শূন্য থেকে কোন কিছু হওয়া সম্ভব এ বিষয়ে মুক্তমনা বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে অবশেষে তিনি বললেন, শূন্য থেকে আমরা মহাবিশ্ব ফ্রিতে উপহার হিসাবে পেয়েছি। তাঁর বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তের সত্যতা স্বীকার করে আমি বলছি, আমরা শূন্য থেকে মহান আল্লাহকে ফ্রিতে উপহার হিসাবে পেয়েছি। কারণ মহাবিশ্বের সদস্য সংখ্যা অনেক, কিন্তু আল্লাহ এক। সুতরাং শূন্যের পরে এক আল্লাহর অবস্থান ধরা হবে, অনেক সদস্য বিশিষ্ট মহাবিশ্বকে ধরা হবে না।
কিছু লোক বলে সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে, এসব আল্লা-বিল্লা কিছু নাই। তাদেরকে বললাম আল্লাহ কেন নাই? সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে, আল্লাহ কার কি ক্ষতি করেছে, তিনি কেন এমনি এমনি হতে পারলেন না। সুতরাং মেনে নাও আল্লাহ এমনি এমনি হয়েছেন এবং তিনি বসকিছু সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ নাই একথাটি মনের ভুলেও বলবে না। কারণ এটি একটি অযোক্তিক কথা।
কিছু লোক বলে আল্লা-বিল্লা কিছু নাই, সব কিছু বিবর্তন প্রক্রিয়ায় হয়েছে। তাদেরকে বললাম, বিবর্তন প্রক্রিয়ায় আল্লাহ হলেন না কেন? তাঁর মধ্যে কি অযোগ্যতা আছে? সুতরাং আল্লাহ নাই এমন হাস্যকার কথা বলা থেকে বিরত থাক।তারপর তারা বলল, আল্লাহ তবে কেমনে হলেন? তাদেরকে বললাম, সৃষ্টি, রূপান্তর ও তৈরীর ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম আছে। এরমধ্যে সৃষ্টির নিয়ম হলো, লিমিট না দিলে আন লিমিটেড হয় এবং লিমিট দিলে লিমিটেড হয়। আল্লাহ প্রথম হওয়ায় তাঁর পূর্বে কিছু ছিলো না বিধায় তাঁর লিমিট দাতা ছিলো না। সেজন্য তিনি আন লিমিটেড হলেন। তারপর তিনি লিমিট দিয়ে দিয়ে সব কিছু সৃষ্টি করলেন।
মহাবিশ্ব হোক আর ঈশ্বরকণা হোক এগুলো প্রথম নয়। কারণ এগুলো লিমিটেড। তো লিমিটেড কিছুর আগে এদের লিমিট দাতা থাকতে হয়। এদের এ লিমিট দাতা হলেন আন লিমিটেড আল্লাহ। তাঁর পূর্বে কিছু নেই। কারণ তিনি প্রথম। আর প্রথমের পূর্বে কিছু থাকে না। আল্লাহ মহাজগৎ সৃষ্টির পর এদের পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় মহাজগতে রূপান্তর ক্রিয়া চলমান রয়েছে। আর মহাজগতে বিদ্যমাণ উপাদান দিয়ে আল্লাহর সৃষ্টির সদস্যগণ অনেক কিছু তৈরী করছে।
আল্লাহ সৃষ্টি করতে চাইলে লিমিট দিয়ে কুন বলেন, তারপর তিনি যা চান সেটা সৃষ্টি হয়। আল্লাহ যেভাবে হয়েছেন, তাঁর সৃষ্টিও সেভাবেই হয়। পার্থক্য হলো আল্লাহর সৃষ্টির লিমিট দাতা আল্লাহ, কিন্তু আল্লাহর কোন লিমিট দাতা ছিলো না। সেজন্য আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টির মধ্যে অসীম ও সসীমে ব্যবধান হয়ে গেল।
আনলিমিটেড একাধীক হয় না। কারণ লিমিট দিয়ে একাধীক করলে আন লিমিটেট আর আন লিমিটেড থাকে না, বরং লিমিটেড হয়ে যায়।
আল্লাহ যেভাবে হয়েছেন সৃষ্টির নিয়ম আসলে সেটাই। সেই নিয়ম মেনেই লিমিট দিয়ে দিয়ে আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেন। আল্লাহর মত এমন লিমিট দিতে আর কেউ জানে না বলে আল্লাহর মত সৃষ্টিকর্তা আর কেউ নেই। আমি যা লিখেছি সেটা আমি বুঝি। আমার কথা কেউ বুছতে না পারলে তাকে সেটা আমার বুঝাতে না পারার অযোগ্যতা। তবে পাবলিকের সাথে আমি আলোচনা করতে গেলে দেখি তারা এমন ভাব করে যেন বিষয়টা তারা আগে থেকেই জানে।সেজন্য তারা আমার জানার বিষয়ে আমাকে কোন ক্রেডিট দেয় না। আর তারা আমার বিরোধীতাও করে না। কারণ বিষয়টা তো তারাই জানে তবে আর বিরোধীতা করবে কি?
আসলে মানুষ আল্লাহকে বুঝে বলেই দলবেঁধে তাঁকে বিশ্বাস করে।এমন কি বহু মানুষ আল্লাহর জন্য তাদের জীবনটাও বিলিয়ে দেয়। তবে আল্লাহর বিবরণ প্রদানের যোগ্যতা হয়ত নাই। আমি যা বুঝেছি সেটা আল্লাহর কথাতেই বুঝেছি। ফেসবুক পোষ্ট দিতে আল্লাহর কথা থেকে আমার কথা আমি কিভাবে বুঝলাম সেই বিবরণ দেব- ইনশা আল্লাহ। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনি শুধু আল্লাহকে ভয় করেন। বুঝাগেল তিনিও আসলে আল্লাহকে বুঝেন। নতুবা তিনি আল্লাহকে ভয় করেন কেন? তিনি আল্লাহকে না বুঝলেও তো তাঁর আল্লাহকে ভয় করার কথা বলার কথা নয়। আমাদের জাতির জনকও আল্লাহকে বুঝতেন। সেজন্য তিনি তাঁর কথায়- ইনশাআল্লাহ যোগ করেছেন। শাহারুখ খানও আল্লাহকে বুঝেন। সেজন্য তিনি তাঁর কথায় -ইনশাআল্লাহ যোগ করেন। এ আর রহমানও আল্লাহর কথা বুঝেছেন। সেজন্য তিনিও কুন-ফাইয়াকুন নিয়ে গান রেকর্ড করেছেন। মোহাস্মদ আলীয় আল্লাহর কথা বুঝেছেন বলে প্রচার করেছেন। তবে যারা আল্লাহর সহজ কথা বুঝে না, আল্লাহর তাদের জন্য জাহান্নামের ব্যবস্থা রেখেছেন। আল্লাহ বলেছেন যত লোকই জাহান্নামে ফেলা হোক না কেন তাতে জাহান্নামে জায়গার অকুলান হবে না।
জান্নাত থেকে জাহান্নামীদের সাথে কথা বলা যাবে। তো পরিচিত জনদের যারা জাহান্নামে যাবেন, যদি আমি জান্নাতে যেতে পারি তখন না হয় তাদের সাথে কথা বলা যাবে। আল্লাহ আমাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন- আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬