মুক্তমনা বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় বললেন-
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, শূন্য থেকে মহাবিশ্বের উদ্ভবের ধারনাটা পদার্থ এবং শক্তির নিত্যতার সূত্রের লঙ্ঘন। কী ভাবে আপনি শূন্য থেকে রাতারাতি একটা মহাবিশ্ব তৈরি করে ফেলতে পারেন? ওয়েল … যদি আপনি মহাবিশ্বের সমস্ত ভর হিসেব করেন, দেখবেন এটা ধনাত্মক। আর যদি আপনি মহাবিশ্বের মহাকর্ষ ক্ষেত্রের শক্তির হিসেব নেন, দেখবেন সেটা ঋণাত্মক। যখন আপনি এ দুটোকে যোগ করবেন, কি পাবেন? শূন্য। তার মানে মহাবিশ্ব তৈরি করতে কোন শক্তি আসলে লাগছে না। মহাবিশ্ব ফ্রি পাচ্ছেন আপনি – যেন ফ্রি লাঞ্চ হিসেবে। আপনি হয়তো মাথা নেড়ে ভাবতে পারেন – নাহ, এটা ঠিক নয়। এই যে চারিদিকের ধনাত্মক চার্জ আর ঋণাত্মক চার্জ দেখি – কই তারা তো একে অপরকে নিষ্ক্রিয় করে দিচ্ছে না। তাহলে কীভাবে শূন্য থেকে মহাবিশ্ব পাওয়া যাবে? ওয়েল, আপনি যদি একই ভাবে মহাবিশ্বের যাবতীয় ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ আর ঋণাত্মক চার্জের পরিমাণ ধরে যোগ করেন দেখবেন যোগফল পাওয়া যাচ্ছে শূন্য! মহাবিশ্বের আসলে কোন নেট চার্জ নেই। আচ্ছা স্পিন বা ঘূর্ণনের ব্যাপারেই বা ঘটনা কি? গ্যালাক্সির ঘূর্ণন আছে, তাই না? এবং তারা ঘুরে বিভিন্ন ডাইরেকশনে। আপনি যদি গ্যালাক্সিগুলোর সমস্ত ঘূর্ণন যোগ করেন, কি পাবেন? শূন্য। সুতরাং – মহাবিশ্বের রয়েছে ‘শূন্য স্পিন’, ‘শূন্য চার্জ’, এবং ‘শূন্য এনার্জি কনটেন্ট’। অন্য কথায় পুরো মহাবিশ্বই শূন্য থেকে পাওয়া।
# মহাবিশ্ব ফ্রিতে পাওয়া গেলে ঈশ্বর কেন ফ্রিতে পাওয়া যায় না। আমরা ফ্রিতে ঈশ্বর পাওয়ার পর, সেই ঈশ্বর তো সব সৃষ্টি করতে পারেন। আল্লাহ দেখেছেন তিনি ফ্রিতে আছেন আর কিছু নাই। সেজন্য তিনি বলেছেন তিনি প্রথম। তারপর তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। আমি লেখকের বিশাল বড় লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ার পর সারাংশে পেলাম মহাবিশ্ব ফ্রিতে পাওয়া গিয়েছে। এ হলো বিজ্ঞানের বিশ্লেষণের শেষ ফল। সেজন্য সাধারণ মানুষ ফিতে আল্লা্হকে বিশ্বাস করে নিচ্ছে। কি আর করা।
তাদের হলো বিশ্বাসে অবিশ্বাস এবং আমদের হলো অবিশ্বাসে অবিশ্বাস।