আমাদের দেশের সরকার সমূহ যখন সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় তখন বিশ্ব মোড়ল হিসাবে আমেরিকা আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন তাদের দায়িত্ব মনে করে। তারা এটা করে আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন ব্যবস্থা আবার চালু করার জন্য।আমেরিকায় সরকার পরিবর্তন ব্যবস্থা কখনও বাধাগ্রস্থ্য হয় না। তারা চায় তাদের তরিকা সারা বিশ্বে চালু থাকুক। সেজন্য তাদের তরিকা কোন দেশ বাতিল করে দিলে আমেরিকা তাদের বিষয়ে নাক গলায়।ব্লগার চেংগিস খান সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। সমাজতন্ত্রে আমেরিকার গণতন্ত্র বাধাগ্রস্থ্য হয়। সেজন্য ব্লগার চেংগিস খান আমেরিকার পদক্ষেপের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন।আমি সরকার পরিবর্তনের সুব্যবস্থার পক্ষের লোক।সেজন্য আমেরিকা আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের সুব্যবস্থা চালুর জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আমি এর খুববেশী বিরোধীতা করি না।
সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা সরকারের প্রতি সবচেয়ে ক্ষুব্ধ জনগুষ্ঠি চিহ্নিত করে। পঁচাত্তরে সেই ক্ষুব্ধ জনগুষ্ঠি ছিল সেনা বাহিনীর একাংশ। তারা তাদের প্রতি সার্বিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়, ফলে তারা সরকার পরিবর্তনে সক্ষম হয়। কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন হওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা তাদেরকে সহায়তা না করায় তারা ক্ষমতাসীন হয়নি। দুইহাজার চব্বিশে তাদের চিহ্নিত ক্ষুব্ধ জনগুষ্ঠি ছিল জামায়াত-শিবির। আমেরিকা সরকার পরিবর্তনে তাদের প্রতিও সার্বিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়, ফলে তারা সরকার পরিবর্তনে সক্ষম হয়। কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন হওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা তাদেরকে সহায়তা করছে না।সম্ভবত এরাও ক্ষমতা পাবে না। পঁচাত্তরে ক্ষমতা পেয়েছে জিয়াউর রহমান। এবার ক্ষমতা পেতে পারেন তাঁর পুত্র তারেক রহমান। মধ্যখানে কিছু দিনের জন্য ডক্টর ইউনুস ক্ষমতায় বসে গেছেন। পঁচাত্তরে আওয়ামী লীগ চেয়েছে তাদের প্রধান শত্রু ক্ষমতা না পেয়ে অন্য কেউ ক্ষমতা পেয়ে যাক। তাদের সে আশা পূরণ হয়েছে। এবারও তারা চায় তাদের প্রধান শত্রু ক্ষমতা না পেয়ে অন্য কেউ ক্ষমতা পেয়ে যাক। তাদের এ আশা হয়ত পূরণ হবে।
এবার আমেরিকার সরকার আভাস দিয়েছে আমাদের সরকার পরিবর্তনে তারা কি করেছে। তাদের দক্ষতা আমাদের সরকার বুঝলে তারা তাদেরকে সমিহ করবে। বিএনপি তাদেরকে সমিহ করতে একপায়ে খাড়া আছে।ভারতও আমাদের সরকারের সমিহ কামনা করে। কিন্তু আমাদের জনগণের একাংশ ভারতকে একদম সহ্য করতে পারে না। আর আমাদের জনগণের একাংশ ভারতের সাথে স্বামী-স্ত্রীর মত সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।আমেরিকা ভারত বিরধী অংশকে সরকার পরিবর্তনে সহায়তা করায় ভারতপ্রেমী বিগত সরকারে প্রধানের এবার যথেষ্ট বেহাল দশা। নববর্ষে বিগত মাননীয় সরকার প্রধানের চেহারা রাক্ষুসীর মত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এবার পাকিস্তানী সাবেক শাসক ও জামায়াত-শিবির এমন বেহাল দশা থেকে রেহাই পেয়েছে।
ব্লগার চেংগিস আমেরিকা কোন লোকদেরকে দিয়ে কি করেছে তা’ বিশ্লেষণে ভীষন ব্যস্ত। আমার প্রশ্ন আমেরিকা আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনে সক্ষম হয় কেন? তাদের হাতে আমরা সে সুযোগ তুলে দিচ্ছি বলেই তারা সেটা করছে। আমরা এখানে সুষ্ঠ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে দেখতে পারি তারা তারপর কি করে? জনাব চেংগিস সমস্যার কথা বলেন, সমাধানের কথা বলেন না। আমেরিকার সরকার পরিবর্তনে জনগণ সব সময় খুশী হয়।জনাব চেংগিস এ বিষয়ে কি বলবেন? সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে ঘটনার বিবরণে তাঁকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৮