হলে একে-অপরের সাথে মনোমালিণ্য হওয়া, কথা কাটাকাটি হওয়া, হালকা-পাতলা ঝগড়া-ঝাটি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়, স্বজাতি স্বজাতিতে পরস্পরে কি ঝগড়া-বিবাদ হয়না (?)হয়, তবে কেন হিন্দু-মুসলিমের মাঝে সামান্য কিছু না হতেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার রুপ নেয়? এর মূলে কে/কারা লাকড়ি যোগায়? অথচ উপমহাদেশে এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সংস্কৃতি তো আগে ছিল না? হাজার বছর ধরে হিন্দু -মুসলিম সহবাস্থান ছিল এই ভারত উপমহাদেশে,
আপনি যদি গভীর দৃষ্টিতে একে নিরিক্ষা করেন তো দেখবেন এর পিছনে রয়েছে যখনই ইউরোপীরা এদেশে উপনিবেশ কায়েম করল তখন থেকেই এর সূচনা, আর এর জন্য তারা সমাজের কিছু অশুভ চক্রকে ব্যবহার করেছে, এত হল বৃটিশ আমলের কাহিনী ,কিন্তু বর্তমানে এক শ্রেণীর অসৎ রাজনৈনিত নেতা-নেত্রী বৃন্দ ও সংকৃর্ণমনা বুদ্ধিজীবী নামক সমাজের কীট,
আপনি যখনই ভারতের মুসলিম নির্যাতন নিয়ে অনলাইনে আলোচনা করতে যাবেন…
ঠিক তখনই দেখবেন কুলাঙ্গার নাস্তিক ব্লগাররা আর হিন্দুরা বলা শুরু করবে যে বাংলাদেশেও নাকি হিন্দুদের উপর অনেক অত্যাচার হয়!
.
আচ্ছা আমরা এখন ভারতের হিন্দু কর্তৃক মুসলিম নির্যাতন আর বাংলাদেশে মুসলমান কর্তৃক তথাকথিত হিন্দু নির্যাতনের একটা তুলনামূলক পর্যালোচনা করব।
.
নিরপেক্ষ পেপার পত্রিকা আর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে আপনারা সবাই তো জানেন যে ভারতের হিন্দুরা যখন মুসলমানদের উপর নির্যাতন শুরু করে তখন হাজারে হাজারে মুসলমান যুবক কে হত্যা করা হয়, হাজার হাজার মুসলিম নারীকে ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এই কিছু ‍দিন আগেই ভারতের উত্তর প্রদেশে মুজাফফারবাদে যে দাঙ্গা হয়েছে সেইখানে হাজার হাজার মুসলিম মেয়েকে হিন্দুরা প্রকাশ্যে ধর্ষন করেছে। থানা পুলিশ সেনাবাহিনী কারো কাছ থেকেও মুসলমানরা একটুও সাহায্য পায়নি।
.
২০০২ সালে গুজরাটে গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং মোদীর প্রত্যক্ষ ইন্ধনে গুজরাটের হিন্দুরা আমাদের মুসলিম মেয়েদের কে ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।
.
http://www.google.co.in/search?ie=ISO-8859-1&q=gujaratriots&btnG=Search
(এখানে গোগোল সাচ্ টা ই দিয়ে দিলাম অনেক ঘটনায় দেখতে পাবেন,বিশেষ করে
gujaratriots.com টা ই গেলে)
.
এই সব ওয়েবসাইটে গেলে গুজরাটের হিন্দুদের নৃশংসতা জানা যায়। গুজরাটের মুসলমানরা কিন্তু এখনো তাদের বাড়িঘর ফিরে পায় নি। গুজরাট শহরের অদূরে মুসলমানরা এখন বস্তিতে থাকে, কিন্তু যেই মুসলমানদের আগে সবারই গুজরাট শহরে বাড়িঘর ব্যবসা বাণিজ্য ছিল।
.
ঠিক তেমনি উত্তর প্রদেশে মুজাফফারবাদের মুসলমানরা যে সারা জীবন উদ্বাস্তু হয়ে থাকবে এতে আর কোন সন্দেহ নাই। আচ্ছা সেই তুলনায় বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কয়টা হিন্দু মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে ?।এবং মুসলমানদের কোন নেতা বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এই অপকর্মের সাথে জরিত ছিল?।কোন মুসলমান এর সাথে জরিত ছিল না।কেননা মুসলমানগণ এটাকে জঘন্যতম অপরাধ বলে বিশ্বাস করে।
.
কিন্তু ভারতের প্রত্যেকটি মুসলিম নিধনে হিন্দু ধর্মবাদী দল বিজেপি শিবসেনা বজ রঙ্গী জড়িত থাকে। ভারতের হিন্দু ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা সরাসরি এই মুসলিম নিধনে সাধারন হিন্দুদের কে উৎসাহ দেয়। আচ্ছা বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কি কখন কোন মুসলমান কর্তৃক শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে একটি হিন্দু যুবককেও হত্যা করা হয়েছে ? আজ পর্যন্ত কি কখনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক কারনে কোন হিন্দু মেয়েকে ধর্ষন করা হয়েছে ?
যদিও মিডিয়ায় এগুলিকে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বলে অভিহিত করা হয় কিন্তু আসলে এইসব দাঙ্গায় কখনোই কোন মুসলমান কর্তৃক কোন হিন্দু মারা গেছে তা শুনা যায় নি, আর কোন হিন্দু মেয়ে মুসলিম কর্তৃক ধর্ষন হওয়া তো দূরের কথা। আর সেই তুলনায় আজ পর্যন্ত একটি হিন্দু যুবকও কোন মুসলমান কর্তৃক শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে নিহত হয় নি।
.
উগ্রবাদী হিন্দু দল বিজেপি কর্তৃক যখন ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় তখন এই দেশের আলেম সমাজ রাস্তায় নেমে সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করতে উদ্যোগী ভুমিকা পালন করে। ফলশ্রুতিতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পরও বাংলাদেশে একটা হিন্দু ছেলেও কোন মুসলমান কর্তৃক নিহত হয় নি আর কোন হিন্দু নারী কোন মুসলমান কর্তৃক ধর্ষিত হওয়া তো দূরের কথা। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে ভারতের ব্রাক্ষন পুরাহিতরা সাধারন হিন্দুদের কে মুসলিম নিধনে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিল। ।
.
আর ভারতের হিন্দু ধর্মবাদী দল বিজেপি শিবসেনা বজরঙ্গী দলগুলির রুটিন মাফিক কাজ হল মুসলিম নিধনে সাধারন হিন্দুদের কে উৎসাহ দিয়ে যাওয়া।
.
আসলে যেই ধর্মের অনুসারীরা শিবের লিঙ্গ/Penis (শিব লিঙ্গ) পূজা করে, যেই ধর্মের কালী দেবী সারাদিন তার কালো কুৎসিত জিহ্বা বের করে তার স্বামী ( Husband) মহাদেবের পেটের উপর দাঁড়িয়ে থাকে সেই ধর্মের লোকেরা তো আমাদের অসহায় মুসলিম মেয়েদের কে ধর্ষন করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে এটাই স্বাভাবিক।
.
সত্যিকথা বলতে কি মানব জাতিকে কোন কল্যানকর কিছু দেয়ার সামর্থ্য হিন্দু তো দুরের কথা ইসলাম ছাড়া, কোন ধর্মের ভিতরে কখনোই ছিল না যখন থেকে ইসলামের আবির্ভাব,