লিমিটেডের লিমিট না দিয়ে উপায় কি? সেজন্য লিমিটেডদেরকে আল্লাহ লিমিট দিয়ে কুন বললে তারা হয়। আল্লাহ লিমিটেডদের লিমিট না দিলে কি হয়? আল্লাহ লিমিট না দিলে আনলিমিটেড হয়। আল্লাহ এভাবে হয়েছেন আন লিমিটেড। কারণ কেউ তাঁর লিমিট দেয়নি।আর কেউ তাঁর লিমিট দেয়নি কারণ তাঁর লিমিট দেওয়ার মত তাঁর আগে কেউ ছিলো না। তাঁর আগে কেউ না থাকার কারণ তিনি প্রথম।
আন লিমিটেড একাদিক হয়না বিধায় সকল আন লিমিটেড বিদ্যমাণ আন লিমিটেডে বিলিন হয়। তাদের আর পৃথক অস্তিত্ব হয় না। কোরআনের কুন ফাইয়াকুন তত্ত্বে আকৃষ্ট হয়ে এ আর রহমান মুসলিম হয়ে যান। তাঁর এ সংক্রান্ত গানও আছে।
আল্লাহ যা সৃষ্টি করতে চান সেটাকে তিনি কুন বললে সেটা হয়। তবে তার আগে সেটার লিমিট দিতে হয়। কারণ লিমিট ছাড়া লিমিটেড কিছু হয় না। রবীন্দ্র নাথের ছবির লিমিট দিয়ে ছবি আঁকলে রবীন্দ্র নাথের ছবি হবে। রবীন্দ্রনাথের ছবির লিমিটে বঙ্গবন্ধুর ছবি হবে না। সেজন্য কোন কিছু হওয়ার জন্য এর লিমিটটাই বেশী জরুরী। আল্লাহর লিমিট দিয়ে কুন বলার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। তারপর সব কিছু রূপান্তর হয়। রূপান্তরের জন্য সৃষ্টির প্রয়োজন অবশ্যই আছে। কারণ সৃষ্টি না হলে রূপান্তর হয় কি?
সার কথা হলো কেউ লিমিট না দেওয়ায় সৃষ্টিকর্তা আন লিমিটেড হলেন। তিনি লিমিট দিয়ে সব কিছুকে অস্তিত্বে আনায় তিনি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা হলেন। লোকে বলে সব কিছু বিবর্তনে হয়। তারা বলে সব কিছু এমনি এমনি হয়। তাদের কেউ কেউ বলে সব কিছু প্রাকৃতিক নিয়মে হয়। কিন্তু তাদের কোন নিয়মেই শুধু সৃষ্টিকর্তা হয় না। কিন্তু কোন কিছুকে লিমিট না দিলে সে তো আন লিমিটেড হবেই। আর কেউ লিমিট না দিলে লিমিটেড কেমন করে হয়? সুতরাং লিমিটেড-আনলিমিটেড তত্ত্বের মাঝেই রয়েছে সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর সৃষ্টির বিবরণ।
কেউ সৃষ্টিকর্তাকে বুঝতে না পারার দায় সৃষ্টিকর্তার নয়। এটা বরং তার অযোগ্যতা। আর তাকে তার এ অযোগ্যতার মাসুল গুণতে হবে। কারণ অযোগ্য লোকেরাই বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে।