
আল্লাহ আছেন বলেই তাঁর নিখুঁত সৃষ্টিতে কোন খুঁত নাই। আল্লাহ না থাকলে সব সৃষ্টিতেই কোন না কোন খুঁত হয়েই যেত। আর আল্লাহ একাধীক হলে হতো সর্বত্র বিশৃঙ্খলা। তখন কোথাও শান্তি বিরাজমান থাকতো না। এক আল্লাহর কোথাও শান্তি বিরাজমাণ দেখলে অন্য আল্লাহ সেথায় অশান্তি সৃষ্টি করতেন। এভাবেই সব কিছু অশান্তিময় হয়ে যেত। যেমন ইসরায়েলের শান্তি দেখে হামাস তাতে বিঘ্ন ঘটালো। বিনিময়ে ইসরায়েল হামাসের শান্তি বিনষ্ট করলো। একাধীক আল্লাহ থাকলে এ বিষয়টা সর্বব্যাপী হতো।
আল্লাহ হামাসকে বাধাদেননি কেন? হামাস দেখতে চেয়েছে একটা গুতো দিলে কেমন হয়? আল্লাহ তাদেরকে বিষয়টা দেখতে দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যাদের ক্ষতি হয়েছে পরকালে আল্লাহ তাদেরকে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবেন।কেউ কেউ নৌকা ডুবিয়ে দেখতে চায় বিষয়টা কেমন হয়? তারপর তারা নৌকা ডুবিয়ে হাবু ডুবু খায়। অন্যরা এটা দেখে হায় হায় করে। যত দোষ নন্দঘোষ টাইপের লোকেরা তখন এ বিষয়ে আল্লাহকে দায়ী করে। এ দিকে আল্লাহ বলছেন তিনি নির্দোষ। পরকালে আল্লাহ নির্দোষ এটা বুঝাতে তিনি পঞ্চাশ হাজার বছর সময় নিবেন। তারপর দোষীকে দোষ বুঝিয়ে তিনি জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
আল্লাহ দয়াময় সবার জন্য না। কারো কারো জন্য তিনি নির্দয়। অনেককে আবার আল্লাহ কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন। কষ্ট আরো বেশী হতে পারতো মনে করে তারা যদি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে তবে আল্লাহ তাদেরকে অনেক বড় পুরস্কার দেন।
বেলাশেষে মুমিন কোন না কোন ছুঁতায় মুমিন থেকেই যায়। আর অবিশ্বাসী কোন না কোন ছুঁতায় অবিশ্বাসী থেকে যায়। আল্লাহ বলেছেন তিনি উভয়ের জন্য চিরস্থায়ী নিবাস গড়ে তুলেছেন। কোন পক্ষের নিবাসে স্থানের অকুলান নেই। সেজন্য সবার প্রতি আল্লাহ স্বাগত জানান।জাহান্নামে গিয়ে কেউ কষ্ট পেলে তারজন্য আল্লাহর কষ্ট লাগে না। এরজন্য কেউ তাঁর বদনাম করলে তিনি এর পরোয়া করেন না, বরং বদনাম কারীর কষ্ট তিনি আরো বাড়িয়ে দেন। আর যারা তাঁর সুনাম করে সেমত তাদের শান্তির ব্যবস্থা রয়েছে। একালে কেউ সেটা না পেলে পরকালে তারা সেটা পেয়েই যাবে। আল্লাহ বলেছেন তাঁর কাজে বঞ্চনা নেই। একালে না হয় সেকালে তাঁর কাজের বিনিময় পাওয়া যাবেই। সেজন্য মুমিন একালে ও সেকলে বিনিময় পেতে আল্লাহর কাজ করেই চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



